কলকাতা: রাজ্যে কৃত্রিম যন্ত্রমেধার (Artificial Intelligence) হাব গড়ে উঠবে। বৃহস্পতিবার ঘোষণা করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা জানিয়েছেন, ITC এ রাজ্যে AI হাব গড়বে। আগামী বছর বিশ্ববাংলা বাণিজ্য সম্মেলনের আগেই এই ঘোষণা করলেন মমতা। জানালেন, বিল্ডিং তৈরির কাজও সম্পূর্ণ হওয়ার পথে। (Mamata Banerjee)
এদিন নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে মমতা বলেন, “আমার কাছে অনুরোধ এসেছে, ITC AI-এর উপর একটি গ্লোবাল হাব তৈরি করতে চায়। ওদের বিল্ডিং প্রায় সম্পূর্ণ হয়ে এসেছে। আমি সময় করতে পারলে বলে দেব। এখনি বলছি না। ITC-এর আরও দু’টি প্রজেক্ট রেডি আছে। আমরা সময় মতো করে দেব।” (Kolkata News)
মমতা জানিয়েছেন, আগামী বছর ৫ এবং ৬ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববাংলা বাণিজ্য সম্মেলন হচ্ছে। ওই সম্মেলনের আগে কালীঘাটের স্কাইওয়াকের কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেলে, ফেব্রুয়ারির শুরতে সেটিও উদ্বোধন করে দেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন মমতা। জগন্নাথ ধাম উদ্বোধন নিয়েও আশাবাদী তিনি। এবারের কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা নিয়েও শুভেচ্ছা জানান মমতা।
এদিন মমতা জানান, গ্রামের দিকেও মেলা হয়। পৌষমেলা, পিঠেপুলি মেলা, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর নানা মেলা, কৃষিমেলা রয়েছে। এই সমস্ত মেলা থেকেও প্রচুর মানুষের উপার্জন হয় বলে জানান তিনি। মমতা জানান, বড়দিন থেকে জানুয়ারি মাসটা পুরো নানারকম মেলা হয়। প্রচুর মানুষ কেনাকাটা করেন। গ্রামীণ হস্তশিল্প, অন্যান্য সামগ্রীর বিক্রিবাটা হয়। মমতা বলেন, “উৎসবকে কেন্দ্র করে আমাদের ব্যবসা বৃদ্ধি হয়। দেখতে ছোট হলেও, একটা দোকানদারের আয় কিন্তু বড়। দেশের অর্থনীতির স্তম্ভ দোকানদাররা। খুচরো বাজার আছে, পাড়ায় পাড়ায় মিষ্টির দোকান, মুদির দোকান আছে।”
রাজ্যের মন্ত্রিসভা কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান মমতা। তিনি জানান, ২৫ ডিসেম্বর আলিপুর চিড়িয়াখানায় লক্ষাধিক মানুষের সমাগম ঘটে। চিড়িয়াখানার বিপরীতে একটা অব্যবহৃত জায়গা রয়েছে। একটি পুরনো অ্যাকোরিয়াম এবং পশু চিকিৎসার জায়গা ছিল। সেখানে একটি বড় বাজার তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন মমতা। পশু হাসপাতালটা চিড়িয়াখানা দেখে নেবে। অ্যাকোরিয়াম থাকবে বলে জানিয়েছেন।
আলিপুর মিউজিয়ামের বিপরীতে একটি কাঠামো তৈরি হচ্ছে, যেখানে চামড়ার ব্যাগের বাজার তৈরি হবে বলে জানিয়েছেন মমতা। তিনি জানিয়েছেন, বাংলায় চামড়া শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ৫ লক্ষ মানুষ। বিদেশে যে চামড়ার দ্রব্য রফতানি করা হয়, তা বাংলার মানুষ পান না। কিন্তু এবার সেখান থেকেনই চামড়ার ব্যাগ-জুতো কেনা যাবে। পাশাপাশি, কর্মসংস্থানও বাড়বে। প্রত্যেক জেলায় শপিং মল এবং সিনেমা হল তৈরির ঘোষণাও করেন।
আরও দেখুন