NOW READING:
ছাত্র-যুবর ভূমিকায় অসন্তুষ্ট কল্যাণ, ‘ওঁর তো ছাত্র রাজনীতির বয়স নেই…”পাল্টা তৃণাঙ্কুর
March 31, 2025

ছাত্র-যুবর ভূমিকায় অসন্তুষ্ট কল্যাণ, ‘ওঁর তো ছাত্র রাজনীতির বয়স নেই…”পাল্টা তৃণাঙ্কুর

ছাত্র-যুবর ভূমিকায় অসন্তুষ্ট কল্যাণ, ‘ওঁর তো ছাত্র রাজনীতির বয়স নেই…”পাল্টা তৃণাঙ্কুর
Listen to this article


কলকাতা: অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনার পর এখনও পর্যন্ত কেন পথে নামেনি দলের ছাত্র-যুব সদস্যরা। প্রশ্ন তুলে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন তৃণমূলেরই সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। মন্তব্যকে সমর্থন করলেন কুণাল ঘোষও। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Kalyan Banerjee) মন্তব্যকে হাতিয়ার করে, বিজেপি আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে দ্বন্দ্বের জল্পনা উস্কে দিয়েছে। 

ছাত্র-যুবর ভূমিকায় অসন্তুষ্ট কল্যাণ: অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কেলগ কলেজে বক্তৃতা দিতে গিয়ে এসএফআই UK শাখার, এমনই নানা প্রশ্নের মুখে পড়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কলকাতা থেকে প্রায় ৭ হাজার ৯৫৭ কিলোমিটার দূরের এই ঘটনার আঁচে এখন তপ্ত বাংলার রাজনীতি। ঘটনার প্রতিবাদে SFI ও বিজেপিকে নিশানা করে, সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন একের পর এক তৃণমূল নেতা। পথে নেমেছে মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস। এই প্রেক্ষাপটে দলের ছাত্র-যুব সদস্যদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।

তৃণমূল সাংসদ বলেন, “আমি খুব একটা খুশি নয় ওদের (তৃণমূল ছাত্র-যুব) পারফরম্যান্সে। দিদিকে কোথাও উল্টোপাল্টা বলেছে, আমরা কি দিদি কখন বলবে যে তুমি মুভমেন্ট করো তার উপর বসে থাকব? না বক্সী বলবে তার উপর মুভমেন্ট… বসে থাকব? স্বতঃস্ফূর্তভাবে আমাদের জেলায় জেলায় প্রোগ্রাম হয়েছে, কলেজে, স্কুলে, সব জায়গায় প্রোগ্রাম হয়েছে। আমি সেখানটার একটা অভাব দেখতে পাচ্ছি। আমরা যেভাবে ট্রেনড, রাজনীতি যেভাবে ট্রেনড, আন্দোলনের মাধ্যমে, যখনই কেউ কিছু করেছে তার উল্টো রাজনৈতিক প্রোগ্রাম, আজকে আমি সেটা দেখতে পাচ্ছি না।” কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি উড়িয়ে, দলের চারবারের সাংসদকে পাল্টা খোঁচা দিয়েছেন TMCP-র রাজ্য সভাপতি। তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য বলেন, “আমরা রাজ্য জুড়ে কলেজে কর্মসূচি করেছি। ওঁর তো ছাত্র রাজনীতির বয়স নেই। নাহলে বলা যেত উনি ছাত্র যুব সভাপতি হতে চাইছেন।”                                                  

বর্ষীয়ান সাংসদের মন্তব্যকে সমর্থন করেছেন দলের মুখপাত্র ও রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষও। তাঁর কথায়, “কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর অভিজ্ঞতা থেকে মন্তব্য করেছেন, আমার ধৃষ্টতা নেই যে তাঁর বক্তব্যের উপরে কোনও মন্তব্য করব। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর অভিজ্ঞতা থেকে, তার পর্যবেক্ষণ থেকে বলেছেন, সেটাকে অস্বীকার করা যায় না। যারা মমতাকে ভালবাসে তারা করবে, যারা করেনি কেন করেনি বলতে পারব না।”

আরও দেখুন



Source link