NOW READING:
‘ডিভিসি না জানিয়ে জল ছেড়ে দিচ্ছে’ ফের বন্য়ার অভিযোগে সরব মুখ্যমন্ত্রী
June 24, 2025

‘ডিভিসি না জানিয়ে জল ছেড়ে দিচ্ছে’ ফের বন্য়ার অভিযোগে সরব মুখ্যমন্ত্রী

‘ডিভিসি না জানিয়ে জল ছেড়ে দিচ্ছে’ ফের বন্য়ার অভিযোগে সরব মুখ্যমন্ত্রী
Listen to this article


কলকাতা: রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সরব হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বর্ষায় ভাসছে একাধিক জেলা। এই আবহে এবার ডিভিসিকে আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। ডিভিসি না জানিয়ে জল ছেড়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করলেন তিনি। 

বর্ষা আসতেই ফিরেছে পশ্চিম মেদিনীপুর-সহ বিভিন্ন জেলায় বন্য়া পরিস্থিতির চেনা ছবি। আর এসবের হাত ধরেই ফিরল সেই ‘ম্য়ান মেড’ তত্ত্ব! মঙ্গলবার বিধানসভায় দাঁড়িয়ে ফের ‘ম্যান মেড’ বন্য়ার অভিযোগ তুললেন মুখ্যমন্ত্রী। DVC-র দিকে দায় ঠেলে তিনি বলেন, “আমাদের এখানে যে বন্যা হয় তার বেশিরভাগটা ‘ম্যান মেড’ বন্য়া। DVC না জানিয়ে জল ছেড়ে দিচ্ছে। জল ছাড়ার আগে রাজ্য সরকারকে জানানো হত। কিন্তু এখন যে সরকার কেন্দ্রে এসেছে তারা এসব মানে না। তারা না জানিয়ে জল ছেড়ে দিচ্ছে।”

জল ছাড়া নিয়ে এই সংঘাত গত কয়েকবছরে প্রতিবারই দেখা গেছে। গতবার তা চরমে পৌঁছোয়। বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অসহযোগিতা এবং পশ্চিমবঙ্গকে লাগাতার অসম্মানের অভিযোগ তুলে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখেন মুখ্যমন্ত্রী। এমনকী DVRRC থেকে প্রতিনিধিও প্রত্যাহার করে নেয় রাজ্য সরকার। এই প্রেক্ষাপটে DVC সূত্রে দাবি করা হয়েছে, তারা নিজে থেকে জল ছাড়ে না। দামোদর ভ্য়ালি রিভার রেগুলেশন কমিটি বা DVRRC যেমন পরামর্শ দেয়, সেই অনুযায়ী জল ছাড়া হয়। পাশাপাশি DVC-র তরফে আরও দাবি করা হয়েছে,, DVRRC-র পরামর্শ অনুযায়ী, কখনও ৭০ হাজার কিউসেকের ওপরে তারা যায় না। আর পশ্চিমবঙ্গ বলে তাদের জল ধারণ ক্ষমতা ১ লক্ষ ৩০ হাজার কিউসেক। তাহলে DVC কীকরে দায়ী হয়?

DVC-র রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে এদিন বিধানসভায় অভিযোগ তুলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, DVC-র জলাধারগুলোকে দীর্ঘদিন ড্রেজিং হয় না। পলি না তোলায়, মাটি জমছে, নাব্যতা কমছে। জল ধারণ ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। ক্ষমতার বাইরে জল জমলেই তা ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। আর প্রতি বছর রাজ্যের বিভিন্ন জেলা জলে ভাসছে।  কেন্দ্রীয় সরকারের পাস করা ‘দ্য ওয়াটার প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোল অফ পলিউশন অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট ২০২৪’ পশ্চিমবঙ্গ গ্রহণ করবে কিনা তা নিয়ে এদিন বিধানসভায় আলোচনা হয়। মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, ইদানিং যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে বুলডোজ করার প্রবণতা বাড়ছে। কেন্দ্রীয় সরকার তাদের আইনগুলোকে চাপিয়ে দিচ্ছে রাজ্যের ওপরে। কেন্দ্রীয় সরকার দূষণ নিয়ে নির্দেশিকা দিতেই পারে। কিন্তু রুল ফ্রেম করার অধিকার রাজ্য সরকারের রয়েছে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, তাঁদের শাসনকালে ‘জল ধরো জল ভরো’ প্রকল্পে রাজ্যে প্রায় সাড়ে ৪ লক্ষ পুকুর কাটা হয়েছে।



Source link