ডাবগ্রাম : ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্প নিয়ে বড় মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর। ডাবগ্রাম-ফুলবাড়িতে প্রশাসনিক সভামঞ্চ থেকে তিনি বললেন, “লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সারা ভারতে নয়, সারা পৃথিবীতে আমরা চালু করেছিলাম। সারাজীবন পর্যন্ত চলবে।” এদিন উত্তরবঙ্গের একাধিক প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ ঘোষণা করেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “অনেকে অনেক কথা বলে। এত দেব, অত দেব। দাওনি কেন এতদিন ? বাঘে খেলেও তো দেখতে আসো না। আর বড় বড় ভাষণ ? লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সারা ভারতে নয়, সারা পৃথিবীতে আমরা চালু করেছিলাম। সারাজীবন পর্যন্ত চলবে। মেয়েদের সম্মান, মা-বোনদের সম্মান। কেউ কেউ এখন থেকে বলছে এত দেব, অত দেব। নির্বাচনের আগে যা বলেছিল, দেয়নি। মুম্বইয়ে দেয়নি, মধ্যপ্রদেশে দেয়নি, রাজস্থানে দেয়নি। এরা ভোটের আগে একরকম বলে। ভোটের পরে ভুলে যায়। আমরা করি না । আমরা যা বলি, আমরা সেটা করি।”
তাঁর সংযোজন, “আমরা চারটে কথা বলেছিলাম। জিতলে খাদ্যসাথী করব, করে দিয়েছি। দুয়ারে রেশন। আমরা যেটা বলেছিলাম, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার করব। করে দিয়েছি। আমরা যেটা বলেছিলাম স্টুডেন্টদের মধ্যে ১০ লক্ষ টাকার মধ্যে স্মার্ট কার্ড করব। করে দিয়েছি। এভাবে যখন যেটা বলেছি, করে দেখিয়েছি। একটা জিনিস মনে রাখবেন, কথা থেকে কখনো সরে যাই না।”
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের মহিলাদের জন্য ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্প এনেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথমে বাড়ির মহিলাদের হাতে মাসোহারা ৫০০ টাকা এবং তফসিলি জাতি, উপজাতি এবং অনগ্রসরদের জন্য আর একটু বেশি টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা হয়। পরবর্তীতে তা আরও বাড়িয়ে সাধারণ মহিলাদের হাতে মাসে মাসে ১০০০ টাকা এবং তফসিলি জাতি, উপজাতি এবং অনগ্রসরদের জন্য ১২০০ টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা করে রাজ্য।
মমতার ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের অনুকরণে দেশের অন্য রাজ্যগুলিতেও এমন জনমোহিনী প্রকল্প চালু হয়েছে। সদ্য সমাপ্ত দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনেও মহিলাদের হাতে নগদ তুলে দেওয়ার এই প্রকল্প খবরের শিরোনামে উঠে আসে। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি ২১০০ টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে, বিজেপি মহিলাদের ২৫০০ করে দেওয়ার ঘোষণা করে। খয়রাতির রাজনীতির এই বাড়াবাড়িতে নজর পড়ে আদালতেরও। নির্বাচনের আগে বিনামূল্যে রেশন, বিদ্যুৎ, নগদ খয়রাতির পরিবর্তে সাধারণ মানুষকে উন্নয়নের মূলস্রোতে তুলে আনার ভাবনা কেন কেউ ভাবছে না প্রশ্ন তোলে সুপ্রিম কোর্ট। পরজীবী শ্রেণি তৈরি না করে, মানুষকে স্বাবলম্বী করে তোলার কথা বলে শীর্ষ আদালত।
আরও দেখুন