জলপাইগুড়ি : ‘পুলিশে গ্রুপবাজি চলছে’। উত্তরবঙ্গে প্রশাসনিক সভায় সরব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জনৈক চন্দনবাবুকে কোনো কাজ দেওয়া হয় না বলে উত্তরবঙ্গের প্রশাসনিক সভায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। পুলিশের একাংশকে আক্রমণ পুলিশমন্ত্রীর।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কোচবিহারে হেড কোয়ার্টারে একজন DSP বা SDPO…কিছু একটা আছে, চন্দনবাবু বলে কেউ আছেন ? তিনি কি এসেছেন মিটিংয়ে ? কেনা আনা (বৈঠকে) হয়নি তাঁকে ? হেড কোয়ার্টার দেখেন, কিন্তু তাঁকে কোনো কাজ দেওয়া হয় না। ইজ ইট নট আ ফ্যাক্ট ? না কাজ করেন না। তাঁকে করতে দেওয়া হয় না। আপনারা নিজেরাই যদি নিজেদের মতো গ্রুপ তৈরি করে নেন, তাহলে মানুষ কোথায় যাবে ? ওঁকে কাজে লাগাবেন। শীতলকুচি, দিনহাটায় কাজে লাগান। বর্ডার এরিয়ায় কাজে লাগান। হেড কোয়ার্টারে একজন বসিয়ে রাখবেন, তিনি শুধু চা-বিস্কুট খাবেন…বাড়ি চলে যাবেন…তিনি কাজ করতে চান, আপনি তাঁকে কাজ করতে দিচ্ছেন না। এ আবার কী ! পুলিশ কি নিজেদের মধ্যে কখনো গ্রুপ করে ? করে না। আমরা রাজনৈতিক লোকেরা গ্রুপ করি বেশি। আমরা তাই জেনে এসেছি এতদিন।”
এ প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার তুলোধনা করলেন মুখ্যমন্ত্রীকে। তিনি বলেন, “পুলিশের মধ্যে গ্রুপবাজি চলছে যিনি বলছেন, তিনি ভুলে গেছেন হয়তো তিনি নিজেই পুলিশমন্ত্রী। দায়টা কার ? দায় কি অন্য কারো নাকি ? কোচবিহারে চন্দনবাবুকে কে অফিসে বসিয়ে রাখছেন, মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশাসনিক বৈঠক থেকে কেন বলতে হবে ? তিনি পুলিশমন্ত্রী, তাঁর একটা ফোন ডিজির কাছে যাবে, ডিজি নিজে নির্দেশ পাঠাবেন। প্রশাসন কীভাবে চালাতে হয় মুখ্যমন্ত্রী কি জানেন না ? নাকি, ভোটের আগে উনি গ্য়ালারি শো করছেন সমানে ? এই গ্যালারি শো করতেই উত্তরবঙ্গে আসা হয়েছে তাঁর। দায়টা তো তাঁর। পুলিশমন্ত্রী তো তিনি। পুলিশে যদি গ্রুপবাজি হয়, পুলিশ যদি চুরি করে, পুলিশ যদি তোলা তোলে, তার দায়ভার তো মুখ্যমন্ত্রীকে নিতে হবে। কারণ, পুলিশমন্ত্রী তিনি।”
বিস্তারিত আসছে…
আরও দেখুন