কলকাতা: ফের বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাঙালিদের হেনস্থার অভিযোগ তুললেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। বাংলা ভাষায় কথা বললে আটকে রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ তাঁর। শুধু তাই নয়, বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের বাংলাদেশি নাগরিক বলা হচ্ছে বলেও অভিযোগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
কী অভিযোগ?
পেটের টানে কাজে গিয়েও শান্তি নেই। এবার ভিন রাজ্যে অত্যাচারের স্বীকার হচ্ছেন বাঙালি শ্রমিকরা। ফের এই অভিযোগ তুললেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বাংলা ভাষায় কথা বললে বিজেপি শাসিত রাজ্যে আটকে রাখা হচ্ছে। বাংলা ভাষায় কথা বলা কি অপরাধ? আজকেও রাজস্থানে ৩০০ লোককে আটকে রেখেছে। বাংলা ভাষায় যারা কথা বলেন তাঁরা কি অন্যায় করেছেন? যাঁরা গেছেন তাঁরা তো বৈধ নাগরিক। বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের বাংলাদেশি নাগরিক বলা হচ্ছে। তাঁরা কেউ বাংলাদেশি নন, পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা, বৈধ পরিচয়পত্র আছে। খুব ভয়ানক খেলা হচ্ছে, জানি না প্রধানমন্ত্রীর নজরে আছে কিনা।”
ভিন রাজ্যে কাজে গিয়ে অত্যাচারের অভিযোগ এই প্রথম নয়। গত বছর অগাস্ট মাসে ওড়িশায় গিয়ে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকরা সমস্যায় পড়েন। নবান্ন সূত্রে খবর মেলে, বাংলার বহু পরিযায়ী শ্রমিক ওড়িশার কয়েকটি জেলায় কাজের প্রয়োজনে গিয়ে হামলা এবং আক্রমণের মুখে পড়েছেন। এরপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন। বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের কী ধরনের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সেই সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীকে জানান তিনি। গত মাসেও এই ধরনের অত্যাচারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওড়িশা, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, বিহারে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের ওপর অত্যাচার চলছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। ফেসবুকে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমার কাছে খবর এসেছে ওড়িশায় বাংলায় কথা বললেই মারা হচ্ছে। মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, বিহারেও হয়েছে। আমরা কিন্তু এখানে পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর অত্যাচার করব না। এখানেও দেড় কোটি বাইরের লোক আছে। যাঁরা কাজ করে। কারও হাতে তাস তুলে দেবেন না।”
এদিকে এই আবহে পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজস্থানে অত্যাচার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন ইটাহারের তৃণমূল বিধায়ক। একটি ভিডিও পোস্ট করে, রাজস্থান পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তৃণমূল বিধায়কের। তাঁর অভিযোগ, “কাজের জন্য রাজস্থানে গিয়ে আটক বাঙালি শ্রমিক। বৈধ পরিচয়পত্র থাকা সত্বেও আটকে রাখা হচ্ছে। আটকদের বাংলাদেশে পাঠানোর চেষ্টা চলছে।”