মালদা: তখনও অশান্ত হয়নি বাংলাদেশ। নিজের দেশ ছেড়ে যেতে হয়নি হাসিনাকে। বরং দুই দেশের সম্প্রীতি চোখে ধরা পড়েছে বারবার। পশ্চিমবঙ্গে তখন শুধুই কেন্দ্র-রাজ্যের সংঘাত। বিষয় আলাদা-আলাদা। অতীতে একাধিক ইস্যুতে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (BSF)-কে কাঠগড়ায় তুলেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একটা সময় গরুপাচার ইস্যু নিয়েও কম জলঘোলা হয়নি। যদিও সেসময় কলকাতায় এসে অমিত শাহ বলেছিলেন, ‘সীমান্তে BSF আছে বলেই সবাই নিশ্চিন্তে রয়েছে। সুরক্ষিত রয়েছে দেশ।’ কিন্তু ইতিমধ্যেই গঙ্গা দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। শুধু পদ্মার ইলিশ আসা বন্ধ নিয়েই টলমল আবেগে আটকে নেই ভারতীয়রা। ফোকাসে এখন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক। ইউনূস সরকারের আমলে বাংলাদেশে আক্রমণের মুখে হিন্দু সম্প্রদায়। ঠিক এমন পরিস্থিতিতেই বড় বার্তা দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, হয়তো একদিন আমাদের সম্পর্ক আবার ভাল হয়ে যাবে।’
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ওপার বাংলায় একটু প্রবলেম হচ্ছে। বর্ডার দেখার দায়িত্ব BSF-র। যদি কোনও অন্যায় হয়, ‘আমরা দেখে নেব। কিন্তু মনে রাখবেন BSF-র সঙ্গে ওদের যদি বচসা হয়, আপনারা গ্রামের লোকেরা সেখানে যাবেন না। আর পুলিশকে বলব, মাইক্রোফোনে ঘোষণা করে বলবেন, আমাদের ইন্ডিয়ার লোকেরা এপারে চলে আসুন। বাদ বাকিটা প্রশাসন দেখে নেবে। আমি বিশ্বাস করি, হয়তো একদিন আমাদের সম্পর্ক আবার ভাল হয়ে যাবে। কিন্তু এটা লক্ষ রাখবেন, যেনও কোনও সমাজ বিরোধী, কোনও জঙ্গি, কারও হোটেলে বা কারও বাড়িতে ভাড়া নেওয়ার নাম করে বাসা বাধতে না পারে। কোনও সমাজ বিরোধী যেনও ঘুঘুর বাসা বানাতে না পারে।’
আরও পড়ুন, RG করের জুনিয়র ডাক্তার আসফাকুল্লার বিরুদ্ধে FIR নিয়েই প্রশ্ন হাইকোর্টের, রাত পেরোলেই শুনানি, ‘কীভাবে মামলা রুজু করল পুলিশ?..’
আরও দেখুন
+ There are no comments
Add yours