কলকাতা: রাত পোহালেই রাজ্যের ৬ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ফলাফল। ফল ঘোষণা হবে মহারাষ্ট্র ও ঝাড়খণ্ড বিধানসভা ভোটেরও। এই প্রেক্ষাপটেই সোমবার কালীঘাটে হতে চলেছে তৃণমূলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক। সেখানে মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee) কড়া ও স্পষ্ট বার্তা দিতে পারেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
কী বার্তা দেবেন?
সোমবার তৃণমূলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক ডেকেছেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। বর্তমান প্রেক্ষাপটে এই বৈঠকের গুরুত্ব আরও বেড়ে যাচ্ছে। তার কারণ, শনিবার বাংলার ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপ নির্বাচনের ফল ঘোষণা হবে ফল বেরোবে মহারাষ্ট্র ও ঝাড়খণ্ড বিধানসভা ভোটেরও। অর্থাৎ এই ভোটের ফল বেরোনোর পর রাজ্য় ও কেন্দ্রের রাজনৈতিক সমীকরণ কী হবে, তৃণমূলের কৌশল কী, পথ কী হবে, তা নির্দিষ্ট করে দেবেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। এছাড়়াও সাম্প্রতিককালে তৃণমূলের একাধিক নেতা-মন্ত্রী-সাংসদ-বিধায়ক নানা বিতর্কিত মন্তব্য় করেছেন। মদন মিত্র বলেছেন, “আপনি হচ্ছেন মমতার আমদানি করা মাল। কোনও রকমে মমতার হাতে পায়ে ধরে কালীঘাটে বাড়ি তুলেছেন। তৃণমূলের জামাটা ছেড়ে দিলে, গল্প শেষ হয়ে যাবে।” পাল্টা কল্য়াণ বন্দ্য়োপাধ্য়ায় বলেন, “দুঃখের ব্যাপার হচ্ছে তৃণমূলের জামা পরেও ওকে জেলে ঢুকতে হয়েছিল। এটা হচ্ছে তৃণমূলের পক্ষে ওর দুর্ভাগ্য। ২ বছর না আড়াই বছর জেলে ছিল, এখন বেলে আছে।”
এছাড়াও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছন সৌগত রায় ও ফিরহাদ হাকিম। পুরমন্ত্রী ও কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, “এনাফ ইজ এনাফ। পুলিশকে বলব অ্যাক্ট নাও। অ্যাক্ট নাও। ইনটেলিজেন্স কোথায়? নেটওয়ার্ক কোথায়?” দমদমের তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেছেন, “আত্মসন্তুষ্টি মানে ওরা ভাবছে তো একই সরকার ক্ষমতায় আছে। সুতরাং আমাদের আর কী হবে। এদিক ওদিক তো হবে না। তাই পুলিশ ভাবছে যেরকম গয়ংগচ্ছ রুটিন কাজ করি সেইরকম করলেই হবে।” যা নিয়ে পাল্টা কটাক্ষ করেছেন কল্য়াণ বন্দোপাধ্য়ায়। তিনি বলেন, “নারদার কেসে তো সৌগত রায়, ববি হাকিম দু’জনেই ইনভলভড রয়েছে। কেন রয়েছে? মমতাদির দোষ নাকি এটা?”
এরইমধ্য়ে হুমায়ুন কবীর আবার অবিলম্বে বারবার অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কে উপ মুখ্য়মন্ত্রী করার এমনকী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের হাতে রয়েছে যে পুলিশ দফতর তা অভিষেকের হাতে তুলে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছেন। ভরতপুরের বিধায়ক মন্তব্য করেন, “আমি পুলিশমন্ত্রী হিসেবে এই মুহূর্তে এবং ডেপুটি CM হিসেবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেই দেখতে চাইছি।” কল্য়াণ বন্দ্য়োপাধ্য়ায় বলেছেন, “অভিষেককে দেখে সবাই অনুপ্রাণিত হয় এবং নিঃসন্দেহে সংগঠনে তো ভীষণ ভালভাবে কাজ করে। অভিষেক যে আগামীদিনে প্রশাসনের মাথায় আসবে, এটা সমন্ধে কোনও তো দ্বিধা নেই। এটা কোনও দ্বিধা নেই।”
অর্থাৎ, তৃণমূলের মধ্য়ে ক্ষমতার সমীকরণ নিয়ে এখন নানা মুনির নানা মত। যার প্রেক্ষিতে বিষেষজ্ঞদের ধারনা সোমবারে কালীঘাটের বৈঠকে কড়া ও স্পষ্ট বার্তা দিতে পারেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। বুঝিয়ে দিতে পারেন তিনি কী চাইছেন। সোমবারের বৈঠকে কি দলে রদবদলেরও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে? সেদিকেও নজর রয়েছে রাজনৈতিকমহলের।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: Midnapore Medicine Controversy:মিলছে না ব্যাচ নম্বর, মেয়াদউত্তীর্ণ ওষুধের অভিযোগে শোকজ-‘উত্তরে’ নয়া জটিলতা
আরও দেখুন