করুণাময় সিংহ, মালদা: গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্য়ালয়ের (University of Gour Banga) অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্যের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে টাকা চাওয়ার অভিযোগ। অভিযোগ তুললেন বিশ্ববিদ্য়ালয়েরই ইনস্পেক্টর অফ কলেজস। অভিযোগ, তার কাছ থেকে চাওয়া হয়েছে ৩ লক্ষ টাকা। তা না দেওয়াতে হেনস্থা করা হয়েছে তাঁকে। ঘটনায় ভাইরাল হয়েছে এক অডিও। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য।
গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্য়ালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্যের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে টাকা চাওয়ার অভিযোগ। আর সেই অভিযোগ তুললেন বিশ্ববিদ্য়ালয়েরই ইনস্পেক্টর অফ কলেজেস। ভাইরাল হয়েছে একটি অডিও ক্লিপ। অভিযোগ, ৩ লক্ষ টাকা না দেওয়ায় হেনস্থা করা হয়েছে বিশ্ববিদ্য়ালয়ের ইনস্পেক্টর অফ কলেজেস অপূর্ব চক্রবর্তীকে। তাঁর দাবি, বিশ্ববিদ্য়ালয়ের একাধিক অনিয়ম নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন তিনি। মামলা লড়তে ৩ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে এই দাবি করে, তাঁর কাছে টাকা চান অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য পবিত্র চট্টোপাধ্যায়। এরপর অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্যের বিরুদ্ধে উচ্চশিক্ষা দফতরে অভিযোগ জানিয়েছেন অপূর্ব চক্রবর্তী। তাঁর অভিযোগ, “আমার কাছে টাকা চেয়েছে। পুরো বিষয়টি আমি উচ্চশিক্ষা দফতরে জানিয়েছি।” যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য বলেন, “আমি টাকা চাইনি। বিশ্ববিদ্য়ালয়ের পড়ুয়ারা টাকা চেয়েছে।”
২০১৭ সালের পর থেকে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্য়ালয়ে বন্ধ রয়েছে সমাবর্তন। অভিযোগ, রাজ্য় সরকার-রাজ্য়পাল টানাপোড়েনে সমাবর্তন বন্ধ থাকায় সার্টিফিকেট পাচ্ছেন না ছাত্রছাত্রীরা। ফলে প্রোবেশনাল সার্টিফিকেট দিয়ে কাজ চালাতে হচ্ছে পড়ুয়াদের। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রাক্তনী বলেন, “আমি এখান থেকে পড়েছি। এখন গবেষণা করছি। এখমও পাইনি চাকরির ক্ষেত্রে অসুবিধা হচ্ছে।” সমাবর্তন না হওয়ার পিছনে কার্যত আচার্যকে দায়ী করেছেন বিশ্ববিদ্য়ালয়ের রেজিস্ট্রার বিশ্বজিৎ দাস। তাঁর অভিযোগ, “এটা ছাত্রদের অভিযোগ নয়। এটা ঘটনা। আমাদের দায় নিতে হবে। আমাদের প্রবেশনাল সার্টিফিকেট হয়। রাজভবনের তরফে উত্তর না আসায় করা যাচ্ছে না।”
এনিয়ে মুখ খুলেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি বলেন, “সমাবর্তন হবে। সমাবর্তন না হওয়ার জন্য় অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছিল। আমরা আশা করছি মার্চে হবে।” গোটা বিষয় নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপির দক্ষিণ মালদা সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ি বলেন, “সমাবর্তনের নামে কোটি কোটি টাকা লুঠেছে তৃণমূলের লোকেরা। তার জন্য় রাজ্য় সরকার বন্ধ করে দিয়েছে এখন আচার্যের ঘাড়ে দোষ চাপানো হচ্ছে।”
আরও পড়ুন: Barasat Poster Controversy: ‘দাদা ইজ ব্যাক,’ বিতর্কিত চিকিৎসক অভীক-বিরূপাক্ষ স্বাগত জানিয়ে পোস্টার বারাসাতে
আরও দেখুন