করুণাময় সিংহ, মালদা: নাবালক নাতির সামনে ঠাকুমাকে বটি দিয়ে কোপ দুষ্কৃতীদের। অভিযোগ বাড়িতে ঢুকে লুটপাট চালাল দুষ্কৃতীরা রবিবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে মালদার হবিবপুর থানার বুলবুল চন্ডির তিন নম্বর কেন্দুয়া গ্রামে। আক্রান্ত মহিলাকে ভর্তি করা হয়েছে মালদা মেডিক্যাল কলেজে।
পরিবারের দাবি, বাড়ির ছেলে সুব্রত মৃধা ত্রিপুরায় সিআরপিএফ জওয়ান হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। বাড়িতে তাঁর স্ত্রী দুই ছেলে এবং বৃদ্ধা শাশুড়িকে নিয়ে থাকেন। সে সুযোগ নিয়ে দুষ্কৃতী প্রথমে বৃদ্ধা আন্না বালার শোয়ার ঘরে গিয়ে তাণ্ডব চালায়। আন্না বালার গলায় বটি দিয়ে একাধিকবার আঘাত করে। নগদ টাকা ও সোনার অলংকার লুট করে। পরে তার বৌমার ঘরে ঢুকেও লুটপাট চালায় দুষ্কৃতী। স্থানীয়দের দাবি, গ্রামে তিনদিন ধরে কীর্তনের আসর চলছে। আক্রান্ত পরিবারের চিৎকারে টেরও পাননি গ্রামবাসীরা। দুষ্কৃতী পালিয়ে যেতেই হইচই পড়ে গ্রামে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বটিটি উদ্ধার করেছে। তবে গ্রামের মধ্যে বাড়িতে ঢুকে হামলা চালিয়ে লুটের ঘটনায় আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা।
কলকাতার প্রাণকেন্দ্র সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউতে শয্যাশায়ী একাকী প্রৌঢ়াকে অস্ত্র দেখিয়ে, তার থেকে কয়েক লক্ষ টাকা ও সোনার গয়না লুঠ করা হয় বলে অভিযোগ। বুধবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ লুঠপাটের ঘটনা ঘটেছে, অথচ এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার রাত ১১.২০ মিনিটে দুই দুষ্কৃতী ৩২৬ সেন্ট্রাল অ্য়াভিনিউর এই বাড়ির মেন গেটে পৌঁছয়। এক দুষ্কৃতী বাড়ির ভিতরে না গিয়ে পার্কিংয়ে থাকা গাড়ির পিছনে লুকিয়ে যায়। আরেক দুষ্কৃতী কেয়ারটেকারের ঘরে ঢুকে তাঁর গলায় ছুরি ধরে। বাড়ির সদর দরজা খোলার ব্যবস্থা করতে বলা হয়। এরপর কেয়ারটেকার নিজের মোবাইল ফোন থেকে ওপরে থাকা পরিচারিকাকে ফোন করেন। বলেন জল খাবেন। পানীয় জল নেওয়ার জন্য যেন দরজা খুলে দেওয়া হয়। পরিচারিকা জানান, তিনি ওষুধ খেয়ে শুয়ে পড়েছেন। কিন্তু কেয়ারটেকার বারবার আর্জি জানানোয় শেষ পর্যন্ত রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্যে দরজা খুলে দেন তিনি। পুলিশ সূত্রে দাবি, তখনই কেয়ারটেকারের সঙ্গে সশস্ত্র দুষ্কৃতী বাড়ির ভিতরে ঢুকে পড়ে। কেয়ারটেকার যাতে আর কাউকে ফোন করতে না পারে, তার জন্য তাঁর মোবাইল ফোন নিজের হেফাজতে নিয়ে নেয় দুষ্কৃতী। দোতলায় গিয়ে কেয়ারটেকার দুষ্কৃতীর ভয়ে খাটের নীচে লুকিয়ে পড়েন। আর দুষ্কৃতী পৌঁছে যায় একেবারে তিনতলায় একাকী প্রৌঢ়ার বন্ধ ঘরের সামনে। ভিতর থেকে পরিচয় জানতে চাইলে, দুষ্কৃতী নিজেকে কালু বলে পরিচয় দেয়। এরপর দরজা খুলতেই শুরু হয়ে যায় অ্যাকশন।
পুলিশ সূত্রে খবর, দুষ্কৃতী গামছা ও কাপড়ে মুখ ঢেকে এসেছিল। সেই গামছা ও কাপড় ঘটনাস্থল থেকেই উদ্ধার হয়েছে। পরিচারিকা ও কেয়ারটেকার যে বয়ান দিয়েছেন, তার কিছু জায়গা নিয়ে সন্দিহান পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, কেয়ারটেকারের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া মোবাইল ফোন, লুঠের পর তাঁর ঘরের সামনে রেখে যায় দুষ্কৃতী। গোড়া থেকেই পুলিশের অনুমান, ঘটনার সঙ্গে পরিচিত কেউ বা কারা জড়িত। তাহলে দুষ্কৃতীর ভয়ে একজন কেয়ারটেকার দেড়ঘণ্টা খাটের নীচে লুকিয়ে রইলেন কেন? এই তথ্যও ভাবাচ্ছে গোয়েন্দাদের। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউর অভিজাত বাড়িতে লুটপাটের ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেফতার না হওয়ায়, রাজনৈতিক তরজা আরও তীব্র হয়েছে।
আরও পড়ুন: RG Kar News: খারাপ মেশিন, চূড়ান্ত দুর্ভোগ রোগীদের; ফের শিরোনামে আরজি কর
আরও দেখুন