Cancer Study: ধূমপান ক্যানসারের অন্যতম মুখ্য কারণ। তবে এমনও দেখা গিয়েছে, কখনও একবারও ধূমপান করেননি, এমন ব্যক্তিও ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন। দেশে এমন অ-ধূমপায়ীদের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা ক্রমেই (Cancer Study) বেড়ে চলেছে। আর এর মূল কারণ হিসেবে দায়ী ক্রমবর্ধমান বায়ুদূষণ। মঙ্গলবার ৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ক্যানসার দিবসে (World Cancer Day) ‘দ্য ল্যান্সেট রেসপিরেটরি মেডিসিন জার্নাল’ প্রকাশ পেয়েছে যেখানে একটি সমীক্ষায় ধরা পড়েছে ভয়ঙ্কর তথ্য। বৈশ্বিক নানা সংস্থার সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে অ-ধূমপায়ীদের মধ্যেই ফুসফুসের ক্যানসারের (Lung Cancer) মাত্রা বাড়ছে। শুধু দেশেই নয়, সারা বিশ্বেই এই সংখ্যাটা বাড়ছে। চিন্তার ভাঁজ পড়ছে কপালে।
ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যানসার, ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন ইত্যাদি বৈদেশিক সংস্থা ২০২২ সালের গ্লোবাল ক্যানসার অবজারভেটরির তথ্য সমীক্ষা করে দেখেছে দেশে জাতীয় স্তরে মূলত চার ধরনের ক্যানসারের প্রকোপ বেড়ে চলেছে। এর মধ্যে রয়েছে অ্যাডিনো কার্সিনোমা, স্কোয়ামাস সেল কার্সিনোমা, স্মল এবং লার্জ সেল কার্সিনোমা। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, পুরুষ ও মহিলা উভয়ের মধ্যেই অ্যাডিনো কার্সিনোমার প্রকোপ বেড়ে চলেছে। এই ক্যানসার মূলত শরীরে তরল উৎপাদনকারী গ্রন্থিতে দেখা যায়, যেমন মিউকাস গ্রন্থি এবং পাচনগ্রন্থি।
এরই সঙ্গে ২০২২ সালের তথ্য পর্যালোচনা করে এই সমীক্ষায় জানা গিয়েছে ৫৩ থেকে ৭০ শতাংশ ফুসফুসের ক্যানসারের প্রকোপ দেখা গিয়েছে এমন ব্যক্তিদের মধ্যে যারা জীবনে কখনই ধূমপান করেননি। সারা বিশ্বেই এই প্যাটার্ন রয়েছে। ফুসফুসের ক্যানসারের অন্যান্য সাব-টাইপগুলির মধ্যে সিগারেট খাওয়ার সঙ্গে সবথেকে কম এবং দুর্বল সম্পর্ক রয়েছে অ্যাডিনো কার্সিনোমার। সমীক্ষার রিপোর্টে লেখা হয়েছে, ‘বিশ্বজুড়ে অনেক জায়গাতেই ধূমপানের প্রবণতা কমছে, কিন্তু এমন ব্যক্তি যারা কখনও ধূমপান করেননি তাদের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার মাত্রা বাড়ছে। ধূমপানের প্যাটার্নের বদল, প্রবল বায়ুদূষণ এর মূল কারণ হিসেবে দায়ী। এখনকার যে ফুসফুসের ক্যানসারের সাবটাইপ আমরা দেখছি, তার পিছনে এই কারণগুলি সবথেকে বেশি কাজ করেছে। আইএআরসির মুখ্য ক্যানসার সার্ভেইলেন্স শাখার প্রধান ফ্রেডি বি জানিয়েছেন এই তথ্য।
বর্তমানে ফুসফুসের ক্যানসার থেকেই বহু মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। সারা বিশ্বজুড়ে অ-ধূমপায়ীদের মধ্যে ফুসফুসের ক্যানসার ধরা পড়ছে সবথেকে বেশি এবং ক্যানসারে মৃত্যুর ৫ ভাগের ১ ভাগই এই কারণে। একে বলা হচ্ছে অ্যাডিনো কার্সিনোমা এবং মহিলা, এশীয় জনসংখ্যার মধ্যে ক্রমেই এর প্রকোপ বাড়ছে। ২০২২ সালে সারা বিশ্বে মহিলাদের মধ্যে ৯,০৮,৬৩০ জন ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন, এর মধ্যে আবার ৫,৪১,৯৭১ জনের দেখা গিয়েছে অ্যাডিনোকার্সিনোমা। আবার এর মধ্যে ৮০,৩৭৮ জনের ক্যানসারের মূল কারণ পার্টিকুলেট ম্যাটার পলিউশন।
আরও পড়ুন: World Cancer Day : ‘কেমো মানেই চুল পড়া, বিছানায় পড়ে যাওয়া নয়, এক তৃতীয়াংশ ক্যান্সার সারানো সম্ভব’
Check out below Health Tools-
Calculate Your Body Mass Index ( BMI )
Calculate The Age Through Age Calculator
আরও দেখুন
+ There are no comments
Add yours