কলকাতা: মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিধানসভার সচিবের কাছে অনাস্থা প্রস্তাব (No Confidence Motion) জমা দিলেন বিরোধী দলনেতা ও নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বিজেপির পক্ষ থেকে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ১৮ দফা অভিযোগ এনে ওই অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেওয়া হয়। এই প্রস্তাব জমা দেওয়ার সময় শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে ছিলেন বিজেপির (BJP) অন্য বিধায়করাও। তাঁদের অভিযোগ, এর আগেও বিজেপির পক্ষ থেকে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের (West Bengal Legislative Assembly Speaker Biman Banerjee) বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, সেই প্রস্তাব নিয়ে কোনও আলোচনাই হয়নি।
অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেওয়ার পর বিধানসভার বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আমরা পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দিয়েছি। গত তিন বছর ধরে বিরোধীদের সঙ্গে পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করে আসছেন বিধানসভার মাননীয় অধ্যক্ষ। পাশাপাশি সংবিধানকেও অগ্রাহ্য করছেন। পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যানের পদ বিরোধীদের দেওয়া হয়নি। একটি স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান পদেও বিরোধীদের বসানো হয়নি। রাজ্যপাল ডেপুটি স্পিকারকে উপনির্বাচনে জেতা নতুন বিধায়কদের শপথ গ্রহণ করাতে বলেছিলেন। বিধানসভায় ডেপুটি স্পিকার উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও স্পিকার রাজ্যপালের নির্দেশ অমান্য করে নিজেই নবনির্বাচিত বিধায়কদের শপথ বাক্য পাঠ করান। যিনি সংবিধানকে অগ্রাহ্য করে এই কাজ করেন তাঁর সাংবিধানিক পদে থাকা উচিত নয়। তাই বিজেপির তরফ থেকে বিধানসভার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেওয়া হয়েছে। আজ জমা দেওয়া অনাস্থা প্রস্তাবে মোট ১৮টি নির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। অধ্যক্ষ মহাশয় বিধানসভাতে শুধুমাত্র শাসকদলের বিধায়কদেরই কথা বলার সুযোগ দেন। রাজ্যের যে সমস্যা রয়েছে তা নিয়ে বিধানসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে কোনও আলোচনাই হয় না। বিধানসভায় সবসময় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আক্রমণ করে মন্তব্য করা হয়। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে অপমানজনক মন্তব্য করা হয়। আমরা যখন রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় মহিলাদের ওপর অত্যাচারের ঘটনা নিয়ে আলোচনা করতে চাই তখন তা করতে দেওয়া হয় না। উলটে মণিপুরের উদাহরণ দেওয়া হয়। প্রতি সোমবার বিধানসভায় পুলিশ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। কিন্তু, মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশ মন্ত্রী কোনওদিনই ওই বিষয়ে আলোচনার সময় বিধানসভায় উপস্থিত থাকেন না।”
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: Anubrata Mondal: গরুপাচার মামলায় জামিন অনুব্রতর, নিষ্কৃতি তিহাড় থেকে ?
আরও দেখুন