রাজ্যের ১৭টি ধর্মীয় স্থানে মদ নিষিদ্ধ, মুখ্যমন্ত্রী নিলেন বড় সিদ্ধান্ত ; কোথায় – কবে থেকে ?
Dry States: গুজরাত (Gujrat Dry State) ,বিহারের পথেই এবার হাঁটতে চলেছে দেশের এই রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজ্যের ১৭টি ধর্মীয় স্থানে (Religious Places) মদ নিষিদ্ধ (Liquor Ban) করা হয়েছে। এই জায়গাগুলিতে মদ বিক্রি ও পান করা যাবে না।
কোন রাজ্যে হয়েছে এই ঘোষণা
শুক্রবার মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদবের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) সরকার ১৭টি বিশিষ্ট ধর্মীয় স্থানে মদ বিক্রি ও পানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। যে ধর্মীয় স্থানগুলিতে মদ নিষিদ্ধ করা হবে, সেগুলির মধ্যে রয়েছে- উজ্জানের মহাকালেশ্বর, ওরছা (রাজা রামের মন্দির, অমরকন্টক (নর্মদা নদীর তীরে), সাতনা জেলার চিত্রকুট ও অন্যান্য ধর্মীয় স্থান।
মন্ত্রিসভায় কী হয়েছে
১৮ শতকের হোলকার রাজবংশের শাসক অহল্যাবাই হোলকারের ৩০০ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে খারগোন জেলার মহেশ্বরে অনুষ্ঠিত একটি মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মহেশ্বর ছিল হোলকার রাজবংশের রাজা। মধ্যপ্রদেশ সরকার শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেছে, “আজ মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদবের সভাপতিত্বে মহেশ্বরে অনুষ্ঠিত একটি বিশেষ মন্ত্রিসভার বৈঠকে রাজ্যের বিভিন্ন ধর্মীয় স্থানে মদ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
মদ নিষিদ্ধ হওয়ায় ৪৫০ কোটি হারাবে রাজ্য
এমপিতে এই নতুন মদ নীতি ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর করা হবে৷ এই আংশিক নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে সঙ্গে মধ্যপ্রদেশ ‘ড্রাই স্টেট’ বা মদ নিষিদ্ধ রাজ্য়গুলির তালিায় প্রবেশ করবে। এই রাজ্যগুলির মধ্যে রয়েছে-গুজরাত, বিহার, নাগাল্যান্ড, মিজোরাম ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল (UT) লাক্ষাদ্বীপের নাম৷ এর ফলে এই ধর্মীয় স্থানগুলিতে পরিচালিত প্রায় ৫০টি মদের দোকান স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। যে কারণে সরকার ৪৫০ কোটি টাকা পর্যন্ত আবগারি রাজস্ব হারাবে।
বছরে মদ থেকে ১৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আসার কথা
২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে বছরের জন্য আবগারি রাজস্ব ১৫,০০০ কোটি টাকা অনুমান করা হয়েছে। মদের নিষেধাজ্ঞা থেকে আবগারি রাজস্বের ক্ষতি সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রী যাদব বলেছেন, সরকারের রাজস্বের জন্য অন্যান্য বিভিন্ন সংস্থান রয়েছে। সেখান থেকে এই ক্ষতি পূরণ করা হবে। সংবাদ সংস্থা আইএএনএসকে যাদব বলেছেন,”যখন বিষয়টি জনস্বার্থ ও ধর্মীয় বিশ্বাসের সঙ্গে সম্পর্কিত, তখন এই ধরনের সিদ্ধান্তগুলি আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। সরকারের অন্যান্য বিভিন্ন রাজস্ব সংস্থান রয়েছে। আমি নিশ্চিত যে ক্ষতি পূরণ করা হবে।”
বিজেপির মধ্য়ে মদ নিষিদ্ধের বিষয়ে দ্বন্দ্ব
এমনিতে মধ্যপ্রদেশে বিজেপির মধ্যেই মদের উপর নিষেধাজ্ঞা একটি রাজনৈতিক অস্ত্র। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উমা ভারতী সহ আরও নেতারা প্রায়শই মদ বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার পক্ষপাতী। এই ক্ষেত্রে অনীহা দেখানোর জন্য তার নিজের দলের সরকারকেই প্রশ্ন করেছেন তাঁরা। গত বছর ভারতীর সহযোগীরা ভোপালের মদের দোকানে পাথর ছুঁড়েছিল। স্কুল ও ধর্মীয় স্থানের কাছে মদের দোকানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিল বিজেপির এই ব্রিগেড। অতীতে ভোপালের প্রাক্তন সাংসদ প্রজ্ঞা ঠাকুরও রাজ্যে মদ বিক্রির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন।
Best Stocks To Buy: তিন বছরে ১ লাখকে ১ কোটি করেছে এই স্টক, ৮৫ পয়সা হয়েছে ৮৫ টাকা !
আরও দেখুন