জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: হাফিজ সইদের সঙ্গী ও লস্কর ই তৈবার গুরুত্বপূর্ণ নেতা আবু কাতাল নিহত। শনিবার সন্ধেয় পঞ্জবের ঝেলম এলাকায় তিনি যখন গাড়িতে যাচ্ছিলেন সেই সময় তাকে লক্ষ্য় গুলি চালিয়ে দেয় আততায়ীরা। প্রায় ১৫-২০ রাউন্ড গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যায় আবু কাতাল ওরফে জিয়া উর রহমান ও তার তার দেহরক্ষীর দেহ। লস্কর প্রধান হাফিজ সইদের কাছের মানুষ বলে মনে করা হয় কাতালকে। ওই ঘটনার সঙ্গেই একটি খবর রটে যায় যে হাফিজ সইদও আহত হয়েছেন। কিন্তু পরে জানা যায় ওই খবর ভিত্তিহীন।
আরও পড়ুন-মিছিল সমাবেশে গুলি করা যাবে না! বদলের বাংলাদেশের উচ্চ আদালতের রায়…
সূত্রের খবর, আবু কাতালের নিরাপত্তায় থাকত তার নিজস্ব নিরাপত্তারক্ষী ও সাদা পোশাকের পাক সেনা জওয়ানরা। গতকাল সন্ধেয় হামালা চালানো হয় ঝেলম এলাকার জিনাত হোটেলের খুব কাছে। জায়গাটি দিনা পঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের খুব কাছেই। সন্ধে সাতটা নাগাদ যখন আবু কাতালের কনভয় ওই জায়গা দিয়ে যাচ্ছিল সেইসময় তার কনভয়ে গুলি চালিয়ে দেয় আততায়ীরা।
মুম্বই জঙ্গি হামলার মূল মাথা হাফিজ সইদের খুব কাছের মানুষ বলে পরিচিত আবু কাতাল। গত ৯ জুন জম্মু ও কাশ্মীরের রেসাই জেলায় শিব খোরি মন্দিরে বেশ কয়েকজন পুণ্যার্থী যাচ্ছিলেন। তাদের উপরে একটি হামলা হয়। সেই হামলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল আবু কাতালের।
হাফিজ সইদই আবু কাতালকে লস্কর ই তৈবার অপারেশনাল কমান্ডার হিসেবেই নিয়োগ করেন। হাফিস সইদের নির্দেশেই জম্মু ও কাশ্মীরে বিভিন্ন হামলা পরিচালনা করত কাতাল। ২০২৩ সালের রাজৌরি হামলায় আবু কাতালের ভূমিকা রয়েছে বলে তার চার্জশিটে জানিয়েছিল এনআইএ। ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি রাজৌরির ধাংরি গ্রামে হামলা চালায় জঙ্গিরা। এক আইইডি বিস্ফোরণে নিহত হন ৭ জন। পুঞ্চ থেকে রাজৌরি এলাকায় বহু হামলার মাথা ছিল এই কাতাল।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)
+ There are no comments
Add yours