NOW READING:
শার্টের বোতাম খুলেই কোর্টে হাজিরা ! এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড আইনজীবীকে
April 11, 2025

শার্টের বোতাম খুলেই কোর্টে হাজিরা ! এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড আইনজীবীকে

শার্টের বোতাম খুলেই কোর্টে হাজিরা ! এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড আইনজীবীকে
Listen to this article


Lawyer Jailed: এলাহাবাদ হাইকোর্ট স্থানীয় আইনজীবী অশোক পাণ্ডেকে ৬ মাসের কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছে ২০২১ সালের আদালত অবমাননার (Lawyer Jailed) মামলায়। আদালতে আইনজীবীর পোশাক (Allahabad High Court) না পরেই এবং শার্টের বোতাম না লাগিয়েই হাজির হয়েছিলেন আইনজীবী অশোক পাণ্ডে আর তাই এই সাজা ঘোষণা করেছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিবেক চৌধুরী এবং বি আর সিংয়ের ডিভিশন বেঞ্চ রায় ঘোষণা করে জানিয়েছে যে অশোক পাণ্ডের অতীতের আচরণ, তাঁর কৃত অপরাধ এবং আদালতকে আইনি প্রক্রিয়ায় সহায়তা না করার কারণে এই দৃষ্টান্তমূলক সাজা দেওয়া হয়েছে তাঁকে। এই সাজা নিশ্চিত করা প্রয়োজন ছিল। শুধু ৬ মাসের কারাদণ্ডই নয়, আইনজীবীকে ২ হাজার টাকার জরিমানাও ধার্য করেছে আদালত। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে এই জরিমানার টাকা জমা না দিলে আইনজীবীকে আরও এক মাসের কারাদণ্ড অতিরিক্ত ভোগ করতে হবে।

অশোক পাণ্ডেকে লক্ষ্ণৌয়ের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে (Allahabad High Court) আত্মসমর্পণের জন্য ৪ সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে আদালত তাঁর উদ্দেশ্যে একটি শো-কজ নোটিশও জারি করেছে যাতে জানতে চাওয়া হয়েছে কেন অশোক পাণ্ডেকে এলাহাবাদ হাইকোর্ট এবং লক্ষ্ণৌ বেঞ্চে আইনচর্চা করতে দেওয়া হবে এবং সেই অধিকার খর্ব করা হবে না। ১ মে-র আগে তাঁকে এই প্রশ্নের যথাযথ উত্তর জানাতে বলা হয়েছে।

ঘটনাক্রমে জানা গিয়েছে, ২০২১ সালের অগাস্ট মাসে আদালতে অনুপযুক্ত পোশাক পরে আসায় এবং আদালতকে অবমাননা করার ফলেই এই মামলা শুরু হয়েছিল। যখন বিচারকরা তাঁকে আদালত ছেড়ে বলেন, তখন তাদের ‘গুণ্ডা’ বলে সম্বোধন করেছিলেন আইনজীবী অশোক পাণ্ডে।

বেশ কয়েকবার সুযোগ পাওয়া সত্ত্বেও অশোক পাণ্ডে এই অভিযোগের সাপেক্ষে কোনও জবাব দেননি। ২০১৭ সালেও আদালত তাঁকে ২ বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল। আর সেটিও যে এই কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়ার একটি কারণ তা জানিয়েছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট।

গত বছর অক্টোবর মাসে সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল জবাব করতে গিয়ে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের কাছে জোর ধমক খান এক আইনজীবী। একটি মামলার শুনানি চলার সময় কথ্যভাষা বলার অপরাধে চটে যান প্রধান বিচারপতি। ইংরেজিতে ‘ইয়েস’ শব্দটিকে ছোট করে ‘ইয়া ইয়া’ বলছিলেন সেই আইনজীবী আর তাতেই বেজায় আপত্তি তোলেন ডিওয়াই চন্দ্রচূড়।

আরও দেখুন



Source link