জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ‘ওর মধ্যে ক্রিশ্চিয়ানোর (রোনাল্ডো) স্তরে পৌঁছনোর মতো গুণ রয়ছে। তবে ওকে পরিশ্রম করতে হবে। ক্রিশ্চিয়ানো অনেক উঁচু মানদণ্ড তৈরি করে দিয়েছে। এমবাপে এখন এই ক্লাবে ওর কেরিয়ার শুরু করেছে। আমার মনে হয় ওর গুণমান এবং রিয়ালের হয়ে খেলার যে রোমাঞ্চ রয়েছে, তাতে ও ক্রিশ্চিয়ানো’র স্তরে পৌঁছতে পারবে, আবারও বলছি কাজটা সহজ হবে না। প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে। সবাই ওর হ্যাটট্রিকের অপেক্ষায় ছিল এবং অবশেষে সেটা হল।’
আরও পড়ুন: মিনি বিশ্বকাপে টাইগারদের বিরুদ্ধে ভারতের বোধন! ম্যাচ দেখার এ-টু-জেড জানুন এখনই…
স্যান্টিয়াগো বের্নাব্যুতে রিয়াল মাদ্রিদ ৩-১ গোলে ম্যাঞ্চেস্টার সিটিকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোয়। অকল্পনীয় ফুটবল খেললেন ফ্রান্সের নায়ক কিলিয়ান এমবাপে। হ্যাটট্রিক হিরো সব আলো কেড়ে নিলেন। দুই লেগ মিলিয়ে কার্লো কার্লো আনচেলোত্তির টিম ৬-৩ হারাল পেপ গুয়ার্দিওলার টিমকে। উপরের অনুচ্ছেদের উদ্ধৃতি ডন কার্লোরই, যিনি খেলার পর এমবাপেকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন।
কার্লোর কোচিংয়েই বহু বছর খেলেছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। রিয়ালের কিংবদন্তি সিআরসেভেন। ৪৩৮ বার রিয়ালের জার্সিতে মাঠে নেমে ৪৫১ গোল করেছেন রোনাল্ডো। যিনি রিয়ালের হয়ে জিতেছেন চারটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, দুটি লা লিগা, দুটি কোপা দেল রে এবং একাধিক ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক সম্মান। এমবাপে বরাবার চেয়েছেন তাঁর আইডল ক্রিশ্চিয়ানোর মতো হতেই।
রোনাল্ডো বলতে এমবাপে পাগল। একথা সারা বিশ্ব সংসার জানে। বরাবরই এমবাপে চেয়েছেন সর্বকালের রোনাল্ডোর খেলে যাওয়া ক্লাবের জার্সি গায়ে চাপাতে। এমবাপের স্বপ্নের ক্লাব ছিল রিয়ালই। একটা সময়ে ছিল যখন এমবাপের ঘরের দেওয়ালে তাঁর স্বপ্নের নায়ক রোনাল্ডোর ছবিই থাকত। ছোট্ট এমবাপের সেই ছবিও পরে ভাইরাল হয়। রিয়ালে যোগ দিয়ে সিআর সেভেনের সঙ্গে ছবি শেয়ার করে এমবাপে লিখেছিলেন, ‘স্বপ্ন সত্যি হল। খুবই খুশি এবং গর্বিত স্বপ্নের ক্লাবে যোগ দিতে পেরে। আমি যে কত’টা রোমাঞ্চিত, তা বলে বোঝাতে পারব না। সেই পোস্ট দেখে রোনাল্ডো লিখেছিলেন, ‘এবার আমি দর্শক। বের্নাব্যুতে তুমি আলো জ্বালছ, দেখার অপেক্ষায় রয়েছি।’
আরও পড়ুন: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগেই বিরাট আপডেট, এই ভারতীয় বিশ্বের ১ নম্বর হয়ে মুছলেন বাবরকে…
এমবাপে আলো জ্বাললেন, তাও হাজার ওয়াটের। শুরুতে রিয়ালের জার্সিতে ছাপ রাখতে না পারায়, অনেকেই তাঁর সমালোচনা করেছিলেন, কিন্তু এমবাপে বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো ও লিয়োনেল মেসির মশাল তিনিই বহন করবেন। সিটির বিরুদ্ধে জ্বালিয়েছেন সেই মশাল। খেলার ৪ মিনিটেই গোলের মুখ খুলে ফেলেন এমবাপে। এগিয়ে আসা গোলকিপারের মাথার উপর দিয়ে চিপ করে বল জালে জড়িয়ে দেন। এরপর ৩৩ মিনিটে এমবাপে করেন দ্বিতীয় গোল, রডরিগোর থেকে বল পেয়ে দারুণ ডজে ইয়োশকো ভার্দিওলকে এড়িয়ে জোরাল নীচে শটে জালে খুঁজে নেন এমবাপে। এরপর দ্বিতীয়ার্ধের ৬১ মিনিটে ডিবক্সে ঢুকে আড়াআড়ি শটে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন। ৯২ মিনিটে নিকো গঞ্জালেজ সিটির হয়ে একমাত্র গোলটি করেন।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউট পর্বে দু’টি হ্যাটট্রিক করা ফুটবলারদের তালিকায় রোনাল্ডো-মেসি, করিম বেঞ্জেমা এবং রবার্ট লেওয়ানডস্কিরা ছিলেন এতদিন। যোগ দিলেন এমবাপে। চার হ্যাটট্রিকে শীর্ষে আছেন সিআর সেভেন। ২০১৬-১৭ মরসুম থেকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউট পর্যায়ে সর্বাধিক গোল করা ফুটবলার হয়ে গেলেন এমবাপে। তাঁর ঝুলিতে এখন ২৩ গোল।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)