কুলতলির ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত ১, কাল সাজা ঘোষণা করবে POCSO কোর্ট, ৬১ দিনের মাথায়

কলকাতা: কুলতলিতে নাবালিকা ধর্ষণ ও খুনে দোষী সাব্যস্ত এক। দোষী সাব্যস্ত হল মুস্তাকিন সর্দার। মুস্তাকিনকে দোষী সাব্যস্ত করল বারুইপুর POCSO আদালত। আগামী কাল বারুইপুর POCSO আদালতেই সাজা ঘোষণা হবে দোষী সাব্যস্তের। নাবালিকা ধর্ষণ ও খুনের ৬০ দিনের মাথায় অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করা হল। আগামী কাল ৬১ দিনের মাথায় হবে সাজা ঘোষণা। (Kultali Incident)
গত ৪ অক্টোবর নিখোঁজ হয়ে যায় ওই নাবালিকা। ওই রাতেই তার দেহ উদ্ধার হয়। ৫ অক্টোবর নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনে গ্রেফতার করা হয় মুস্তাকিনকে। ৭ অক্টোবর ঘটনার তদন্তে SIT গঠন করা হয়। এর ২৫ দিনের মাথায়, গত ৩০ অক্টোবর পেশ হয় চার্জশিট। আর বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর মুস্তাকিনকে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত।(Baruipur POCSO Court)
আর জি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় যখন উত্তাল শহর কলকাতা, সেই সময় জয়নগরে ন’বছরের নাবালিকাকে খুন এবং ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। টিউশন পড়তে বেরিয়েছিল মেয়েটি। সেই সময় তার উপর অত্যাচার চালানো হয়। সেই নিয়ে পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন ওঠে। স্থানীয়রা ফুঁসে ওঠেন। ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি, অগ্নিসংযোগও করা হয় পুলিশ ফাঁড়িতেও।
অবশেষে সেই মামলায় মুস্তাকিনকে দোষী সাব্যস্ত করা হল। কাল সাজা ঘোষণা হবে। ধর্ষণ, খুন-সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের হয়েছিল মুস্তাকিনের বিরুদ্ধে। এর পর চার্জগঠন করা হয়। মোট ৬৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩২ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। আইনজীবীরা জানিয়েছেন, এই মামলায় বৈজ্ঞানিক তথ্যপ্রমাণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। সেই তথ্যপ্রমাণই মামলার কিনারা করার ক্ষেত্রে সহায়ক হল।সরকারি আইনজীবী মুস্তাকিনের সর্বোচ্চ সাজা, অর্থাৎ মৃত্যুদণ্ড চেয়েছেন।
এর আগে, কামদুনির ঘটনাতেও দ্রুত চার্জগঠন এবং বিচারপ্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। কিন্তু মামলা আটকে গিয়েছে উচ্চ আদালতে। ছাড়াও পেয়ে গিয়েছে অভিযুক্তরা। এক্ষেত্রেও তা হবে কি না, প্রশ্ন উঠছে। কিন্তু সরকারি আইনজীবী জানিয়েছেন, এক্ষেত্রে যে পরিমাণ তথ্যপ্রমাণ রয়েছে, নির্যাতিতার শরীর থেকে সংগ্রহ করা নমুনার সঙ্গে মুস্তাকিনের নমুনার মিলে গিয়েছে। তাই মুস্তাকিনের ছাড়া পাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। কাল কী সাজা হয় মুস্তাকিনের, তা-ই দেখার। যদিও আজ আদালতে মুস্তাকিন দাবি করে, তাকে ফাঁসানো হচ্ছে বলে। কিন্তু সমস্ত তথ্যপ্রমাণ তার বিরুদ্ধে গিয়েছে আদালতে।
আরও দেখুন