হিন্দোল দে, কোন্নগর: কোন্নগরে (Konnagar News) কিশোরকে নির্মম নির্যাতনের ঘটনায় এখনও অধরা অভিযুক্ত। আম পাড়তে যাওয়ায় কোন্নগরের কিশোরকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠেছে টোটোচালকের বিরুদ্ধে। হাসপাতাল থেকে আপাতত ছাড়া হল কোন্নগরের কিশোরকে। একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ছাড়া হল তাকে। ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এদিন কিশোরের বাড়িতে যায় বিজেপির প্রতিনিধি দল।
মহেশতলা, কালনা পর এবার নাবালকের ওপর অকথ্য অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছে কোন্নগরে। অভিযোগ, অন্যের গাছ থেকে আম পাড়ার কারণে নৃশংস অত্যাচার চালানো হয়েছে নাবালকের ওপরে। পেরেক লাগানো লাঠি দিয়ে মারধর, এমনকী নাবালকের চোখে-মুখে ঘুষি মারার অভিযোগও উঠেছে। ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার সন্ধেয়। উত্তরপাড়া থানার অন্তর্গত কোন্নগর পুর এলাকার বাসিন্দা, ১৪ বছরের এক কিশোর, বন্ধুর সঙ্গে একজনের বাড়ির গাছ থেকে আম পাড়তে গেছিল। অভিযোগ, সেইসময় এক টোটোওয়ালা ওই কিশোরকে বেধড়ক মারধর করে। পরিবারের দাবি, নাবালকের চোখে গুরুতর আঘাত লেগেছে। চোখের নীচের হাড়ে চিড় ধরেছে। মাথায় জমাট বেঁধেছে রক্ত। প্রথমে শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় নাবালককে। এরপর তাকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়। এদিন হাসপাতাল থেকে ছাড়া হয় তাকে।
কেমন আছে ওই কিশোর?
পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, কিশোরের অবস্থার তেমন একটা উন্নতি হয়নি। চিকিৎসকরা তার পরিবারকে জানিয়েছেন, মাথায় গুরুতর আঘাত লেগেছে। রক্ত জমাট বেঁধে রয়েছে। বাঁ দিকের চোখেও গুরুতর আঘাত লেগেছে। চোখের নিচের হাড়ে চির ধরেছে বলে চিকিৎসকরা পরিবারের সদস্যদের জানিয়েছেন। এর আগে নির্যাতিত নাবালকের মা অভিযোগ করেছিলেন, “পেরেক লাঠি দিয়ে ওকে এভাবে মার মেরেছে যে আধমরা হয়ে গেছে। পুরো অজ্ঞান হয়ে গেছে। ওর চোখটায় যেভাবে মেরেছে, একটা হাড় ভেঙে গেছে। এভাবে মারা উচিত নয়। আমার ছেলে যদি আমই পাড়ল তো ওর ঘরের অভিভাবককে তো জানাবে। তোমার ছেলে কত টাকার আম ছিল, অত টাকার আম…জানের থেকে তো বড় আম নয়।”
উত্তরপাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে নাবালকের পরিবার। শনিবার সকালে আমগাছের মালিক মৃণালকান্তি দত্তগুপ্তর বাড়তে যায় পুলিশ। কথা বলে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে।কে এই নাবালকের ওপর অকথ্য অত্যাচার চালাল, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।