রণয় তিওয়ারি: ট্যাংরাকাণ্ডের তদন্তে ফের সামনে এল আরও বড় ও চাঞ্চল্যকর আপডেট। ব্যবসার জন্য ৬টা এজেন্সি থেকে কোটি কোটি টাকা লোন নিয়েছিল ২ ভাই প্রসূন দে ও প্রণয় দে। আর্থিক টানাপোড়েনে সেই লোনের টাকা শোধ করতে না পেরেই ১৭ তারিখ, সোমবার দুপুরে পায়েসের মধ্যে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খেয়ে ৬ জন-ই খেয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে।
কিন্তু ১৮ তারিখ সকালে দুই ভাইয়ের ঘুম ভেঙে যায়। দুই ভাই দেখেন, তাঁরা বেঁচে রয়েছেন। কিন্তু বাড়ির দুই বউ ও দুটি বাচ্চা, তাঁদের তখনও জ্ঞান ফেরেনি। এরপর ঘুমন্ত অবস্থাতেই বাড়ির দুই বৌয়ের শিরা কাটে। এমনকি মৃত্যু নিশ্চিত করতে তাঁদের গলাতেও আঘাত করে। অপরদিকে মেয়ে টিরো-রও হাতের শিরা কেটে দেয়। পাশাপাশি, ছেলেরও হাতের শিরা কাটে ২ ভাই। কিন্তু ছেলেটির ঘুম ভেঙে যায়।
তখন ওই নাবালককে তাঁর বাবা মানে বড় ভাই বলেন,”চল তোকে ডাক্তারখানায় নিয়ে যাই।” যার উত্তরে ওই নাবালক বলে,”তোমরা যেখানে যাবে, আমিও সেখানেই যাব।” এরপরই ১৮ তারিখ রাতে ট্যাংরার বাড়ি থেকে গাড়ি করে ৩ জন বের হয়। আত্মহত্যা করার জন্য ২ থেকে ৩টে লোকেশন ঠিক করেছিলেন তাঁরা। ট্যাংরা থেকে বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে যায়। এরপর বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে থেকে কোনা এক্সপ্রেসওয়ে যায়। তারপর যায় দ্বিতীয় হুগলি সেতু। দ্বিতীয় হুগলি সেতু থেকে আসে AJC বোস সেতুতে। তারপর পার্ক সার্কাস হয়ে বাইপাসে যায়।
এরপরই অভিষিক্তার কাছে মেট্রোর পিলারে গিয়ে গাড়ি নিয়ে ধাক্কা মারে। গাড়ি চালাচ্ছিলেন বড়ো ভাই। দুই ভাইয়ের মধ্যে এক ভাইয়ের হাতের শিরা কাটা ছিল। তদন্তে পুলিস আরও জানতে পেরেছে যে, ব্যবসার জন্য ৬টা এজেন্সি থেকে দুই ভাই কোটি কোটি টাকা লোন নেওয়ার পাশাপাশি তাঁদের বাড়িটাও বন্ধক (মর্টগেজ) রাখা ছিল। এখন ২ ভাইয়ের মধ্যে কে হাতের শিরা কাটল ও গলায় আঘাত করল, তা পুলিস জিজ্ঞাসাবাদ করে দেখছে।
আরও পড়ুন, Kolkata Tangra Murder Case: ট্যাংরায় কখন কীভাবে ‘খুন’ ২ মহিলা ও কিশোরী? স্পষ্ট হয়ে গেল ময়নাতদন্তের রিপোর্টে!
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)