ঐশী মুখোপাধ্যায়, কলকাতা : ফের কলকাতার রাস্তায় ধস। রডন স্ট্রিট ও ময়রা স্ট্রিটের ক্রসিংয়ে নামল ধস। ধসের জেরে রাস্তার সেই অংশে গভীর গর্ত তৈরি হয়েছে। অভিযোগ উঠছে, দিন দশেক আগে ওই রাস্তায় ধস নামলেও, এখনও মেরামতির কাজ শুরু হয়নি। এদিকে গর্তের অংশে লোহার পাত চাপা দিয়ে রাখা হয় দিনের বেলায়। এই অবস্থাতেই ওই রাস্তায় যান চলাচল করে।
ঘটনার বিবরণ
রডন স্ট্রিটে ধস নামা অংশে লোহার একটি চাতাল পেতে, দুই দিকে দু’টি ব্যারিকেড দিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার দুই দিকে দিয়েই গাড়ি যাতায়াত করছে। এলাকাবাসী জানিয়েছেন, ৭-১০ দিন আগে ধস নামে। যদিও স্থানীয় কাউন্সিলরের দাবি, ঘটনাটি ঘটেছে তিন দিন আগে। নিকাশি ব্যবস্থার জটিলতায় আটকে ছিল। অনুমতি পাওয়া যাচ্ছিল না। পুলিশের পক্ষ থেকেও অনুমতি পাওয়া যাচ্ছিল না। সামনেই দু’টি বেসরকারি স্কুল রয়েছে। সেই স্কুলগুলির অনুমতি লাগবে। যেহেতু এদিকে গাড়ি যাতায়াত করে, তাই পুলিশ অনুমতি দিতে চায়নি। তবে, এখন অনুমতি পাওয়া গেছে। যত দ্রুত সম্ভব তাঁরা কাজ শুরু করবেন।
স্থানীয় এক বাসিন্দার বক্তব্য, “১০ দিন হল। দিনের বেলায় শিটটা চাপানো হয়। রাতে ব্যারিকেড লাগানো হয়। পুলিশকে বললাম। পুলিশ বলল, দেখছি।”
যদিও ৬৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুস্মিতা ভট্টাচার্য বলছেন, “মঙ্গলবার রাতে হয়েছে। আজ শুক্রবার। ওই রাস্তাটি রক্ষণাবেক্ষণ করে ড্রেনেজ বিভাগ। যার এক্সিকিউটিভ উৎপলেন্দু চক্রবর্তী। বুধবার সকালে আমরা খবর দিই। ড্রেনেজ এসে ওটা ঘিরে রেখেছে। আমরা অনুমতি পাইনি কারণ, সাপ্তাহিক কাজের দিন, সেখানে স্কুল রয়েছে। পুলিশি অনুমতি পাচ্ছিলাম না। আজ আমরা অনুমতি পেয়ে গেছি। আজ রাতে কাজ হবে। ওই জোনটা ইস্ট্র ট্র্যাফিক গার্ডের অধীনে। ১০ দিন নয়, তিনদিন হয়েছে।”
২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে বেহালার (Behala) ঠাকুরপুকুর বাজারের (Thakurpukur Market) কাছে ডায়মন্ড হারবার রোডে (Diamond Harbour Road) রাস্তায় ধস নামে। সকাল ৮টা নাগাদ আচমকা ধস নামে। ধস নেমে রাস্তার ধারের সিইএসসির (CESC) বক্স হেলে পড়ে। ধসে অনেকখানি বসে যায় রাস্তা। বিশালাকারের গর্ত তৈরি হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন ঠাকুরপুকুর থানার (Thakurpukur PS) পুলিশ ও পুরকর্মীরা। সাদা বালি দিয়ে ধসে যাওয়া রাস্তার অংশ বোজানোর চেষ্টা করা হয় প্রাথমিকভাবে। ঠাকুরপুকুর বাজারের কাছে বহুদিন ধরে ভূ-গর্ভস্থ পাইপ লাইনের কাজ চলছিল। তার জেরেই ধস বলে মনে করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
ঘটনার জেরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। ধসের জেরে জলের পাইপলাইন (Water Pipeline) ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর জেরে ঠাকুরপুকুর এবং সংলগ্ন এলাকায় জলের পরিষেবা ব্যাহত হয়। শুধু তা-ই নয়, গোটা এলাকায় বিদ্যুৎ (Electric) সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। অর্থাৎ জল ও বিদ্যুতের অভাবে চরম সমস্যায় পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা।
আরও দেখুন
+ There are no comments
Add yours