NOW READING:
একাকী শয্যাশায়ী প্রৌঢ়া ! বাড়ির ভিতরে ঢুকে পড়ল দুষ্কৃতী, খাস কলকাতায় হাড়হিম ঘটনা !
February 14, 2025

একাকী শয্যাশায়ী প্রৌঢ়া ! বাড়ির ভিতরে ঢুকে পড়ল দুষ্কৃতী, খাস কলকাতায় হাড়হিম ঘটনা !

একাকী শয্যাশায়ী প্রৌঢ়া ! বাড়ির ভিতরে ঢুকে পড়ল দুষ্কৃতী, খাস কলকাতায় হাড়হিম ঘটনা !
Listen to this article


ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা : শহরে ফের দুঃসাহসিক লুঠ ! সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের বাড়ি থেকে লুঠ নগদ কয়েক লক্ষ টাকা । লুঠ করা হয়েছে সোনার গয়নাও । অস্ত্র দেখিয়ে অভিজাত পরিবারের এক প্রৌঢ়ার কাছ থেকে লুঠপাট চালায় দুষ্কৃতীরা। বাড়ির পরিচারিকা ও কেয়ারটেকারকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।

বটতলা থানা এলাকার ৩২৬ সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউতে রয়েছে ওই অভিজাত পরিবারের বাড়ি। সেখানকার বহুতলে দুঃসাহসিক ঘটনা ঘটে। এই বহুতলে এক বয়স্ক মহিলা থাকেন। কিছুদিন আগে তাঁর পা ভেঙে গেছে। তাঁকে তদারকি করার জন্য একজন অ্যাটেনডেন্ট আছেন। 

পুলিশ সূত্রে খবর, বাড়িত তলায় একজন কেয়ারটেকার আছেন। অনেকটা জায়গাজুড়ে বাড়িটা। বাইরের কেউ যাতে সেখানে ঢুকতে না পারেন তার জন্য ঘটনার পরপরই বটতলা থানার পুলিশ সেখানে পিকেট করে দেয়। 

এখানে একজন দুষ্কৃতী আসে। তার কাছে ধারালো অস্ত্র ছিল। দুষ্কৃতী আসার পর কেয়ারটেকার কলিং বেল বাজান। কেয়ারটেকার বলেন, তিনি জল নেবেন। এরপর কেয়ারটেকার উপরে উঠে যান। এরপরই ওই দুষ্কৃতী বয়স্ক মহিলাকে ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা এবং সোনায় গয়না লুঠ করে নিয়ে চলে যায়।

ঘটনার পর বটতলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ আধিকারিকরা ওই কেয়ারটেকারকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। তদন্তকারী আধিকারিকরা মনে করছেন, অভ্যন্তরীণ কোনও যোগ থাকতে পারে। লালবাজার থানা এবং বটতলা থানার পুলিশ সেখানে রয়েছে। সিসি টিভি ফুটে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

বাড়ির পরিচারিকা বলেন, “আমি একটু জল খাব গেটটা খোল। বলছি, দেখ এখন আমি শুয়ে পড়েছি। পারছি না। বলছে, খোল না। আমি কিছুক্ষণ পর গেটটা খুলে দিয়েছি। আমি আবার নীচে নামিনি। রিমোটে খুলেছি। তারপর খিল দিয়ে আমি শুয়ে পড়েছি। আমি আর কিছু জানি না। আমি ঘুমের ওষুধ খেয়েছি। মাথা ঘুরছে…।” ওই প্রৌঢ়াকে ফিজিওথেরাপি করা ফিজিওথেরাপিস্ট তনয় মণ্ডল বলেন, “উনি তো একদম শয্যাশায়ী। উনি একাই থাকেন। কেয়ারটেকার আছেন। পরিচারিকা আছেন। এই দুই দিন আসিনি। হাঁটাচলা করতে পারেন না।”

ওই ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর তারকনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “রাতের কলকাতায় ১১টার পর আমাদের পার্টি অফিসটা বন্ধ হয়ে গেলে আমরা চলে যাই। লক্ষ্য রাখি। তারপরে এখানে বাইরের অনেক সমাজ-বিরোধীদের যাতায়াত আছে। পুলিশ পেট্রলিং থাকা দরকার। সোজা কথা বলতে গেলে, পুলিশের আরও তৎপর হওয়া উচিত। কারণ, উল্টো দিকের ফুটে বাইরের অনেক সমাজ-বিরোধী শেল্টার নেয়। এগুলো সব ১২টা-১টার পর। বটতলা থানাকে চিঠি দিয়েছি। ডিসি নর্থকেও বলেছি। পুলিশের আর একটি তৎপরতা বাড়ানোর দরকার আছে। বটতলা নিয়ে যত কম বলা যায় ততই ভালো। কারণ, আমি ওদের উপস্থিতি সর্বত্র পাই না।”

আরও দেখুন



Source link