যৌনাঙ্গে আঘাতের চিহ্ন, গলায় ফাঁসের দাগ; নিউটাউনে ধর্ষণ করেই খুন ছাত্রীকে!
সুকান্ত মুখোপাধ্যায় ও ঝিলম করঞ্জাই, নিউটাউন : নিউটাউনে ধর্ষণ করেই খুন করা হয়েছে ছাত্রীকে। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে প্রাথমিকভাবে এমনই বলা হচ্ছে। নাবালিকার যৌনাঙ্গে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। গলায় ফাঁসের দাগ, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে তাকে। এই পরিস্থিতিতে নাবালিকাকে যৌন হেনস্থায় পকসো ধারা যুক্ত করল পুলিশ। খুনের ধারা যুক্ত করে তদন্তে নেমেছে তারা। খতিয়ে দেখা হচ্ছে সিসি ফুটেজ। মায়ের বকুনি খেয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায় বছর ১৪-র তথা অষ্টম শ্রেণির ওই ছাত্রী।
এদিন নিউটাউনে অভিজাত বহুতলের পাশে নাবালিকার অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধার হয়। লোহা ব্রিজ এলাকার একটি জমি থেকে তার দেহ মেলে। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, মায়ের বকা খেয়ে রাত ১০টার কিছু পরে বেরিয়ে যায় ওই ছাত্রী। একটি চিঠি লিখে রেখে যায়। ১১টার কিছু পরে বাড়ি থেকে সাড়ে ৪ কিমি দূরে প্রথমে জগৎপুরে দেখা যায় তাকে। এরপর তার দেহ মেলে জগৎপুর থেকে সাড়ে ৬ কিলোমিটার দূরে এবং তার বাড়ি থেকে সাড়ে ৪ কিমি দূরে। তাই প্রশ্ন উঠছে, কীভাবে ওই নির্জন এলাকায় পৌঁছল ছাত্রী ? তা নিয়ে এখনও রহস্য রয়েছে। নাবালিকাকে ধর্ষণ-খুনে এখনও অধরা দুষ্কৃতীরা। এদিকে ছাত্রীকে গণধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। কারণ, ওই ছাত্রীর দেহ যেভাবে উদ্ধার হয়, তাতে একাধিক ব্যক্তির জড়িত থাকতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
লোহা ব্রিজের কাছে নিউটাউনের একটি সরু রাস্তার ধারে ঝোপ থেকে দেহটি উদ্ধার হয়। রাস্তার ধারে মাত্র ২-৩টি বাতির ব্যবস্থা রয়েছে। এলাকাবাসীর বক্তব্য, রাত ১০টার পর থেকেই ওই এলাকা কার্যত শুনশান হয়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে শুনশান জায়গার সুযোগ নিয়েই ওই ঝোপের মধ্যে মৃতদেহ ফেলে যাওয়া হয়ে থাকতে পারে। বা এখানে খুন করা হয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরেই নিউটাউনের লোহা ব্রিজ। যেখানে সন্ধে পর্যন্ত মার্কেট। মাংসের দোকান থেকে শুরু করে সমস্ত মার্কেট এলাকা খোলা থাকে । রাতের বেলা হলেও ঘটনাস্থলের পাশে থাকা সরু রাস্তা দিয়ে মাঝেমধ্যে লোকজন চলাচল করেন। ফলে, এইসব নজর এড়িয়ে কী করে এই ঘটনা তার পুরোটা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। অন্যত্র খুন করে দেহ সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার সঙ্গে একাধিক ব্যক্তি জড়িত বলে অনুমান করা হচ্ছে।
আরও দেখুন