<p><strong>ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী ও রাজা চট্টোপাধ্য়ায়, নিউটাউন ও জলপাইগুড়ি :</strong> নিউটাউনে নাবালিকাকে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় যখন পুলিশের জালে ধরা পড়েছেন টোটো চালক, তখন জলপাইগুড়িতে নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে আরেক টোটো চালককে। দু’টি ঘটনাতেই টার্গেট স্কুল ছাত্রীরা। দু’জনেই অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়া। পাশাপাশি প্রশ্ন উঠছে, টোটোর মতো গণপরিবহণের অন্য়তম এই লাইফলাইনের সুরক্ষা নিয়েই যদি বারবার প্রশ্ন উঠে যায়, তাহলে সাধারণ মানুষ যায় কোথায়!</p>
<p>নিউটাউন থেকে জলপাইগুড়ি…দূরত্ব প্রায় ৬০০ কিলোমিটার। কিন্তু মানসিক যন্ত্রণা ২ পরিবারকে পাশাপাশি এনে দাঁড় করিয়েছে। এক পরিবার তার ১৪ বছরের মেয়েকে হারিয়েছে। আরেক পরিবারের ১৪ বছরের মেয়ের সঙ্গে যা ঘটে গেছে, তার অভিঘাত চরম! দুই ঘটনাতেই টার্গেট স্কুল ছাত্রীরা। দু’জনেই অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়া। আর ২ ক্ষেত্রেই কাঠগড়ায় টোটোচালক। </p>
<p>গত ২১ জানুয়ারি, জলপাইগুড়িতে স্কুলে যাওয়ার জন্য প্রতিবেশী যুবকের টোটোয় ওঠে বছর ১৪-র কিশোরী। কিন্তু স্কুলে যাওয়ার বদলে মাঝপথে নাবালিকাকে জোর করে মাদক মেশানো চকোলেট খাওয়ায় বছর ছাব্বিশের টোটো চালক। আরও অভিযোগ, চকোলেট খাইয়ে বেহুঁশ করার পর নাবালিকাকে ধর্ষণ করে ওই যুবক। ভয়ে প্রথমে বাড়িতে কিছু না জানালেও মেয়ের স্কুলব্যাগে প্রেগন্যান্সি কিট দেখে সন্দেহ হয় মায়ের। জানাজানি হয় বিষয়টি।</p>
<p>নিউটাউন থেকে জলপাইগুড়ি! টোটোর মতো গণপরিবহণে মহিলাদের নিরাপত্তার এই হলে, সাধারণ মানুষ করবেটা কী ? নির্যাতিতা নাবালিকার দাদু বলেন, "শনিবার জানতে পারলাম, এই কিটটার জন্য জানতে পারলাম যে এই ঘটনা। আমাকে অজ্ঞান করে নিয়ে গেছে। চকোলেটের সঙ্গে কী নেশাজাতীয় জিনিস খাইয়েছে । যে জায়গাটা নিয়ে গেছে সেই জায়গাটা আমার পরিচিত না। নিরাপত্তা তো টোটালই নেই। এখন মা-বোনকে…যে পাঠাব কোন রিকশয় পাঠাব… আমরাও অনেক সময় আতঙ্কে থাকি। কী করে পাঠাব? টোটোরও কোনও সুরক্ষা নেই।" </p>
<p>বাড়ি থেকে বাচ্চাকে স্কুলে পাঠাতে, বাড়ি থেকে বাজারে যেতে, অফিসের জন্য স্টেশনে পৌঁছতে ভরসা টোটো-অটো। রাতবিরেতে ট্রেন, মেট্রো থেকে নেমে বাড়ি ফিরতেও ভরসা তো সেই তারাই। আর তাতে কি না এই ভয়ঙ্কর ঘটনা! </p>
<p>টোটোয় চাপার পর ক্লাস এইটের মেয়ের খুন-ধর্ষণের ঘটনায় আতঙ্কিত নিউটাউনের তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীরাও। সারিন্দা মুখোপাধ্য়ায় নামে নিউটাউনের এক আইটি কর্মী বলেন, খুবই ভয় লাগছে বেরোতে। প্লাস, আমরা তো নাইট শিফ্টও করি। রাতে যদি অফিস থেকে কোনওভাবে গাড়ি মিস হয়ে যায়…আমাদের তো পাবলিক ভেহিকলই ভরসা। নির্দিষ্টভাবে, ওদের তো ট্র্যাক করার কোনও উপায় নেই। যদি কোনও ঘটনা ঘটিয়ে যদি ওরা বেরিয়েও যায়…ট্র্যাক করার কোনও অপশন নেই। তাই টোটো-অটোয় উঠতে গেলে দশবার ভাতেই হবে।"</p>
Source link
নিউটাউন থেকে জলপাইগুড়ির ঘটনায় কাঠগড়ায় টোটোচালক ! গণপরিবহনে মহিলাদের নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে
