কলকাতা: আগামী রবিবার রামনবমী (Ram Nabami Poster)। তার আগেই চড়তে শুরু করেছে রাজনীতির পারদ। এবার শহরজুড়ে দেখা গেল রামনবমীর হোর্ডিং। কলকাতার নানা জায়গায় এই পোস্টার-হোর্ডিংয়ে রামনবমী পালনের বার্তা দেওয়া হয়েছে।
রামনবমীর এখনও এক সপ্তাহ বাকি। তার আগে চড়তে শুরু করেছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। কেউ বলছেন, বাধা পেলে প্রতিরোধ এমনকী প্রতিশোধ হবে। কেউ বলছেন আস্ত্র মিছিলের কথা। বিজেপির রাজ্য সভাপতির দাবি, বাংলায় হিনদুদের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। আবার তৃণমূলের বিধায়ক সওকত মোল্লা বলছেন, বিজেপি পরিকল্পিতভাবে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছে। কুণাল ঘোষ বলছেন, ধর্মকে পলিটিক্যাল ইভেন্টে পরিনত করতে গেলে পুলিশ বাধা দিতেই পারে। সবমিলিয়ে সুর সপ্তমে। এই আবহে কলকাতার নানা প্রান্তে দেখা গেল পোস্টার-হোর্ডিং। হোর্ডিংয়ে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ছবি। গতকাল রাতে ‘রামনবমী পালন করুন’ লেখা হোর্ডিং দেখা যায় শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, ধর্মতলার বিভিন্ন জায়গায়।
পরের রবিবার রামনবমী। তার আগে ধর্মীয় এই অনুষ্ঠানকে ঘিরে বঙ্গ রাজনীতিতে বিজেপি-তৃণমূলের হুমকি-হুঁশিয়ারির হাওয়া ক্রমশ তীব্র হতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে রামনবমীর দিন ১ কোটির বেশি হিন্দুকে রাস্তায় নামানোর ডাক দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি রামনবমীর মিছিলে ৪৩টি জায়গায় হামলার আশঙ্কা করেছে ‘শ্রীরামনবমী উদযাপন সমিতি’। এই আবহে হামলা হলে প্রতিশোধের ডাক দিয়েছেন ফালাকাটার বিজেপি বিধায়ক দীপক বর্মন। তিনি বলেন, “আইন শৃঙ্খলা ব্যাহত হওয়ার প্রশ্নই নেই যদি না অযাচিতভাবে কোনও তৃতীয়পক্ষ রামনবমীর মিছিলে আক্রমণ করে। যদি করে তাহলে সনাতনী হিন্দু মানুষ, যারা মিছিলে সামিল হবে তারাও ছেড়ে কথা বলবে না। প্রতিহত করবো তাতেও না হলে আমাদের প্রতিশোধের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।”
আবার বিজেপির নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার সদস্যের গলায় শোনা যায় অস্ত্র দিয়ে মিছিলের হুঁশিয়ারি। নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা কমিটির সদস্য চঞ্চল চক্রবর্তী বলেন, “অস্ত্র মানে রিভলভার নয়, বোমা নয়, আমাদের মা দুর্গার হাতে যে অস্ত্র থাকে, দশভূজা মা দুর্গা, আমাদের দেবদেবীদের হাতে যে ত্রিশূল থাকে, খাঁড়া থাকে, তাই নিয়ে মিছিল হবে। হাতে ঝান্ডা থাকবে। ঝান্ডার সঙ্গে ডান্ডা থাকবে।” এখানেই শেষ নয়, RSS-এর ছাত্র সংগঠন এবিভিপি আবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের ভিতরে রামনবমী পালনের হুঁশিয়ারি দেয়। ABVP-র কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য শুভব্রত অধিকারী জানান, “আমরা প্রত্যাশা রাখি যাদবপুরেও রামনবমী আমরা করব। রামনবমী করার জন্য আমরা প্রচেষ্টা করছি এবং ক্যাম্পাসের ভিতরেই রামনমী হবে। যদি কারও মনে হয় সে আটকে দেখাবে। বাধা আসলে প্রতিহত হবে।”
আরও দেখুন