<p><strong>আবির দত্ত, কলকাতা :</strong> নাবালিকাকে অপহরণ করে যৌন নির্যাতন ও খুনের চেষ্টায় দোষী সাব্যস্ত। ৪০ দিনের মাথায় দোষী সাব্যস্ত করল নগর দায়রা আদালত। ঘটনায় ঝাড়গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয় ১ জনকে। পকসো ধারায় মামলা দায়ের করে পুলিশ। পুলিশ গেট প্যাটার্ন মেথড ও রাইট ব্লকার সিস্টেমে তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করে আদালতে জমা দেয়। ২৬ দিনের মাথায় চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ। আর ৪০ দিনের মাথায় দোষী সাব্যস্ত। এই মামলার তদন্তে ২৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। </p>
<p>৪০ দিনের মাথায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছে অভিযুক্ত। কলকাতার বটতলা থানা তদন্ত শুরু করেছিল। অভিযোগ উঠেছিল মারাত্মক। নাবালিকাকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়। তার আগে তাকে অপহরণ করা হয়েছিল। শেষে খুনের চেষ্টাও করা হয় তাকে। বেশ কিছু ডিজিটাল প্রমাণ আদালতে পেশ করা হয়েছিল। তার ভিত্তিতেই চলে তদন্ত। দোষী সাব্যস্ত হয়েছে অভিযুক্ত। গেট প্যাটার্ন মেথড অর্থাৎ অভিযুক্ত যেভাবে হাঁটে তা ধরা পড়েছিল সিসিটিভি ফুটেজে। জেলে গিয়েও তদন্তকারী আধিকারিকরা অভিযুক্তের হাঁটার ধরনের সঙ্গে তা পরীক্ষা করে দেখা হয়। এরপর রাইট ব্লকার সিস্টেমের সাহায্যে অভিযুক্ত কখন, কোথায় উপস্থিত ছিল তা খতিয়ে দেখা হয়। গোটা ব্যাপারটা পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন অর্থাৎ পিপিটি- র সাহায্যে আদালতের সামনে সবটা তুলে ধরা হয়। একটি মোবাইল ভিডিওতেও অভিযুক্তকে দেখা গিয়েছিল। সেই ভিডিও-ও আদালতের সামনে রাখা হয়েছিল। সমস্ত তথ্যপ্রমাণ খতিয়ে দেখে অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেছে নগর দায়েরা আদালত। আগামীকাল দুপুর দেড়টার সময় সাজা ঘোষণার কথা রয়েছে। </p>
<p>আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, শুধু তাঁর কেরিয়ারে নয়, যে ডাক্তার এসেছিলেন (আর জি কর- এর এমএসভিপি) নাবালিকাকে পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য তিনিও জানিয়েছেন, এই ঘটনা তাঁর কেরিয়ারেও ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’ ঘটনা। এখানও হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে ওই নাবালিকা। এই ঘটনার তদন্তের স্বার্থে যে ২৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ৮ জন বিশেষজ্ঞ। আলাদা করে ডাকা হয়েছিল আর জি কর- এর এমএসভিপি- কে আলাদা করে ডাকা হয়েছিল। তাঁর নাম চার্জশিটে ছিল না। এই তদন্তে কেন্দ্রীয় সংস্থা সিএফএসএল অর্থাৎ সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি- এরও সাহায্য নেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তর হাঁটার বিশেষ ধরণই তাঁকে চিনিয়ে দিয়েছে। একাধিক ফুটেজ ছিল। তা আদালতের সামনে তুলে ধরা হয়েছে। অভিযুক্তের হাঁটার অদ্ভুত ইউনিক স্টাইলই এই মামলার তদন্তে বিশেষ কাজ করেছে। গেট প্যাটার্ন মেথডে অভিযুক্তের হাঁটার ধরন দেখেই তাকে চিহ্নিত করা গিয়েছে নিশ্চিত ভাবে। </p>
Source link
নাবালিকাকে অপহরণ-ধর্ষণ-খুনের চেষ্টা, হাঁটার বিশেষ ধরণই চিনিয়ে দিল অভিযুক্তকে
