কলকাতা: ঢাকুরিয়ায় ছিনতাইকাণ্ডে গ্রেফতার ৩ দুষ্কৃতী। গ্রেফতার করল লালবাজারের গোয়েন্দা শাখার পুলিশ। ঢাকুরিয়ার ঝিল রোডে সেলিমপুরের বাসিন্দা পিয়ালি দে রায়কে দাঁড় করিয়ে, চোখ রাঙিয়ে হুমকি দিয়ে হার ছিনতাই করে ৩ দুষ্কৃতী।
দিনের আলোয়, দক্ষিণ কলকাতার ঢাকুরিয়ার মতো অভিজাত এলাকায় মহিলাকে দাঁড় করিয়ে, হার ছিনতাই করে পালায় বাইকে চেপে আসা ৩ দুষ্কৃতী। CCTV ক্যামেরায় ধরা পড়ে ছিনতাইয়ের মুহূর্তের ছবি। টনার পর ৩ দিন পর ৩ দুষ্কৃতীর নাগাল পেল পুলিশ। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখেই ৩ দুষ্কৃতীকে শনাক্ত করে পুলিশ। যদিও গোটা ঘটনায় আতঙ্কে শহর ছেড়ে ছেলের কাছে চলে যাওয়ার কথা ভাবছেন ঢাকুরিয়ায় অভিযোগকারিণী পিয়ালি দে রায়। আগেই তিনি জানিয়েছিলেন, “এখনও পর্যন্ত পুলিশি তৎপরতা আমরা কিছু দেখতে পাইনি।আস্থা নেই। আস্থা একেবারে নেই। প্রতি বাড়ির ছেলেমেয়েরাই সব বাইরে। কারণ, এখানে না আছে চাকরি, পশ্চিমবঙ্গে কোনও কিছুই নেই।”
শনিবার ঢাকুরিয়ার ঝিল রোড ধরে, আত্মীয়ের বাড়িতে যাচ্ছিলেন পিয়ালি দে রায়। তখনই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। ঠিক কী ঘটেছিল সেদিন? অভিযোগকারিণী জানিয়েছিলেন, “৩টি ছেলে আমার পাশে বাইক নিয়ে দাঁড়াল। হঠাৎ একটি ছেলে বলছে, ওই ফ্ল্যাটটার দিকে দেখ। আমি শুনে ওই ফ্ল্যাটটার দিকে তাকাতে গেছি। তখন আমার পিছন থেকে টানটা দিয়েছে। আমার সামনে এসে হাত দিয়ে একদম সামনে আমায় আঙুল দেখিয়ে, চোখ রাঙিয়ে হারটা ছিনিয়ে নিল।”
সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ থেকে দমদম, ঢাকুরিয়ার মতো একের পর এক ঘটনায় আতঙ্ক বেড়েছে। যার ফলে শহরের নিরাপত্তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠেছে। এর আগে ঢাকুরিয়ার এই ছিনতাইয়ের ঘটনায়, রবিবার অভিযোগকারিণীকেই নিশানা করেছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, “ওঁর ব্রেনোলিয়া খাওয়া উচিত। বাংলায় যেন প্রথম হল। সিপিএম জমানা বলে কিছু ছিল না, অন্য রাজ্যে যেন বিজেপি নেই। ফলে, ওঁর উচিত পুরনো ঘটনাগুলো মনে রাখতে ব্রেনোলিয়া খাওয়া।” যার পাল্টা জবাব দিয়েছেন পিয়ালি দে রায়। তিনি বলেন, “কুণাল ঘোষ বললেন বাম আমলে এই ধরনের ছিনতাই কি হয়নি? তাহলে আমরা কী এগোলাম? তখনকার টেকনোলজি এখনকার টেকনোলজি আকাশ-পাতাল পার্থক্য। তখন আমাদের হাতে স্মার্ট ফোন ছিল না, তখন CCTV ক্যামেরা ছিল না।”
আরও পড়ুন: West Burdwan Accident: নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সজোরে ধাক্কা, ফের দুর্ঘটনার কবলে কুম্ভগামী গাড়ি
আরও দেখুন
+ There are no comments
Add yours