NOW READING:
এবার কাটবে জট? খিদিরপুর স্টেশন তৈরিতে শর্তসাপেক্ষে ছাড়পত্র রাজ্যের
June 26, 2025

এবার কাটবে জট? খিদিরপুর স্টেশন তৈরিতে শর্তসাপেক্ষে ছাড়পত্র রাজ্যের

এবার কাটবে জট? খিদিরপুর স্টেশন তৈরিতে শর্তসাপেক্ষে ছাড়পত্র রাজ্যের
Listen to this article


অরিত্রিক ভট্টাচার্য, কলকাতা: খিদিরপুর স্টেশন (Kolkata Metro) তৈরিতে ছাড়পত্র দিল রাজ্য সরকার। মেট্রো রেলকে শর্তসাপেক্ষে দেওয়া হল অনুমতি। এরফলে জোকা-ধর্মতলা মেট্রো রুটে খিদিরপুর স্টেশন নিয়ে জট কাটার জোরাল সম্ভাবনা তৈরি হল।  

পার্পল লাইন মেট্রোর খিদিরপুর স্টেশন তৈরি নিয়ে তৈরি হয়েছিল চরম অনিশ্চয়তা। আলিপুর বডিগার্ড লাইন্সের জমির একাংশ নিয়ে তৈরি হয়ছিল জট। পরিস্থিতি এমন জায়গায় গিয়েছিল যে, মেট্রোরেলের তরফে নির্মাণকারী সংস্থা RVNL-কে জানানো হয়, খিদিরপুরকে বাদ দিয়েই কাজ এগোতে। এই আবহেই দফায় দফায় বৈঠকের পর শর্তসাপেক্ষে মেট্রো রেলকে জমি দিতে রাজি হয়েছে রাজ্য।                                                                     

শর্তসাপেক্ষে ছাড়পত্র রাজ্যের: কলকাতা পুরসভার পুরকমিশনারের পক্ষ থেকে দেওয়া চিঠিতে মেট্রোর কাজে জমি দিতে শর্ত দেওয়া হয়েছে, বডিগার্ড লাইন ব্য়ারাকের কোনওরকম ক্ষয়ক্ষতি করা যাবে না। নির্মাণ কাজের জন্য ধোবি লাইনকে অক্ষত রাখতে হবে। মেট্রোর নির্মাণকাজের জন্য অস্থায়ীভাবে বডিগার্ড লাইনের ১ হাজার ৭০২ স্কোয়ার মিটার জায়গা দেওয়া হবে। কাজ শেষ হওয়ার পর দ্রুত সেই জায়গা ফেরাতে হবে। একইসঙ্গে এই জানানো হয়েছে, মেট্রোর কাজের জন্য বডিগার্ড লাইন্সের ৮৩৭ স্কোয়ার মিটার জায়গা স্থায়ী ভাবে দেওয়া হবে। কিন্তু সেই জায়গা ব্য়বহার হবে ডায়মন্ড হারবার রোড চওড়া করা, কলকাতা পুরসভার শিফটিং ও দমকলের ব্য়বহারের জন্য। সেই স্থানে স্থায়ী কোনও নির্মাণ করতে পারবে না মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ।

জোকা থেকে বিবাদীবাগ—মেট্রোর পার্পল লাইনের ১৪.১ কিলোমিটার দীর্ঘ অংশের মধ্যে প্রায় সাত কিলোমিটার অংশে ইতিমধ্যেই যাত্রী পরিবহণ শুরু হয়েছে। পরিকল্পনা ছিল এই লাইনের মোমিনপুর স্টেশন পর্যন্ত অংশটি এলিভেটেড এবং তার পর খিদিরপুর থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত অংশ ভূগর্ভস্থ করা হবে। বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল খিদিরপুর স্টেশন নির্মাণে সমস্যা। ব্যস্ত ডায়মন্ড হারবার রোডের কোন জায়গায় এই স্টেশন তৈরি হবে, সে বিষয়ে প্রাথমিক ভাবে বেছে নেওয়া হয় আলিপুর বডিগার্ড লাইন্সের চৌহদ্দির কিছুটা অংশকে। আর তাতেই আপত্তি জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। এবার সরকারের তরফে সবুজ সঙ্কেত মিলেছে। ফলে জট কাটা নিয়ে আশাবাদী সংশ্লিষ্ট মহল। 



Source link