<p><strong>কলকাতা :</strong> কসবাকাণ্ডে তোলপাড় রাজ্য। ঘটনার পর বাইকে চেপে জাতীয় সড়ক দিয়ে পালানোর সময় দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে গলসি থানার পুলিশের তল্লাশি জালে ধরা পড়ে ‘মাস্টারমাইন্ড’ ইকবাল । এহেন ইকবাল এবার ঘটনা নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করলেন। সে বলে, ‘সুশান্ত ঘোষ একজন গুন্ডা। আমার জায়গা দখল করেছিল। ২ হাজার বর্গফুট জায়গা দখল করেছিল। হায়দার আলি সুশান্ত ঘোষের গুন্ডা।’ </p>
<p>কসবায় ভরসন্ধেয় কাউন্সিলরের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় এবার জালে ‘মাস্টারমাইন্ড’ ইকবাল। বাইকে চেপে হাওড়া হয়ে বর্ধমানের দিকে পালাচ্ছিল সে। সেই সময় তাকে পাকড়াও করা হয়। বাইকে চেপে জাতীয় সড়ক দিয়ে পালানোর সময় দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে গলসি থানার পুলিশের তল্লাশি জালে ধরা পড়ে ইকবাল, এমনই খবর।</p>
<p>ইকবালের আসল নাম আফরোজ খান। তার আরেকটা নাম গুলজার। ঘটনায় এর আগে ধৃত যুবরাজ সিংকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে, কাউন্সিলরকে গুলি করার বরাত দিয়ে তাকে মাত্র ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছিল। এই যুবরাজের কাছ থেকেই ইকবাল সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়। এছাড়া এক ট্যাক্সি চালককে গ্রেফতার করা হয়। গোটা ঘটনা সম্পর্কে সে ওয়াকিবহাল থাকা সত্ত্বেও পুলিশকে না জানানোয় তাকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর পুলিশ আধিকারিকরা ইকবালকে ধরার চেষ্টা শুরু করেন। গতকাল রাত থেকেই সে পালানোর ছক করছিল। এমনটাই বলছেন লালবাজারের পুলিশ আধিকারিকরা। মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন, সিসি টিভি ফুটেজ দেখে পুলিশের কাছে তথ্য আসে যে, এই ঘটনার মূল চক্রী হাওড়া হয়ে বাইকে করে পালানোর চেষ্টা করছে।</p>
<p>পুলিশ এই তথ্যও পায় যে, বাইকে করে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে আসালসোল হয়ে সম্ভবত ঝাড়খণ্ড-বিহারের দিকে পালিয়ে যেতে পারে। এরপরই কলকাতা পুলিশের তরফে বর্ধমানের পুলিশ সুপার এবং বর্ধমান রেঞ্জের আইজিপিকে বিষয়টি জানানো হয়। এরপরই দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের উপর গলসি থানার তরফে একটি নাকা পয়েন্ট তৈরি করা হয়। সেদিক দিয়ে যাওয়ার সময়ই পুলিশ ‘মাস্টারমাইন্ড’ ইকবালকে ধরে ফেলে।</p>
<p> </p>
<p> </p>
Source link
‘তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষ একজন…’, কসবাকাণ্ডে বিস্ফোরক দাবি ধৃত গুলজারের
Read Time:3 Minute, 18 Second