NOW READING:
রোগী দেখছিলেন, খাস কলকাতায় চেম্বারে ঢুকে চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগ!চেম্বার জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি
June 2, 2025

রোগী দেখছিলেন, খাস কলকাতায় চেম্বারে ঢুকে চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগ!চেম্বার জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি

রোগী দেখছিলেন, খাস কলকাতায় চেম্বারে ঢুকে চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগ!চেম্বার জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি
Listen to this article


হিন্দোল দে, কলকাতা : এবার শহরে চেম্বারে ঢুকে চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগ। কসবায় চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। আক্রান্ত চিকিৎসক শঙ্কর ভগবান তিওয়ারি। মত্ত অবস্থায় গালিগালাজ, মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। অভিযুক্তের নাম চিকু পাণ্ডে। বাধা দিতে এলে আক্রান্ত চিকিৎসকের ছেলেও।

খাস কলকাতার ঘটনা। কসবা থানার অন্তর্গত বেদিয়াডাঙায় ঘটনাটি ঘটেথে। আক্রান্ত চিকিৎসকের নাম শঙ্কর ভগবান তিওয়ারি। তিনি গতকাল যখন চেম্বার করছিলেন, সেই সময় সেখানে রোগী ছিলেন। অভিযোগ, সেখানে আচমকাই চিকু পাণ্ডে নামে ওই যুবক মদ্যপ অবস্থায় ভেতরে ঢোকেন। এরপর চিকিৎসককে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। চিকিৎসকের ডান হাতে এবং বাঁ কাঁধে এবং বাঁ হাতেও ব্যথা রয়েছে।  

চিকিৎসক বলেন, “তখন সন্ধে ৭টা। আমি রোগী দেখছিলাম। সেই অবস্থায় চিকু পাণ্ডে নামে একজন ছেলে মদ্যপ অবস্থায় এসে বাইরে থেকে গালাগালি করতে শুরু করেন। আমি ভাবলাম, মদ খেয়েছেন, একটু পরে শান্ত হয়ে চলে যাবেন। ১৫-২০ মিনিট হয়ে গেল তখনও যাচ্ছেন না। রোগীদের বিরক্ত করছিলেন। তখন আমি জিজ্ঞাসা করলাম, আপনি কী চান ? তখন বলছেন, আপনাকে মারব। আমি বললাম, তাহলে মারুন। তিনি আমার হাত ধরে মারলেন। মারার পর ..যা হোক… লোকজন ছিলেন, ছাড়িয়ে দিলেন। এরপর আমি আবার রোগী দেখতে শুরু করি। এরপরে আবার এসে বললেন, আমি তো আপনাকে কিছু বলিনি। আচমকা আবার আমাকে মারলেন। আমার ছেলে ছিল। সে বাধা দেয়। এরপর ওই যুবককে বের করে দেওয়া হয়। এরপর তিনি বাইরে থেকে তিন-চারজনকে নিয়ে এসে আমার ছেলেকে মারতে শুরু করেন। আমি বাধা দিতে গেলে আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন। আতঙ্কে আমি সারারাতি ঘুমাইনি। আমার কাঁধের জয়েন্টে ডিস-লোকেশন হয়ে গেছে। আমার পুরো পরিবার আতঙ্কে রয়েছে। ওঁরা আরও বলেছেন, গাড়ি জ্বালিয়ে দেব, চেম্বার পুড়িয়ে দেব। এরকম করে হুমকি দিয়ে গেছেন। থানায় গিয়ে অভিযোগ জানাই। এফআইআর হয়েছে। আমি আশায় আছি-ভরসায় আছি, থানা যদি কোনও পদক্ষেপ নেয়। নাহলে আমার এখানে থাকা খুব মুশকিল হয়ে যাবে।” প্রসঙ্গত, ভগবানের পরেই চিকিৎসক, এমনই মনে করা হয় সমাজে। কারণ, একজন চিকিৎসকই পারেন মুুমূর্ষ রোগীর প্রাণ বাঁচাতে। এহেন চিকিসককে এভাবে আক্রমণের ঘটনায় নিন্দায় সরব হয়েছে বিভিন্ন মহল। Kolkata News

আরও দেখুন



Source link