স্বামী-স্ত্রী ভাড়া বাড়িতে বাস, মহিলাকে নৃশংসভাবে খুনে চাঞ্চল্য শহরে
<p><strong>পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা:</strong> ফের শহরে হাড়হিম করা হত্যাকাণ্ড। জোকার ডায়মন্ড পার্কে নৃশংসভাবে খুন করা হল মহিলাকে। স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে এক তরুণের সঙ্গে ভাড়া বাড়িতে উঠেছিলেন মহিলা। পরিচয়পত্র হিসাবে যে আধার কার্ড দেওয়া হয়েছিল, তা আসল কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। </p>
<p>ম্যাট্রেসে পড়ে হাত পা বাঁধা দেহ। রক্তে ভেসে যাচ্ছে ঘর। ফের কলকাতায় হাড় হিম করা হত্য়াকাণ্ড। জোকার ডায়মন্ড পার্কে উদ্ধার হল তরুণীর দেহ। রহস্য়জনকভাবে নিখোঁজ মৃতার সঙ্গী। মাত্র ৭ দিন আগে ডায়মন্ড পার্কের এই বাড়িতেই ভাড়া আসে, বছর ৩২ এর ছায়া সর্দার। সঙ্গে ছিলেন এক যুবক। নিজেদের স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে বাড়ি ভাড়া নেন তিনি।<strong><br /><br /></strong>বৃহস্পতিবার তাঁর ঘরের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় বাড়িওয়ালার শিরদাঁড়া দিয়ে ঠাণ্ডা স্রোত বয়ে যায়। দেখেন, দরজার নীচ দিয়ে গড়িয়ে আসছে রক্ত। খবর দেওয়া হয় হরিদেবপুর থানায়। পুলিশ গিয়ে মহিলার দেহ উদ্ধার করে। ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া গেছে রক্তমাখা কাটারি। মিলেছে মদের বোতলও। পুলিশ সূত্রে দাবি, অন্তত ২ দিন আগে খুন হয়েছে বলে অনুমান। যে তরুণের সঙ্গে এসে মহিলা ঘর ভাড়া নিয়েছিলেন, এই ঘটনার পর থেকে তাঁর খোঁজ মিলছে না।</p>
<p>এদিকে দিনকয়েক আগে মাত্র ১০ হাজার টাকা ধার না দেওয়ায় মামাতো ভাইয়ের হাতে খুন হয়েছেন দিদি। গলফ গ্রিনে খাটের নিচ থেকে মহিলার দেহ উদ্ধারের ঘটনার কিনারা করল পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তকে। ধৃতের নাম, সাবির আলি (৩৮)। পুলিশ জানায়, ১০ হাজার টাকার জন্য এই খুন বলে জেরায় স্বীকার করেছেন ধৃত। গল্ফগ্রিনের রাজেন্দ্রপ্রসাদ কলোনির ফ্ল্যাটে মায়ের সঙ্গে থাকতেন শহরের একটি শপিং মলের কফিশপের কর্মী, বছর চল্লিশের নাফিসা খাতুন। গল্ফগ্রিন থানার কাছে চায়ের দোকান রয়েছে মায়ের। পরিবার সূত্রে খবর, বুধবার সকালে মাকে দোকানে খাবার দিয়ে আসেন নাফিসা। তারপর, আর যোগাযোগ করা যায়নি তাঁর সঙ্গে। পুলিশ সূত্রে খবর, বাড়ি ফিরে মেয়েকে দেখতে না পেয়ে আত্মীয়-পরিজনদের ফোন করেন মহিলার মা। তাঁরা এসেও খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। তাঁদের সঙ্গে যোগ দেয় সাবিরও। পুলিশ সূত্রে খবর, যে ৩ জনকে সন্দেহ হয় বলে মহিলার মা জানান, তাঁদের মধ্যে মৃতের মামাতো ভাই সাবিরও ছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হতেই খুনের কথা স্বীকার করেন নেন সাবির।<br /><br />পুলিশ জানতে পেরেছে, টাকা-পয়সা নিয়ে সাবিরে সঙ্গে আগেও গন্ডগোল হয়। ওইদিন মাকে খাবার দিয়ে মহিলা বাড়ি ফেরার পর সাবির আসেন। ১০ হাজার টাকা চান। মহিলা টাকা দিতে না চাওয়ায় হাতাহাতি হয়। আত্মরক্ষার জন্য রান্নাঘর থেকে ছুরি নিয়ে আসেন দিদি। সেই ছুরি কেড়ে নিয়ে তাঁকে একাধিক কোপ মারেন সাবির। মৃত্যু নিশ্ছিত করতে শ্বাসরোধও করা হয়। তারপর খাটের তলায় দেহ ঢুকিয়ে কাজে চলে যায়।<br /><br /><strong><br />আরও পড়ুন: <a title="Malda Police Attack: অভিযান চালানোর সময় গুলি, এবার মালদায় আক্রমণের মুখে পুলিশ" href="https://bengali.abplive.com/district/malda-police-attack-shot-at-during-a-raid-1116907" target="_self">Malda Police Attack: অভিযান চালানোর সময় গুলি, এবার মালদায় আক্রমণের মুখে পুলিশ</a></strong></p>
Source link