কলকাতা: অক্ষয় তৃতীয়ার দিন, উদ্বোধন হবে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের। আর এবার দিঘার পর এবার কলকাতার এই এলাকায় জগন্নাথ দেবের দর্শন পাবে রাজ্যবাসী। কলকাতার আনন্দপুরে প্রায় ৮-১০ কাঠা জমির উপর তৈরি হচ্ছে জগন্নাথ মন্দির। আসন্ন অক্ষয় তৃতীয়ার দিনে তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্তকুমার ঘোষের উদ্যোগে তৈরি হওয়া এই মন্দিরের উদ্বোধন করা হবে।
অপরদিকে, আমাদের রাজ্য়ের দিঘায়, সারা দেশের পুণ্য়ার্থী এবং পর্যটকদের স্বাগত জানাতে তৈরি, জগন্নাথদেবের মন্দির। একেবারে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আদলে। সেই স্থাপত্য়, সেই উচ্চতা। মুখ্য়মন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, মন্দিরের উদ্বোধন হবে অক্ষয় তৃতীয়ায়। তার আগে কীভাবে সেজে উঠছে দিঘার জগন্নাথ ধাম? কেমন দেখতে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের গর্ভগৃহ, জগমোহন, নাটমণ্ডপ, ভোগমণ্ডপ? বেলে পাথরের দেওয়ালে কোন শিল্পকলা থাকছে? অযোধ্য়ার রাম মন্দিরের সঙ্গেই বা এই মন্দিরের মিলটা কোথায়?
নীল জলরাশি, দিগন্ত বিস্তৃত বালিয়াড়ি। পাড় ঘেঁষে ঝাউবনের সারি। বাঙালির ২ দিনের ছুটি মানেই ডেস্টিনেশন দিঘা। কিন্তু, দিঘার পর্যটন মানচিত্রে এবার ঘোরাঘুরির সঙ্গে ভক্তিভাবের মিশেল।সৌজন্য়ে এই সুবিশাল চোখ ধাঁধানো জগন্নাথ মন্দির।যেমন – মন্দিরের মাথার চূড়ো। দেওয়ালে অপূর্ব কাজ। ভিতরে পিঙ্ক বেলেপাথরের ওপর কাজ। এক্কেবারে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আদলে তৈরি। সেই স্থাপত্য় । সেই উচ্চতা । পুরীর মন্দিরের আদলেই দিঘার জগন্নাথ ধাম। যেরকম বলা হচ্ছে, এই মন্দির নাগর শৈলি রীতিতে তৈরি। এতে রয়েছে কলিঙ্গ স্থাপত্য়ের প্রভাব।
গতবছর ডিসেম্বরে মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় বলেছিলেন, পুরীর সঙ্গে নিশ্চয়ই আমরা তুলনা করব না। ওদেরটা রাজ-রাজারা করেছেন দীর্ঘদিন আগে। আমাদেরটা আমরা সরকারের পক্ষ থেকে করছি। টোটাল টাকাটাই সরকারের। দিঘা রেল স্টেশনের একেবারে কাছেই মাথা তুলেছে এই জগন্নাথ মন্দির। ২০ একর জায়গার ওপর, এই মন্দির নির্মাণ করেছে হিডকো। ৩০ তারিখ, অক্ষয় তৃতীয়ার দিন মন্দিরের উদ্বোধন হবে। মুখ্য়মন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, এবছরই অক্ষয় তৃতীয়ার দিন উদ্বধন হবে দিঘার জগন্নাথ ধামের। তার আগের দিন থেকে শুরু হবে যাগযজ্ঞ। পুরীর মন্দিরের আদলে তৈরি হয়েছে এই মন্দির। উচ্চতাও সমান সমান। ২০ একর জায়গা। ২০০ কোটি টাকা খরচ। তার থেকে বেশিও খরচ হতে পারে।
আরও পড়ুন, ‘যে যত ভুয়ো ভোটার খুঁজে দেবে, তাঁকেই দেওয়া হবে পুরস্কার.. !’
মন্দিরের মূল ফটক দিয়ে প্রবেশের পর, প্রথমেই পড়বে দীপস্তম্ভ।সমুদ্রের দিকের রাস্তা থেকে জগন্নাথ মন্দিরে প্রবেশ করলেই ২ হাতে চোখে পড়বে এই ধরনের স্তম্ভ। যা উজ্জ্বয়িনীর মন্দিরের দীপ জ্য়োতি স্তম্ভের কথা মনে করিয়ে দেবে। পুরীর মন্দিরের মতোই, দিঘার জগন্নাথ মন্দিরেও ৪টি দুয়ার। মূল ফটক দিয়ে প্রবেশের পর, প্রথমেই চোখে পড়বে এই অরুণ স্তম্ভ। পুরীতে জগন্নাথ মন্দিরের সামনে রয়েছে অরুণ স্তম্ভ। মনে করা হয়, কোনও এক সময় কোনারক থেকে এই অরুণ স্তম্ভটি নিয়ে এসে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের সামনে স্থাপন করা হয়। বৈদিক যুগে সূর্য ও বিষ্ণুকে অভিন্ন মনে করা হত। তাই বিষ্ণু জগন্নাথ মন্দিরের সামনে অরুণ স্তম্ভ স্থাপন করা হয়। দিঘাতেও মন্দিরের সামনে রয়েছে এই স্তম্ভ।
আরও দেখুন