কলকাতা: ফের কলকাতায় অগ্নিকাণ্ড (Kolkata Fire)। মধ্যরাতে কাঁকুড়গাছির লোহা পট্টিতে বিধ্বংসী আগুন লাগে। ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে একাধিক গুদাম। আগুন নেভানোর কাজ করছে দমকল। যদিও হতাহতের কোনও খবর নেই। 

লোহা পট্টিতে বিধ্বংসী আগুন: স্থানীয় সূত্রে খবর, রাত দেড়টা নাগাদ আগুন দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। জনবহুল এলাকা হওয়ায় ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। খবর দেওয়া হয় পুলিশ এবং দমকলে। দমকলের ২০টি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে। এলাকায় অনেক গুলি প্লাস্টিক ও লোহার গুদাম রয়েছে। গুদামগুলিতে প্রচুর পরিমাণ প্লাস্টিক মজুত থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় এলাকা। আগুন নেভাতে দমকলের সঙ্গে হাত লাগিয়েছেন স্থানীয়রাও। তবে আগুনে কেউ আটকে পড়েননি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। 

চলতি মাসে উল্টোডাঙায় প্লাইউডের গুদামে বিধ্বংসী আগুন লাগে। পাশের আরেকটি প্লাইউডের গুদামেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে।  দমকলের ৮টি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। গত ৬ অগাস্ট ভোর সোয়া ৫টা নাগাদ ইস্ট ক্যানাল সার্কুলার রোডের ওই প্লাইউডের গুদামে আগুন লাগে। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় আকাশ। ঘিঞ্জি এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বাইরে বেরিয়ে আসেন বাসিন্দারা। 

তার আগে গত মাসে গিরিশ পার্ক থানার কাছে, ছাতুবাবু, লাটুবাবুর বাজার এলাকায় একটি বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সকাল ৮টা নাগাদ আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। ঘিঞ্জি এলাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। 42 b রামদুলাল সরকার স্ট্রিট, দোতলা বাড়ির এই ঠিকানায় একসঙ্গে ১১টি পরিবারের বাস ছিল। স্থানীয় সূত্রে খবর পাওয়া যায়, গত ২৬ জুলাই একটি পরিবারের রান্নার গ্য়াস সিলিন্ডার লিক করে, তার থেকেই আগুন বলে অনুমান করা হয়। আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যায় বাড়ির আসবাবপত্র। অগ্নিদগ্ধ হন ১ মহিলা। বাড়ি থেকে বেরোতে গিয়ে আহত হন আরেক বাসিন্দাও। গ্য়াস সিলিন্ডার ফেটে বিস্ফোরণ হয়। প্রাথমিকভাবে স্থানীয়রাই আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। পরবর্তীতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ৬টি ইঞ্জিন। প্রায় ৪ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন আয়ত্তে আসে।                         

আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে। 

আরও পড়ুন: RG Kar News: ‘আর জি করের নির্যাতিতাকে বিচার পেতে কত অপেক্ষা করাবে CBI?’ প্রশ্ন তৃণমূলের

আরও দেখুন



Source link

Shares:
Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *