সন্দীপ সরকার ও সত্যজিৎ বৈদ্য , কলকাতা : বড়বাজারের মেছুয়া ফলপট্টির ৬ তলা হোটেলে বিধ্বংসী আগুন। জোড়াসাঁকো থানা এলাকা ও ৪১ নম্বর ওয়ার্ডে পড়ে ওই হোটেল। হোটেলটির নাম ঋতুরাজ হোটেল। সন্ধে সাড়ে ৭টা থেকে পৌনে ৮টা নাগাদ আগুন লেগেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে। অসংখ্য মানুষ হোটেলে আটকে রয়েছেন। মোবাইলের ফ্ল্যাশলাইট জ্বালিয়ে তাঁরা নিজেদের উপস্থিতি জানান দেওয়ার চেষ্টা করছেন। যাতে দমকল বাহিনী গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করতে পারে। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনায় এখনও পর্যন্ত একজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের নাম সঞ্জয় পাসওয়ান। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। আরও একজনের সেখানেই চিকিৎসা চলছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দমকলের একাধিক ইঞ্জিন। এই পরিস্থিতিতে প্রাথমিকভাবে মই ব্যবহার করে ৩ তলা হয়ে ঢোকার চেষ্টা করেন দমকলকর্মীরা। বিভিন্ন অংশ থেকে ধোঁয়া দেখা যাচ্ছে। তবে মনে করা হচ্ছে, দোতলায় আগুন লেগেছে।
গ্যাস কাটার দিয়ে হোটেলের বিভিন্ন অংশে গ্রিল কাটা হচ্ছে। ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেন উদ্ধারকারীরা। এদিকে আগুন লাগার পর আতঙ্কে অনেককে কার্নিসে ঝুলতে দেখা যায়। তাঁদের কোনওভাবে উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে। উদ্ধারকাজে হাত লাগান স্থানীয় বাসিন্দারা। ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের কয়েকজন এবং দমকলের কয়েকজন কর্মী ভেতরে ঢুকতে পেরেছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, হোটেলের দোতলা যেখানে রান্না করা হয়, সেখান থেকেই আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। ওই অংশ থেকে এখনও গলগল করে আগুন বেরোতে দেখা যাচ্ছে। হোটেলের ছাদেও অনেকে অপেক্ষা করেছেন। সেখানে শিশু, মহিলা-সহ অনেকেই আটকে রয়েছে। ওই অংশেও আগুন ছড়িয়ে পড়ছে বলে মনে করা হচ্ছে। তাছাড়া ঘিঞ্জি এলাকা। চারপাশে দোকান আছে। আগুন ছড়িয়ে পড়লে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে দমকল ও ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট দ্রুত আগুন আয়ত্তে আনার চেষ্টা করছে।
দিনকয়েক আগেই পার্ক স্ট্রিটের কুইন্স ম্যানসনের এক তলায় মিষ্টির দোকানে ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ড ঘটে। আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে আসে দমকলের ৬টি ইঞ্জিন। প্রায় কয়েক ঘণ্টার প্রচেষ্টায় অবশেষে নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি। কুন্ডলী পাকানো কালো ধোঁয়ায় ঢাকা পড়ে চারপাশ। মাঝেমাঝে আগুনের হলকা। গুড ফ্রাইডের সকালে, পার্ক স্ট্রিটের কুইন্স ম্যানসনের এক তলায় মিষ্টির দোকানে আগুন লাগে। আগুন নজরে আসতেই বহুতল ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে যান বাসিন্দারাও।
আরও দেখুন