NOW READING:
Seema Kumari’s struggle story | ছেঁড়াখোঁড়া ডাহু গ্রামের সীমা পাহাড় ডিঙিয়ে স্বপ্ন দেখাচ্ছেন হার্ভার্ডে!
March 11, 2025

Seema Kumari’s struggle story | ছেঁড়াখোঁড়া ডাহু গ্রামের সীমা পাহাড় ডিঙিয়ে স্বপ্ন দেখাচ্ছেন হার্ভার্ডে!

Seema Kumari’s struggle story | ছেঁড়াখোঁড়া ডাহু গ্রামের সীমা পাহাড় ডিঙিয়ে স্বপ্ন দেখাচ্ছেন হার্ভার্ডে!
Listen to this article


জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: গলি থেকে রাজপথ- গল্পটা খানিকটা যেন সেরকমই। ছাই থেকে ফিনিক্স পাখি হয়ে জেগে ওঠার মতোই এই সংগ্রামের গল্প, যে গল্পের পরতে পরতে দারিদ্র, অশিক্ষা, বাল্যবিবাহ, পণপ্রথা, অভাব এবং প্রত্যন্ত গ্রামের ভেঙে পড়া মাটির বাড়ির ছাউনিরর ফাঁক দিয়ে এসে পড়া এক টুকরো সূর্যের আলো। 

ঝাড়খণ্ডের প্রত্যন্ত গ্রাম ডাহু। সেখানে মেয়েদের পড়াশোনা দূরস্থান, দুবেলা দুমুঠো ভাত জোটানোটাই কঠিন। আর তাই অল্প বয়সেই মেয়েদের বিয়ে দিয়ে অন্যত্র পাঠিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। সেই গ্রামের মেয়ে সীমা কুমারী- যিনি ঘুরে দাঁড়ানোর গল্পের আরেক নাম। ছোটবেলা থেকে ফুটবল খেলতে ভালবাসতেন, তাই ৯ বছর বয়সে যুব ফাউন্ডেশন ফুটবল প্রোগ্রাম এ যোগ দিয়েছিলেন, যা তার জীবনকে আমূল বদলে দেয়।

Zee ২৪ ঘণ্টার সব খবরের আপডেটে চোখ রাখুন। ফলো করুন Google News

ফুটবল খেলা তাঁকে প্রথমে তাঁর গ্রামের বাইরে নিয়ে গিয়েছিল। সঙ্গে চালিয়ে যাচ্ছিলেন পড়াশোনা। তাঁর সব সময় মনে নিজে প্রতিষ্ঠিত হওয়া এবং গ্রামের উন্নতি করার স্বপ্ন। হঠাৎই সুযোগ আসে এক্সচেঞ্জ এডুকেশনের। আমেরিকার সিয়াটেল বিশ্ববিদ্যালয়, কেমব্রিজ এবং ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের সামার প্রোগ্রামে তিনি যোগ দেন।
কিন্তু যে ভাঙা ছাউনির ফাঁক দিয়ে রাতে চাঁদের আলো আসে, তার কি স্বপ্ন দেখা সাজে? 

আরও পড়ুন:  জিভ কাটো লজ্জায়! নারী দিবসের অনুষ্ঠানে ডেকে থানাতেই যুবতীকে ধর্ষণ পুলিসের…

‘হার্ভার্ড  ইউনিভার্সিটি’ খায় না মাথায় দেয় তাঁর পরিবারের কেউ জানত না। হার্ভার্ডের নামও শোনেনি কেউ। হঠাৎই সেখানকার এক প্রাক্তন ছাত্র এবং তাঁর শিক্ষক, হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটিতে উচ্চ শিক্ষার জন্য তাকে আবেদন করতে বলেন। কিন্তু প্রতিবন্ধকতা ছিল পদে পদে। প্রথমে ইংরেজি পরীক্ষা ও পরে বিষয়ের পরীক্ষা। এরপর তাঁকে কে রেকমেনড করবে সেই ইউনিভার্সিটিতে- এই দোলাচলে কেটেছে কয়েকদিন।

আরও পড়ুন: কেন রাস্তা পেরিয়ে যাত্রাভঙ্গ! কুসংস্কারে অন্ধ তরুণী জ্বালাল জ্যান্ত বিড়াল…
 

এক পূর্ণিমা রাতে যখন সবাই তন্দ্রাচ্ছন্ন, সুদূর আমেরিকার হার্ভার্ড ইউনিভারসিটি থেকে আসে জীবন বদলে যাওয়ার ডাক। ঝাড়খণ্ডের ডাহু গ্রাম তখন অন্ধকারে ছেয়ে থাকলেও, সীমার মনে তখন সূর্যোদয়ের আলো ফুটতে শুরু করেছে। পূর্ণ স্কলারশিপ নিয়ে আজকে সীমা অর্থনীতিতে স্নাতকের ছাত্রী। দুবেলা দুমুঠো ভাত জোটানো যে পরিবারের চিন্তার বিষয় ছিল, সেই পরিবারের মেয়ের এরকম ফিনিক্স পাখির মতো উত্থান, আর তারপর তাক লাগিয়ে দেওয়া সাফল্য স্বপ্ন হলেও সত্যি।

 

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link