জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: গতকাল রাত দুটো নাগাদ মহাকুম্ভে স্নান করতে গিয়ে পদপিষ্ট হয়েছেন বহু মানুষ। এখনওপর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী পদপিষ্টের ঘটনায় আহত হয়েছেন কয়েক শো মানুষ। পাশাপাশি ১৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। তবে তা সরকারিভাবে এখনও ঘোষণা করা হয়নি। পরিস্থিতি মোকাবিলায় আপাতত শাহি স্নান বন্ধ করা হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে বিপুল সংখ্য়ক পুলিস। কিন্তু কীভাবে ঘটল এমন দুর্ঘটনা?
আরও পড়ুন-মহাকুম্ভে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, পদপিষ্টের মতো পরিস্থিতিতে কমপক্ষে ১০ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা
টানা ১২ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ঘাট তৈরি করা হয়েছিল স্নানের জন্য। মৌনী অমাবস্যা উপলক্ষ্যে গতকাল জমায়েত হয়েছিলেন প্রায় এক কোটি মানুষ। গতকাল রাত দুটো নাগাদ হঠাত্ ঘাটের ব্যারিকেড ভেঙে যায় সঙ্গমে। তার পরেই শুরু হয়ে যায় হুড়োহুড়ি। তাতেই পদপিষ্ট হয়ে যান বহু মানুষ। আহতদের মধ্য়ে রয়েছেন কমপক্ষে ৩০ মহিলা।
মহাকুম্ভের একজিকিউটিভ অফিসার আকাঙ্খা রানা জানিয়েছেন সঙ্গমঘাটে ব্যারিকেড ভেঙে পড়তেই হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়। তাতেই পদপিষ্ট হয়ে যায় অনেকে। ঘটনার পরপরই আহতদের গ্রিন করিডোর করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শুরু হয়ে যায় উদ্ধারকাজ।
সঙ্গম এলাকায় যে এলাকাটিকে নোজ বলা হচ্ছে তার আয়তন ২ হেক্টর। সেখানেই স্নানের জন্য জমা হয়েছিলেন ৩ লাখ মানুষ। খুব বেশি হলে ওই জায়গায় ২ লাখ মানুষের জায়গা হতে পারে। তাতেই অত্যাধিক ভিড় হয়ে যায়। এরকম এক পরিস্থিতিতে কোনও হুড়োহুড়ি হলে কী হতে পারে তা সহজেই অনুমেয়।
মানুষের বিশ্বাস গঙ্গা-যমুনা-সরস্বতীয় সঙ্গমস্থলে মহাকুম্ভে স্নান করলে সব পাপ ধুয়ে মুছে যায়। তাই সঙ্গম নোজেই ভিড় জমিয়েছিলেন বহু মানুষ।
ইতিমধ্যেই গত ২৩ জানুয়ারির হিসেব অনুযায়ী মহাকুম্ভে আসা মানুষজনের সংখ্যা ১ কোটি পেরিয়ে গিয়েছে। ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই সংখ্যাটা সাড়ে চার কেটি হয়ে যেতে পারে। এরকম পরিস্থিতিতে এই ঘঠনায় উত্তেজনার সৃষ্টি হল মহাকুম্ভে।
উল্লেখ্য, এর আগে ১৯৫৪ সালে এক পদপিষ্টের ঘটনা ঘটেছিল কুম্ভ মেলায়। স্বাধীনতার পরই ১৯৫৪ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি হওয়া ওই কুম্ভমেলায় পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে। মৌনী অমবস্যা উপলক্ষ্যে স্নানের সময়ে পদপিষ্ট ও জলে ডুবে মারা যান প্রায় ৮০০ পুণ্যার্থী।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)
+ There are no comments
Add yours