কলকাতা: তিনি টেস্ট ক্রিকেট খেলার একেবারেই যোগ্য নন। না, অন্য কোনও ব্যক্তি নয়, নিজেই নিজেকে নিয়ে এমন মন্তব্য করলেন বরুণ চক্রবর্তী। গত কয়েক মাসে ভারতীয় দলের সীমিত ওভারের ফর্ম্য়াটে যখনই সুযোগ পেয়েছেন তখনই নিজেকে প্রমাণ করেছেন। ৩৩ পেরিয়েছেন। তবে কুড়ি হোক বা পঞ্চাশ ওভারের ফর্ম্য়াট, স্পিন আক্রমণে ভারতীয় বোলিং লাইন আপের ভারসাম্য বাড়িয়েছেন বরুণ চক্রবর্তী। সামনেই আইপিএল। ফের কেকেআরের জার্সিতে ইডেন মাতাবেন। তার আগেই এক সাক্ষাৎকারে জানিয়ে দিলেন যে তাঁর বোলিং টেস্ট ক্রিকেটের সঙ্গে একেবারেই মানানসই নয়। কিন্তু এমনটা কেন বললেন দেশের এই মিস্ট্রি স্পিনার?
২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে পেশাদার ক্রিকেটে অভিষেকের পর থেকে এখনও পর্যন্ত মাত্র ২৭টি লিস্ট এ ম্য়াচ খেলেছেন। ১০৬টি টি-টোয়েন্টি ম্য়াচ খেলেছেন। ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দেশের জার্সিতে খেলতে নেমেছিলেন। কিন্তু সেবার একেবারেই পারফর্ম করতে পারেনি। দল থেকে বাদ পড়েন। নিজেকে নতুনভাবে গড়ে তোলেন। গৌতম গম্ভীরের কোচিংয়ে দেশের জার্সিতে টি-টোয়েন্টি ফর্ম্য়াটে ফের প্রত্যাবর্তন জাতীয় দলে। এরপর থেকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। গত আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আচমকাই দলে ঢুকে পড়েছিলেন। গম্ভীর চেয়েছিলেন বরুণকে দলের সঙ্গে নিয়ে যেতে। কোচের আস্থার মর্যাদাও রেখেছিলেন কেকেআর স্পিনার। কিউয়িদের বিরুদ্ধে গ্রুপের ম্য়াচে পাঁচ উইকেট নেন। এরপর গোটা টুর্নামেন্টে ৩ ম্য়াচে ৯ উইকেট ঝুলিতে পুরেছিলেন। টেস্ট খেলার ইচ্ছে থাকলেও তা সম্ভব হয়ত হবে না, এমনটাই মনে করেন বরুণ। তিনি বলেন, ”আমিও টেস্ট খেলতে পছন্দ করি। টেস্ট খেলার স্বপ্ন সবারই থাকে। কিন্তু আমার বোলিং অ্য়াকশন একেবারেই টেস্ট খেলার উপযোগী নয়। টেস্ট ক্রিকেটে ধারাবাহিকভাবে ২০-৩০ ওভার বল করতে হয়। আমি যা করতে পারব না এই অ্য়াকশন নিয়ে। আমি খুব বেশি হলে ১০-১৫ ওভার বল করতে পারব টানা। তার জন্যই আপাতত ২০ ওভারের ও ৫০ ওভারের ক্রিকেটেই মনোনিবেশ করতে চাই শুধু।”
বরুণের ক্রিকেট সফরও কিছুটা রূপকথার গল্পের মত। আর্কিটেকচরে ডিগ্রি নিয়ে পাশ করার পর চেন্নাইয়ে একটি ফার্মে চাকরি করতেন। দু বছর চাকরি করার পর আচমকাই ক্রিকেটকেই পেশা হিসেবে নিয়ে নেন তিনি। বরুণ বলেন, ”আমার কোন হতাশা নেই। তামিলনাড়ুতে বেশি স্যুইং হয় না বল। তাই ওখানকার পিচে মূলত স্পিনারদের দাপটই বেশি দেখা যায়। একমাত্র বালাজি ও নটরাজন ছাড়া বেশিরভাগই সব স্পিনার। আমিও ওদের মতই একজন। আমি খুশি যে আমি পেস বোলিং ছেড়ে দিয়েছিলাম। অশ্বিনও পেস বোলিং ছেড়ে স্পিনার হয়ে উঠেছিল। তাই আমি খুশি।”
আরও দেখুন