জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ভারত সফরে আসছে বাংলাদেশ। জোড়া টেস্ট ও তিনটি টি-২০ খেলা হবে দুই দেশের মধ্য়ে। পাকিস্তানকে জোড়া টেস্টে হোয়াইটওয়াশ করে নাজমুল হোসেইন শান্তরা আসছেন ভারতে। বাংলাদেশ এই প্রথম কোনও এশিয়ার দেশের বিরুদ্ধে তাদেরই ঘরের মাঠে গিয়ে হোয়াইটওয়াশ করার স্বাদ পেল। পুরো চাঙ্গা হয়েই ভারতে আসছেন সাকিব আল হাসানরা। কিন্তু এসবের মধ্য়েও সেই দেশের ক্রিকেটে কিন্তু একটা চরম অচলাবস্থার মধ্য়ে দিয়েই যাচ্ছে। সেদেশের ক্রিকেট কর্তারা একের পর এক পদত্যাগ করছেন। এবার সেই তালিকায় খালেদ মাহমুদ সুজনও (Khaled Mahmud Sujan)! বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালকের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেন খালেদ। ১১ বছর পরিচালক হিসেবে কাজ করার পর বুধবার পদত্যাগপত্র জমা দিলেন দেশের প্রাক্তন অধিনায়ক।
আরও পড়ুন: প্রতিপক্ষ পুরো ভ্যানিশ! এক-দুই গোল নয়, গুনে গুনে ৮ গোল ভারতের…
গত ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরই সেই দেশের ক্রিকেটে ধস নেমেছে। পরিবর্তনের ঝড়েই নাকি সরে যেতে বাধ্য হলেন খালেদ। এমনটাই খবর ওই দেশের। কিছুদিন আগে বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব ছেড়েছেন নাজমুল হাসানও। নতুন সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন প্রাক্তন অধিনায়ক ফারুক আহমেদ। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ মনোনীত দুই পরিচালকের একজন জালাল ইউনুস। অপরজন আহমেদ সাজ্জাদুল। জালাল পদত্য়াগ করেছেন। অন্য়দিকে আলমকে সরিয়ে দিয়েছে ক্রীড়া পরিষদ। ফারুক আহমেদের সঙ্গে নতুন পরিচালক হয়েছেন নাজমুল আবেদিন। এরপর ৩০ অগাস্ট পদত্যাগ করেছিলেন উইমেন’স উইংয়ের প্রধান শফিউল আলম চৌধুরি নাদেলও। গত বুধবার পরিচালক পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন সাবেক অধিনায়ক নঈমুর রহমানও। এবার খালেদ। মনে করা হচ্ছে যে, যাঁরা দায়িত্ব ছাড়ছেন, তাঁরা নিজেদের ভবিষ্য়তের কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কারণ বুঝতে পারছেন যে, তাঁদের আসনও টলমল। ফলে নিজেরাই সসম্মানে চেয়ার ছাড়ছেন। ৫৩ বছর বয়সি খালেদ বুঝতে পেরেছিলেন যে, সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ কাঠামোয় তাঁকে রাখা হবে না, আর রাখা হলেও কোনও কমিটির দায়িত্ব দেওয়া হবে না।
২০১৩ সালে বিসিবির প্রথম নির্বাচনে জিতে পরিচালক হয়েছিলেন খালেদ। সেবার তিনি হারিয়েছিলেন আরেক প্রাক্তন অধিনায়ক গাজি আশরফ হোসেনকে। দীর্ঘদিন বিসিবি থেকে দূরে ছিলেন তিনি। তবে গত ফেব্রুয়ারিতে প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব নিয়ে আবার ফিরেছিলেন গাজি। খালেদ বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব সামলাচ্ছিনে। এছাড়াও ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের সহ-সভাপতি পদেও ছিলেন। বিভিন্ন সময়ে জাতীয় দলের কোচ ও ম্যানেজারের দায়িত্বও পালন করতে দেখা গিয়েছে এই অলরাউন্ডারকে। ২০২১ সাল থেকে একাধিক সিরিজ ও দলের বিদেশ সফরে জাতীয় দলের টিম ডিরেক্টর হিসেবেও কাজ করেছেন। গত ওডিআই বিশ্বকাপেও এই দায়িত্বে ছিলেন তিনি। ২০২০ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ে গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের প্রধান হিসেবে খালেদের ভূমিকা ছিল বেশ প্রশংসিত। এই বছর যুব এশিয়া কাপেও প্রথমবার শিরোপা জয় করে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। তবে বিসিবি পরিচালক হয়েও, বিপিএল ও ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটে কোচিং করানো ও একাধিক দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। ফলে স্বার্থের সংঘাতে জড়িয়ে তুমুল সমালোচনাও সহ্য় করেছেন।
আরও পড়ুন: ‘হাসপাতালে ছবি তুলিয়ে রাজনীতি হয়েছে’! ভিনেশের প্যাঁচে লাইনচ্যুত পায়োলি এক্সপ্রেস
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)