NOW READING:
পহেলগাঁওয়ে নাশকতায় চাঞ্চল্যকর তথ্য, ‘হামলার দিন স্যাটেলাইট ফোন সক্রিয় ছিল বৈসারন ভ্যালিতে..’ !
April 28, 2025

পহেলগাঁওয়ে নাশকতায় চাঞ্চল্যকর তথ্য, ‘হামলার দিন স্যাটেলাইট ফোন সক্রিয় ছিল বৈসারন ভ্যালিতে..’ !

পহেলগাঁওয়ে নাশকতায় চাঞ্চল্যকর তথ্য, ‘হামলার দিন স্যাটেলাইট ফোন সক্রিয় ছিল বৈসারন ভ্যালিতে..’ !
Listen to this article


নয়াদিল্লি: পহেলগাঁওয়ে নাশকতার ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য। সূত্রের খবর,হামলার দিন বৈসারন ভ্যালিতে স্যাটেলাইট ফোন সক্রিয় ছিল। চিনে তৈরি স্যাটেলাইট ফোন পাকিস্তান থেকে ভারতে পাচার করা হয়েছিল। পহেলগাঁও লাগোয়া আশেপাশের জেলাতেও ড্রোন উড়িয়ে নজরদারি চালানো হচ্ছে। সূত্রের খবর, ছবিতে ধরা পড়েছে, জঙ্গিরা মেষপালকদের দলে মিশে রয়েছে। তাই তাদেরকে চিহ্নিত করা সত্ত্বেও প্রত্যাঘাত করা যাচ্ছে না। 

আরও পড়ুন, নির্লজ্জ পাকিস্তান, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হানার পর ফের কাশ্মীরকে অশান্ত করার চেষ্টা, পাল্টা জবাব ভারতীয় সেনার..

মূলত, পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের টার্গেট করে জঙ্গি হামলা কার্যত বেআব্রু করে দিয়েছে নিরাপত্তার খামতির বিষয়টা। সূত্রের দাবি, নিরাপত্তা এজেন্সি জানিয়েছে— জঙ্গিরা পর্যটকদের টার্গেট করতে পারে, এমন আশঙ্কা আগে থেকেই ছিল। এমনকী, পহেলগাঁওই পর্যটকদের ওপর হামলা হতে পারে, এমন খবরও ছিল। সূত্রের আরও দাবি— জঙ্গিরা আগেই পহেলগাঁও-এর এই জায়গার রেকি করেছিল। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে, নিরাপত্তা এজেন্সিগুলো তাহলে কী করছিল? জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র বসন্ত-গ্রীষ্মের যুগলবন্দিতে ভিড়ে ঠাসা। সেখানেই ধর্মীয় পরিচয় জেনে একেবারে টার্গেট কিলিং…। গুলি চালিয়ে ছাব্বিশজনকে নৃশংস খুন! ইতিমধ্য়ে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন লস্কর ই তৈবার সহযোগী সংগঠন ‘দ্য় রেসিস্ট্য়ান্স ফোর্স’ এই জঘন্য় হামলার দায় স্বীকার করেছে। কিন্তু, এত বড় হামলার আগে থেকে কেন কিছুই আঁচ করা গেল না?

 সূত্রের দাবি, জঙ্গিরা আগেই পহেলগাঁওয়ের এই জায়গার রেকি করেছিল। আন্ডারগ্রাউন্ড সাপোর্টের মাধ্য়মে ওই জায়গায় অস্ত্র জোগাড় করেছিল। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে, জঙ্গিদের এত পরিকল্পনার কেন কোনও খোঁজই পেল না গোয়েন্দারা? প্রাক্তন BSF কর্তা সমীর মিত্র বলেন, ইনএফিসিয়েন্সি ছিল। প্রশ্ন উঠছে পহেলগাঁও, গুলমার্গ, সোনমার্গে প্রচুর ভিড় জা না সত্ত্বেও কেন সিকিউরিটি পর্যাপ্ত ছিল না ?গোয়েন্দারা মনে করছেন, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার মাস্টারমাইন্ড আদিল গুরু। বেশ কয়েকবছর আগে পাকিস্তান থেকে কাশ্মীরে ঢোকে সে। এরপর ২০১৮-য় ফের পাকিস্তানে ফিরে যায়।

সম্প্রতি আদিল ফের কাশ্মীরে ঢুকে এই ভয়ঙ্কর হামলার পরিকল্পনা করে। সূত্রের খবর, পর্যটকদের ওপর গুলি চালিয়েছিল ৪ জঙ্গি। আরও ৩ জঙ্গি পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছিল। ৩ জঙ্গির কাজ ছিল মহিলা-পুরুষদের আলাদা করে তাদের ধর্মীয় পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত করা। হামলাকারী জঙ্গিদের মধ্যে একজনের নাম ছিল আসিফ শেখ। আদিল ও আসিফের সঙ্গে দুই পাক জঙ্গিও ছিল। যে কাশ্মীরে এত আধা সেনা, এত সেনাবাহিনীর অফিসার-জওয়ান, কাশ্মীর পুলিশ থাকে, সেখানে জঙ্গিরা কীভাবে নাদের নাকের ডগা দিয়ে এই হামলা চালিয়ে চলে গেল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে! ব্রিগেডিয়ার প্রবীর সান্য়াল (অবসরপ্রাপ্ত) বলেন,’আমাদের প্রিপারেশন কম ছিল। ইন্টেলিজেন্স সিকিউরিটি।’হামলা চালানোর সময় জঙ্গিদের মাথায় হেলমেট ছিল। তাতে ক্য়ামেরা লাগানো ছিল! হামলার সময়কার ছবি তারা তুলছিল! অর্থাৎ গোটাটাই সুপরিকল্পিত!এর জবাব কীভাবে দেবে মোদি সরকার? সেদিকেই তাকিয়ে গোটা দেশ।

আরও দেখুন



Source link