নয়াদিল্লি: দুহাজার এক সালে সংসদে জঙ্গি হামলা, তারপর ছাব্বিশ এগারোয় মুম্বই হামলা, পাঠানকোট, উরি, পুলওয়ামা। আর এবার পহেলগাঁও। গত কয়েক দশক ধরে এভাবেই বারবার ভারতকে রক্তাক্ত করে আসছে পাকিস্তান।
আরও পড়ুন, পহেলগাঁওতে হত্য়ালীলার খবর আগে থেকেই জানত স্থানীয় অপারেটররা ? তদন্তে NIA, জঙ্গিরা কোথায় লুকিয়ে ?
পাঠানকোট থেকে পুলওয়ামা, বারবার ভারতের বুকে আক্রমণে সামনে থেকে জঙ্গি সংগঠনের নাম উঠে এলেও ষড়যন্ত্রের জন্ম দিয়েছে পাকিস্তানের মাটিই। আর দায় এড়ানোর মরিয়া চেষ্টার মধ্যেই পহেলগাঁওয়ে নৃশংস জঙ্গি হামলার ঘটনায়, এবারও ক্রমশ জোরালো হচ্ছে পাক-যোগ। এখানেই বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতের বুকে বারবার আক্রমণের নেপথ্যে বরাবর কাজ করছে সন্ত্রাসবাদের ত্রিভুজ। যেখানে সামনে জঙ্গি সংগঠন থাকলেও তার পিছনে পূর্ণ মদত দিয়েছে পাকিস্তানি সেনা ও পাক গুপ্তচর সংস্থা ISI.
১৯৯৯ কান্দাহারে ইন্ডিয়ান এয়ার লাইন্সের আইসি-৮১৪ বিমান অপহরণের নেপথ্যে ছিল পাক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ। পিছনে ছিল পাক সেনা ও পাক গুপ্তচর সংস্থা, ISI.২০০১ সালে সংসদে হামলায় জইশ-ই-মহম্মদ ও লস্কর-ই-তৈবা-র কর্মকাণ্ডে পূর্ণ সমর্থন ছিল পাক সেনা ও ISI-এর, এমনটাই মনে করা হয়। ২০০৮ সালে মুম্বই হামলার নেপথ্যে ছিল লস্কর-ই-তৈবা। এক্ষেত্রে কোনও রাখঢাক নেই। জঙ্গিরা যে আগে থেকে তথ্য সংগ্রহ করে পরিকল্পিতভাবেই যে এই হামলা চালিয়েছিল, পরে তা স্বীকার করে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা ‘ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স’ বা ISI.
চাপের মুখে পড়ে ২০০৯ সালের ৭ জানুয়ারি, পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী শেরি রহমান সরকারিভাবে স্বীকার করে নেন যে, আজমল কাসভ পাকিস্তানের নাগরিক। ওই বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ক মন্ত্রী রহমান মালিক স্বীকার করেন, ‘পাকিস্তানে বসেই হামলার পরিকল্পনা করেছিল জঙ্গিরা’। সবথেকে বড় কথা, মুম্বই হামলার একমাত্র জীবিত জঙ্গি আজমল কসাব নিজেই স্বীকার করেছিল, ২০১৬ পাঠানকোট হামলা, সেবছরই উরিতে হামলা ২০১৯-এ পুলওয়ামাকাণ্ডেও জইশ-ই-মহম্মদ প্রত্যক্ষভাবে হামলা চালালেও পিছনে ছিল পাক সেনা ও পাক গুপ্তচর সংস্থা, ISI.
আরও দেখুন