NOW READING:
পাহাড়ে গুলির শব্দ, বারুদের গন্ধ এসেছিল হোটেল পর্যন্ত, কাশ্মীরে গিয়ে আতঙ্কে বহু বাঙালি পর্যটক
April 25, 2025

পাহাড়ে গুলির শব্দ, বারুদের গন্ধ এসেছিল হোটেল পর্যন্ত, কাশ্মীরে গিয়ে আতঙ্কে বহু বাঙালি পর্যটক

পাহাড়ে গুলির শব্দ, বারুদের গন্ধ এসেছিল হোটেল পর্যন্ত, কাশ্মীরে গিয়ে আতঙ্কে বহু বাঙালি পর্যটক
Listen to this article



<p><strong>সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, আবির দত্ত, গৌতম মণ্ডল, কলকাতা:</strong> কেউ পায়ের সমস্যার কারণে বৈসরন যাওয়া এড়িয়েছেন। কেউ আবার হোটেল থেকে বেরনোর সময়ই খবর পেয়েছিলেন জঙ্গি হামলার। কাশ্মীর বেড়াতে গিয়ে বরাত জোরে বেঁচে যাওয়া সেই সব বাঙালি পর্যটকদের এখন তাড়া করছে আতঙ্ক।&nbsp;</p>
<p>[yt]https://youtu.be/Ld1Dxfh0c5A?feature=shared[/yt]</p>
<p>এটা হল পহেলগাঁওয়ের স্ট্য়ান্ড নম্বর ২। এখান থেকে ঘোড়া নিয়ে যাওয়া যেত। এখান থেকে আর গাড়ি যাওয়ার জায়গা নেই। …. এখান থেকে ট্য়ুরিস্টরা ঘোড়া বুক করে যেত। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হানায় ২৬ জনের মৃত্য়ু হয়েছে। তারমধ্য়ে ৩জন বাঙালি। যে পর্যটকরা সেইসময় পহেলগাঁওয়ে ছিলেন, কিন্তু ভাগ্য়জোরে বেঁচে গেছেন, তাঁদের গলায় এখনও আতঙ্ক । উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামের দোলতলার বাসিন্দা অলিভিয়া বিশ্বাস ২১ তারিখ পৌঁছেছিলেন পহেলগাঁওয়ে। তারপরের দিনই তাঁদের হোটেল থেকে মাত্র ৫-৬ কিলোমিটার দূরে বৈসরন উপত্যকায় ঘটে যায় ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদী হামলা।</p>
<p>পর্যটক অলিভিয়া বিশ্বাস বলেন, দুপুরের খাওয়া সেরে উঠেছি। সামনের পাহাড় থেকে গুলির শব্দ। বারুদের গন্ধ হোটেল পর্যন্ত চলে এসেছিল। শব্দ শুনে কাশ্মীরের স্থানীয়রা বেরিয়ে পড়েন। সেই রাতে আতঙ্কে ঘুম হয়নি। পরের দিন আমরা নেমে আসি। গোটা রাস্তা তখন ফাঁকা। দোকানপাট সব বন্ধ। কিছু দূরে দূরে সিআরপি পোস্টিং। একই অভিজ্ঞতার সাক্ষী হাওড়ার বাউরিয়ার বাসিন্দা দেবরাজ ঘোষ।</p>
<p>আরু ভ্যালি, বেতাব ভ্যালি আর চন্দনওয়াড়ি ভ্য়ালি ঘুরে পহেলগাঁও পৌঁছে সবে ট্যাক্সি স্ট্য়ান্ডের বাঙালি হোটেলে খেতে বসেছিলেন। তখনই বৈসরন উপত্যকা থেকে শুনতে পান গুলির শব্দ। পর্যটক দেবরাজ ঘোষ বলেন, পহেলগাঁওয়ের নীচের যে ট্যাক্সিস্ট্যান্ডটা আছে, ওখানে একটা বাঙালি হোটেলে খাবার খাচ্ছিলাম। সেই সময় হঠাৎ শুনতে পাই, দোকানের সমস্ত বাইরে থাকা টুল, চেয়ার, বাসনপত্র যা ছিল তাড়াতাড়ি করে ভিতরে ঢোকানো হচ্ছে, শাটার ফেলা হচ্ছে।&nbsp;<br />&nbsp;<br />প্রায় ৪০ থেকে ৪৮টা অ্যাম্বুল্যান্স তখন দেখি বৈসরন ভ্যালির দিকে যাচ্ছে। মিলিটারি গাড়ি ছিল। সমস্ত কিছু একেবারে যুদ্ধের মত পরিস্থিতি। আমরাও রীতিমতো জনলার কাচ বন্ধ করে দিয়েছি। এই পরিস্থিতিতে কাশ্মীরে আটকে পড়েছেন বহু পর্যটক। যার মধ্যে অনেকেই এই রাজ্যের। তাঁদের জন্য় উদ্বেগে পরিবার।</p>
<p>কাশ্মীরে আটকে পড়া পর্যটকের বাবা &nbsp;পরিতোষ মান্না বলেন, আজকেও সকালে কথা হয়েছে। যাতে তাড়াতাড়ি ফেরে, প্রশাসন যেন সুব্যবস্থা করে। যেন তাড়াতাড়ি ফিরে আসতে পারে। সুব্যবস্থা করলে খুব উপকৃত হব। হুগলির কোন্নগরের বাসিন্দা সৌরভ সরকার। তাঁরাও এখন হোটেলের ঘরেই বন্দি। কাশ্মীরে আটকে পড়া পর্যটকের মা সুপর্ণা সরকার , যতক্ষণ না ফেরে ততক্ষণ দুশ্চিন্তা। ভূস্বর্গের স্মৃতি যে এমন ভয়াবহ হতে চলেছে, তা দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারেননি এঁরা কেউই।&nbsp;</p>



Source link