NOW READING:
তৃণমূল কাউন্সিলার সুশান্ত ঘোষকে খুনের ছক, অবশেষে পুলিশের জালে কনট্র্যাক্ট কিলার
January 13, 2025

তৃণমূল কাউন্সিলার সুশান্ত ঘোষকে খুনের ছক, অবশেষে পুলিশের জালে কনট্র্যাক্ট কিলার

তৃণমূল কাউন্সিলার সুশান্ত ঘোষকে খুনের ছক, অবশেষে পুলিশের জালে কনট্র্যাক্ট কিলার
Listen to this article


পার্থপ্রতিম ঘোষ, অনির্বাণ বিশ্বাস, কলকাতা : কসবার তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষের উপর হামলার ছক কষেই গা ঢাকা দিয়েছিল দুবাইয়ে। রবিবার কলকাতায় ফিরতেই পুলিশের জালে ধরা পড়ল কনট্র্যাক্ট কিলার মহম্মদ আদিল হোসেন। ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আলিপুর আদালত। কসবার তৃণমূল কাউন্সিলারকে খুনের চেষ্টার ঘটনায় এর আগে আরও একজন গ্রেফতার হয়েছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, এই মহম্মদ আদিল হোসেনকেই কনট্র্যাক্ট দেওয়া হয়েছিল সুশান্ত ঘোষকে খুনের জন্য। গত ১৫ নভেম্বর ভরসন্ধেয় অ্যাক্রোপলিস মলের কাছে নিজের বাড়ির সামনেই আক্রান্ত হন কলকাতা পুরসভার ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার এবং বোরো চেয়ারম্যান সুশান্ত ঘোষকে একেবারে সামনে থেকে গুলি করার চেষ্টা করে এক দুষ্কৃতী। কিন্তু আগ্নেয়াস্ত্র আটকে যাওয়ায় গুলি বেরোয়নি। এ যাত্রায় প্রাণে বেঁচে যান সুশান্ত। এই ঘটনায় হামলাকারী অভিযুক্ত ট্যাক্সি চালক যুবরাজ আহমেদ এবং মূল অভিযুক্ত আফরোজ খান ওরফে গুলজারকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। 

কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, গতবছর জুলাই মাসে কলকাতায় বসে সুশান্ত ঘোষকে খুনের ব্লুপ্রিন্ট তৈরি করা হয়েছিল। ধৃত কনট্র্যাক্ট কিলার আদিলও সেখানে ছিল। এদিকে হামলার আগেই অক্টোবর মাসে কলকাতা ছেড়ে দুবাই পালিয়ে যায় আদিল। তার বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি করে পুলিশ।  শেষ পর্যন্ত আবু ধাবি থেকে ফেরার পর রবিবার রাতেই আদিল হোসেনকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশের গুন্ডা দমন শাখা। 

সুশান্ত ঘোষ বলেছেন, তিনি আগেই জানিয়েছিলেন কলকাতা পুলিশের উপর তাঁর যথেষ্ট বিশ্বাস এবং ভরসা রয়েছে। এক একজন করে অভিযুক্ত ধরা পড়ছে। খুব তাড়াতাড়ি আসল মাথা ধরা পড়বে বলেও আশাবাদী তিনি। পুলিশ তাদের মতো কাজ করছে। ঠিক নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে যাবে। পুলিশ সূত্রে খবর, বিহারের পাপ্পু গ্যাংয়ের সদস্য এই মহম্মদ আদিল হোসেন। আদতে বিহারের বাসিন্দা হলেও কলকাতার তোপসিয়াতেও ডেড়া ছিল তার। সেখানেই রিনিউ করিয়েছিল পাসপোর্টও। 

কিন্তু কে বা কারা সুশান্ত ঘোষকে খুনের চক্রান্ত করেছিল? কেনই বা খুন করার চেষ্টা হয়েছিল? কারা দিয়েছিল সুপারি? ধৃতদের জেরা করে সেটাই জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ধৃতদের আদিল হোসেনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আলিপুর আদালত।  

আরও পড়ুন- সল্টলেকে ফের চুরি ! চিকিৎসকের বাড়ি থেকে উধাও লক্ষাধিক টাকা এবং সোনার গয়না 

আরও দেখুন



Source link