# Tags
#Blog

Kasba Shootout: ‘কাউন্সিলর খুনের চেষ্টা’র তদন্তভার নিল কলকাতা পুলিসের গোয়েন্দা বিভাগ! বেরিয়ে আসছে অ্যাকশনের শ্বাসরুদ্ধকর বিবরণ…

Kasba Shootout: ‘কাউন্সিলর খুনের চেষ্টা’র তদন্তভার নিল কলকাতা পুলিসের গোয়েন্দা বিভাগ! বেরিয়ে আসছে অ্যাকশনের শ্বাসরুদ্ধকর বিবরণ…
Listen to this article


পিয়ালি মিত্র ও বিক্রম দাস: কসবায় কাউন্সিলরকে গুলির করে খুনের চেষ্টার ঘটনার তদন্তে এবার কলকাতা পুলিসের গোয়েন্দা বিভাগ। রোমহর্ষক ও একই সঙ্গে আতঙ্কের এই ঘটনার তদন্তভার নিল গোয়েন্দা বিভাগ। এদিকে কসবার রাজডাঙার কাউন্সিলের খুনের চেষ্টায় গ্রেফতার ট্যাক্সিচালক। যাকে গ্রেফতার করা হয়েছে তার নাম যুবরাজ সিং! এর থেকেই বাকিদের খবরাখবর নেওয়া হচ্ছে। খুনের মোটিভ কী?ব্যক্তিগত কোনও কারণে ওই কাউন্সিলরকে খুন করার চেষ্টা নাকি রাজনৈতিক কারণে তাঁকে খুন করার চেষ্টা? এটাই এখন জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: Uttar Pradesh: অগ্নিকাণ্ডে ১০ শিশুর মৃত্যু! কী ভাবে আগুন হাসপাতালে? কার গাফিলতিতে? এখনও মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে…

পুলিসের অনুমান, ট্যাক্সি চালককে দফায়-দফায় জেরা করছে পুলিস। ঘটনা সম্পর্কে সে ওয়াকিবহাল মনে করা হচ্ছে। কারণ হাওড়া স্টেশন থেকে তিনজনকে খিদিরপুর নিয়ে গিয়েছিল এই ট্যাক্সি চালকই। তারপর খিদিরপুর থেকে তাদের তিলজলাতেও নিয়ে আসে সে-ই। এমনকী, ইকবাল-সহ বাকিরা পরে তার ট্যাক্সিতেই পালায়।

এদিকে জানা গিয়েছে, আগ্নেয়াস্ত্র দুটি ছিল ধৃত ছেলেটির কাছে। গুলির চেষ্টার পর মিস হওয়ায় ছেলেটি কোমরে আগ্নেয়াস্ত্র গুঁজে বাইকে উঠতে যায়। এরপর সুশান্ত ঘনিষ্ঠ যে-যুবক ওকে ধরতে যান, তিনি পিছন থেকে ওই ছেলেটির কোমরে ঘুঁষি মারেন। একটি আর্মস পড়ে যায় কোমর থেকে। সেটি উদ্ধার হয় সঙ্গে সঙ্গে। এরপর ছেলেটি পালাতে থাকে। দৌড়তে-দৌড়তেই খালপাড়ের দিকে জঙ্গলের মধ্যে কোমরে আগে থেকে রাখা অন্য একটি আর্মস সে ছুঁড়ে ফেলে দেয়। 

কসবা শুটআউট-কাণ্ডে আগেই জানা গিয়েছিল, কসবায় কাউন্সিলর খুনের চেষ্টায় বিহার-যোগ রয়েছে। মোট ৩ জন আসে বিহারের বৈশালী থেকে। তাদের খিদিরপুরে একটা জায়গায় রাখা হয়। সেখান থেকে দুজন বাইকে করে আসে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিসের অনুমান, ৫ থেকে ৬ জন যুক্ত এই ঘটনায়। খিদিরপুর থেকে প্রথমে একটা ট্যাক্সি করে আসে অভিযুক্তরা। তারপর স্কুটিতে করে স্পটে পৌঁছয়। সেই ট্যাক্সিচালককে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা হয়েছে। ট্যাক্সিচালক ঘটনার সম্পর্কে জানে এবং সে-ই বাকিদের পালাতে সাহায্য করে বলে অনুমান ধৃতকে জেরা করে ঘটনার সম্পর্কে জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিস।

তদন্তে পুলিস জানতে পেরেছে, বন্দুকের ট্রিগার লক হয়নি! জেরায় ধৃত যুবক দাবি করে, গতকাল বিহার থেকে নিয়ে আসা তিনজনকে খিদিরপুর থেকে ট্যাক্সি করে তিলজলা এলাকাতে নিয়ে আসা হয়। ‘মহম্মদ ইকবাল’ নামে এক ব্যক্তি ধৃতকে কাউন্সিলরের ছবি দেখায়, বলে, ‘একে মারতে হবে’! তারপর স্থানীয় এক যুবকের স্কুটারের পিছনে বসে তাকে কসবা যেতে বলা হয়। ধৃতের দাবি, ইকবাল তাকে বলেছিল, ‘বন্দুক দিয়ে ভয় দেখিয়ে পালিয়ে যাবে তুমি। আমরা পিছনে ট্যাক্সিতে থাকব। বাকি কাজ আমরা করে নেব।’

আরও পড়ুন: kartik puja 2024: কেন নববিবাহিতদের বাড়ির দরজায় কার্তিক ফেলা হয়, জানেন? জেনে নিন দেবসেনাপতির অশেষ মাহাত্ম্য…

এখন ধৃতের দাবি কতটা সত্যি, তা  জানার চেষ্টা করছে পুলিস। পরে তাদের আর কী কী পরিকল্পনা ছিল, সেটাও জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। বাকিরা ধরা পড়লে পুরো বিষয়টি স্পষ্ট হবে বলে মনে করছে পুলিস। টাকার প্রসঙ্গে ধৃতের দাবি, প্রথমে ১০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু শেষে ২৫০০ টাকা দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু কোনও টাকা-ই সে পায়নি বলে দাবি তার। সেই সত্যতাও যাচাই করছে পুলিস।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Review Your Cart
0
Add Coupon Code
Subtotal