জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কসবা ‘ল কলেজের ঘটনায় ফের চমকে উঠেছেন বাংলা। আরজিকর হাসপাতালে চিকিত্সক ছাত্রীর ধর্ষণ হয়েছিল সেমিনার রুমে। আর কসবা ল কলেজে ছাত্রী নির্যাতনের শিকার গার্ড রুমে। এনিয়ে খোদ তৃণমূলের অন্দরেই ক্ষোভ প্রকাশ্যে এসে গিয়েছে। পাশাপাশি এনিয়ে রাস্তায় নামতে শুরু করেছে বিরোধীরা।
কসব ‘ল কলেজ ধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্ত ৩ জন। মনোজিত্ মিশ্র, প্রমিত মুখোপাধ্যায় ও জায়েব আহমেদ। জানা যাচ্ছে কলেজে মনোজিত্ মিশ্র ওরফে ম্যাংগো-র বেশ রমরমা প্রভাব ছিল। সে প্রভাবকে কাজে লাগিয়েই সে বছরের পর বছর ধরে কলেজে যাতায়াত করত। সম্প্রতি সে চুক্তিভিত্তিক কাজও নিয়েছিল। কলেজ ছুটির পর আশেপাশের চায়ের দোকানে তাকে দেখা যেত। ছাত্র নেতা না হলেও কলেজে ম্যাংগোই ছিল শেষকথা। এনিয়ে তদন্ত করছে পুলিস। মনোজিতের অন্তর্বাসও সংগ্রহ করা হয়েছে। ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষাও করা হয়েছে। হাতে এসেছে সিসিটিভির ফুটেজ। ঘটনার পর এখনওপর্যন্ত যেসব পদক্ষেপ পুলিস করেছে সেগুলি হল-
এসআইটি গঠন ও ঘটনার পুনর্নিমাণ
ঘটনার তদন্তে তৈরি হয়েছে ৫ সদস্যের স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম। ঘটনার পুনর্নিমাণ করেছে পুলিস। গতকাল নির্যাতিতাকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিস। অনেকের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার ৪ অভিযুক্ত
ঘটনার পরপরই গার্ড ও মনোজিত মিশ্র-সহ ৪ জনকে গ্রেফতার করে পুলিস। ঘটনার সাক্ষী হওয়ার পরও সে কাউকে কিছু বলেনি। মূল অভিযুক্তে মনোজিত্ মিশ্র দক্ষিণ কলকাতা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেনারেল সেক্রেটারি। সে একজন আইনজীবীও।
আরও পড়ুন-
আরও পড়ুন-
সিসিটিভির ফুটেজ
কলেজের সিসিটিভির ফুটেজে ছাত্রীকে টেনে নিয়ে যাওয়ার ছবি ধরা পড়েছে। গেটের কাছে লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে সেই ছবি। দেখা গিয়েছে ব্যাগ নিয়ে হন্তদন্ত হয়ে গেটের দিকে হেঁটে আসছেন ওই ছাত্রী। তাঁর পিছনে আসছে মনোজিতের দুই শাগরেদ। তাঁরা ছাত্রীকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে কলেজের ভিতরের দিকে। মনোজিতের কথা মতো ওই দুই অভিযুক্ত তাঁকে জোর করে গেটের কাছে থেকে টেনে গার্ড রুম নিয়ে যায় বলে অভিযোগ পত্রে জানিয়েছিলেন ছাত্রী। সেই অভিযোগ সপক্ষে মিলল জোড়াল প্রমাণ। কলেজে রয়েছে মোট তিনটে সিসিটিভি রয়েছে। যদিও ইউনিয়ন রুম বা গার্ড রুমের সামনে সিসিটিভি নেই।
মেডিক্যাল রিপোর্ট
ক্যালকাটা মেডিক্যাল কলেজে আগেই পরীক্ষা হয় নির্যাতিতার। যৌনাঙ্গে একাধিক আঘাতের চিহ্ন মেলে। গলায় নখে আঁচড়ও। সূত্রের খবর তেমনই। নির্যাতিতার গলা ,বুক এবং নিম্নাঙ্গ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এদিকে অভিযুক্ত মনোজিতের মোবাইল মিলেছে ছাত্রীর বিবস্ত্র ভিডিয়ো। দেড় মিনিটের বিবস্ত্র ভিডিয়ো পাওয়া গিয়েছে।
পুলিস কাস্টডি
অভিযুক্তদের ৪ দিনের পুলিসি হেফাজত হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের ধারায় তদন্ত হচ্ছে।
ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট
সিসিটিভির ফুটেজের পাশাপাশি অভিযুক্তদের মোবাইল ফোন থেকে ডিলিট করে দেওয়া ডেটা উদ্ধার করা হচ্ছে। তাদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাক্টিভিটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওইসব তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা হচ্ছে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)