<p><strong>শিবাশিস মৌলিক, কলকাতা :</strong> কসবাকাণ্ডের প্রতিবাদে গড়িয়াহাট থেকে হাজরা পর্যন্ত মিছিল ছিল অভয়া মঞ্চের। গড়িয়াহাট থেকে মিছিল শুরু হয়েছিল সুষ্ঠুভাবেই। তবে মিছিল লেক মলের সামনে পৌঁছতেই বাঁধল গোল। মিছিল আটকায় পুলিশ। পুলিশের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, তাঁদের কাছে অনুমতি নেই মিছিল আর এগোতে দেওয়ার। যা আন্দোলন করার ওখানেই করতে হবে। এদিনের অভয়া মঞ্চের মিছিলে ছিলেন সিনিয়র চিকিৎসকদের অনেকেই। তাঁদের মধ্যে থেকে তমোনাশ চৌধুরী পুলিশের সঙ্গে কথা বলতেও যান। কিন্তু পুলিশ সাফ জানিয়ে দেয়, মিছিল এগোতে দেওয়া যাবে না, তাঁদের কাছে তেমনই নির্দেশ রয়েছে।&nbsp;</p>
<p>এদিনের মিছিলে ছিলেন বিনোদন জগতের বেশ কিছু পরিচিত মুখ। বাদশা মৈত্র, চন্দন সেন, দেবদূত ঘোষের সঙ্গে এই মিছিলে হেঁটেছেন শ্রীলেখা মিত্রও। লেক মলের সামনে পুলিশ যখন মিছিল আটকায় তখন ডাক্তারদের তরফে বারবার সকলকে বলা হয় কেউ যেন দড়ি পার না করেন, ব্যারিকেড ভেঙে এগোনর চেষ্টা না করেন। কিন্তু দড়ি পার করে এগিয়ে আসেন কয়েকজন। সেখানে শ্রীলেখা মিত্রর সঙ্গে ছিলেন আরও অনেকেই। পুলিশের সঙ্গে একপ্রকার বচসা শুরু হয় অভিনেত্রীর। একবার ব্যারিকেডে উঠে পড়ার চেষ্টাও করেন তিনি। কিন্তু ডাক্তারবাবুরা তাঁকে নিরস্ত করেন। সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টাও করেন। কিন্তু বারংবার শ্রীলেখা বলতে থাকেন, পুলিশের এই বাধা তিনি মানছেন না, মানবেন না। পশ্চিমবঙ্গে জরুরি অবস্থা জারি করার দাবিও জানিয়েছেন অভিনেত্রী। ব্যারিকেড কেউ পার করলে প্রিজন ভ্যানে তোলা হবে সেই ব্যবস্থাও ছিল। গোলাকার ব্যারিকেড। তার পিছনে তিনটি প্রিজন ভ্যান। এই প্রসঙ্গেও শ্রীলেখা বলেন, ‘যাদের প্রিজন ভ্যানে তোলার তাদের তো পারছে না। আমাদের তুলবে, তুলুক। যারা বিচার চাইছে তাদের প্রিজনে তুলবে। পুলিশ কার থেকে ইন্সট্রাকশন পেয়েছে? আমাদের তো পকেটে বোমা নেই। আমরা কি ঠুঁটো জগন্নাথ হয়ে থাকব? হাজরা মোড় তো ওদের রাজত্ব। কেউ যেতে পারবে না।’&nbsp;</p>
<p>শ্রীলেখা মিত্র পুলিশের কাছে স্পষ্ট ভাষায় জানতে চান, কেন তাঁদের আটকানো হয়েছে? তাঁদের কাছে এই মিছিলে তো বোমা নেই? তাহলে এত ভয় কীসের? অভিনেত্রীকে ব্যারিকেডের কাছে দেখে এগিয়ে আসেন মহিলা পুলিশবাহিনী। তাঁদের উদ্দেশ্য করেও অভিনেত্রী বলেন, ‘যদি আপনাদের বাড়িতে, কাজের জায়গায় এরকম ঘটনা ঘটত, তাহলে বিচার চাইতেন না? মাস মাইনের জন্য এসব করছেন? কীসের এত ভয় আপনাদের? আপনাদের মধ্যেও তো কেউ মেয়ের মা, মেয়ের বাবা।’ এদিন কসবার কলেজের ঘটনার পাশাপাশি বারবার কালীগঞ্জে ভোট-হিংসার বলি ছোট্ট তামান্নার কথাও বলতে শোনা গিয়েছে অভিনেত্রীকে। শ্রীলেখা বারবার বলেছেন, ‘আমরা বেআইনি কী করেছি যে আমাদের আটকে দেওয়া হবে? আটকে দেওয়ার মানেটা কী? হীরক রাজার দেশ। রানিমা হুকুম দিয়েছেন। মাস মাইনেটা তো ওখানে থেকে আসে। শিরদাঁড়া আছে নাকি এদের। বিকিয়ে দিয়েছে তো। পুলিশ আমাদের সুরক্ষা দেবে? অপরাধী, খুনি ধর্ষকদের সুরক্ষা দেবে। টিকি বাঁধা তো কোথাও। আপনার আমার বাড়ির মেয়ে মরুক। সবার মুখে কুলুপ আঁটা। চাকরির ভয়।’&nbsp;</p>



Source link