Kasba BJP Protest: কসবাকাণ্ডের প্রতিবাদ দেখাতে গিয়ে গড়িয়াহাট থেকে গ্রেফতার হয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, রাজ্য সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, উত্তর কলকাতার বিজেপি সভাপতি তমোঘ্ন ঘোষ-সহ মোট ৬৫ জন। পরে পুলিশ তাঁদের পার্সোনাল রিমান্ড বন্ডে জামিন দেয়। কিন্তু বিজেপি নেতৃত্ব সাফ জানিয়ে দেন পুলিশের জামিন তাঁরা নেবেন না। কী বলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি এবং রাজ্য সম্পাদক, জেনে নিন।
সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘পুলিশ প্রত্যেকবার, এইভাবে, এই মাসে প্রায় ৪ বার, আমাকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে এসে লালবাজারে রাখছে এবং তারপরে বেল বন্ডে সই করিয়ে ছেড়ে দিচ্ছে। এতদিন তাই হয়েছে। আমি আজকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যেভাবে আমার, আপনার বাড়ির ঘরের মেয়েদের যেভাবে ইজ্জত লুঠ হচ্ছে, যেভাবে তাঁদেরকে ধর্ষণ করা হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে একটা জোরদার প্রতিবাদ হওয়া দরকার। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি বেল বন্ডে সাইন করে ব্যক্তিগত ভাবে জামিন নেব না। তার জন্য যদি আমাকে রাতভর জেলে থাকতে হয়, তাও কোনও অসুবিধা নেই, রাতভর জেলে থাকব। এর আগে আমি বলেছি হাজার বার যদি আমাকে অ্যারেস্ট হতে হয়, আমি হাজার বার অ্যারেস্ট হব, কিন্তু বাংলার মেয়েদের সম্মান নিয়ে, ইজ্জত নিয়ে এভাবে ছিনিমিনি খেলা যাবে না।’
জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, ‘প্রতিবার যেমনটা হয়, এবারও পুলিশ আমাদের পিআর বন্ডে, পার্সোনাল রিমান্ড বন্ডে আমাদের ছেড়ে দেওয়ার জন্য সই করাতে এসেছিল। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ডক্টর সুকান্ত মজুমদার তথা আমাদের রাজ্য সভাপতি, আমি দলের সাধারণ সম্পাদক এবং আমাদের উত্তর কলকাতার সভাপতি তমোঘ্ন ঘোষ, এই তিনজন আমরা রিফিউজ করেছি বেল, আমরা পুলিশের বেল নেব না। আমাদের রাজ্য সভাপতির সিদ্ধান্ত, যে বারে বারে যেভাবে পুলিশ আমাদের উপর আক্রমণ করছে, কোনও গণতান্ত্রিক আন্দোলন করতে যাওয়ার আগেই, গাড়ি থেকে নামা মাত্র হায়নার মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে তাঁদেরকে গ্রেফতার করে লালবাজারে নিয়ে আসছে, তা আমরা বারবার মানব না। আমাদের সঙ্গে আরও ৬২ জন আমাদের কার্যকর্তা রয়েছেন। গড়িয়াহাট, হেয়ার স্ট্রিট, ধর্মতলা, লালবাজার বিভিন্ন জায়গা থেকে তাঁদের গ্রেফতার করে নিয়ে আসা হয়েছে। ৫-৭ জন মহিলা কার্যকর্তা চোট পেয়েছেন। তাঁদের বীভৎস মারা হয়েছে। আমরা বেল রিফিউজ করার পরে, তাঁরা পিআর বন্ডে সাইন করার পরেও, বেল বন্ডে সই করার পরেও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাঁরা এখন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাঁরা আর কেউ বেরোবেন না।’