<p><strong>ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, কলকাতা :</strong> কসবাকাণ্ডের প্রতিবাদে শনিবার গড়িয়াহাটে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল বিজেপি। সেখান থেকেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, রাজ্য সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, উত্তর কলকাতার বিজেপি সভাপতি তমোঘ্ন ঘোষ-সহ মোট ৬৫ জনকে গ্রেফতার করে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়। এর প্রতিবাদে রাতে লালবাজারের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। পুলিশ জানায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। ৫ মিনিট সময় বেঁধে দেওয়া হচ্ছে জায়গা খালি করে উঠে যাওয়ার। এরপরও অবস্থান না ওঠায় বিজেপির তিন কাউন্সিলর সজল ঘোষ, মীনা দেবী পুরোহিত এবং বিজয় ওঝাকে কার্যত টেনে-হিঁচড়ে, চ্যাংদোলা করে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। প্রাথমিক ভাবে তাঁদের আটক করা হলেও, কিছু সময় পর পুরো শহর ঘুরে, নামিয়ে দেওয়া হয় মুচিপাড়া থানার কাছে, সজল ঘোষের বাড়ির সামনে। তাঁদের ঘিরে রেখেছেন প্রচুর পুলিশকর্মী, সম্ভবত যাতে তাঁরা আবার লালবাজারে ফিরে যেতে না পারেন, সেই কারণেই। </p>
<p>সজল ঘোষ বলছেন, ‘সারা কলকাতা শহর ঘুরিয়েছে। হাওড়া ব্রিজ অবধি। সারা শহর ঘুরিয়ে তারপর ফাইনালি এইখানে থানার সামনে নিয়ে এসে ফোর্সফুলি নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদের সঙ্গে একজন মাতৃসমা মহিলা আছেন। তিনি অসুস্থ। আপনারাও জানেন। সেই মানুষটাকে পুলিশ তো গরু-গাধার মতো তুলেছে। আরে আমরা জোয়ান আছি এখনও, লড়ে যাব। কিন্তু এই মানুষটাকে গরু-গাধার মতো চ্যাংদোলা করে ছুড়ে ফেলেছে গাড়ির ভিতর। ওরা প্রিজন ভ্যানে আমাদের তুলেছিল। লাস্টে বউবাজার মোড় থেকে, সব ঘুরে এসে, বউবাজার মোড়ে দাঁড় করিয়ে, মানে ইডেনের সামনে দু’চক্কর খাইয়েছে, দাঁড় করিয়ে, তারপর ওখান থেকে গাড়ি পাল্টে এখানে নিয়ে এসে ছেড়ে দিয়েছে। এখন আমাদের ঘিরে রেখেছে যাতে আমরা আবার যেতে না পারি। গণতন্ত্র আছে? আমি আমার বাড়ির সামনে বসতে পারব না। ভাবুন বাংলার মানুষ কোন রাজ্যে বাস করছে দেখুন।’ অন্যদিকে মীনা দেবী পুরোহিত জানিয়েছেন, হাতে আঘাত লেগছে তাঁর। </p>
<p>সজল ঘোষ, বিজয় ওঝা, মীনা দেবী পুরোহিত বসে রয়েছেন রাস্তার উপর। আর চারপাশে তাঁদের ঘিরে রেখেছে পুলিশ। সজল ঘোষের অভিযোগ, তাঁরা যাতে এখান থেকে বেরিয়ে লালবাজারের সামনে গিয়ে আবার বিক্ষোভ দেখাতে না পারেন, সেই জন্যই তাঁদের এভাবে ঘিরে রেখেছে পুলিশ। কসবাকাণ্ডের প্রতিবাদে শুধু কলকাতায় নয়, এদিন বিভিন্ন জেলাতেও বিক্ষোভ দেখিয়েছে বিজেপি। বাঁকুড়া, বর্ধমান, হাওড়ায় বিক্ষোভ দেখিয়েছেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। </p>
Source link
‘সারা শহর ঘুরিয়ে এখানে এনে জোর করে নামিয়ে দিয়েছে’, আটকের পর সজলদের কোথায় নামাল পুলিশ ?
