কলকাতা: চাকরি চেয়ে জুটেছে পুলিশের লাঠি, লাথি (Kasba DI Office Chaos)। এবার চাকরিহারাদের বিরুদ্ধে জোড়া মামলা দায়ের করল পুলিশ। চাকরি ফেরত চাইতে আসা অজ্ঞাতপরিচয়দের বিরুদ্ধে DI ও কসবা থানার মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জোড়া মামলা দায়ের: বুধবার দুপুরে কসবায় DI অফিস চত্বরে এভাবেই চাকরিহারাদের লাঠিপেটা করে পুলিশ। চাকরি বাতিল ইস্যুতে এদিন জেলায় জেলায় DI অফিস ঘেরাওয়ের ডাক দেন চাকরিহারারা। কসবায় ব্যারিকেড টপকে DI অফিসে ঢোকার চেষ্টা করলে চাকরিহারাদের বাধা দেয় পুলিশ। শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক ধস্তাধস্তি। এরপরই শুরু হয় লাঠিচার্জ। এমনকী সদ্য চাকরিহারাদের লাথিও মারা হয়। পুলিশের লাঠির আঘাতে, আহত হন বেশ কয়েকজন চাকরিহারা। পাল্টা পুলিশও তাদের উপর আক্রমণের অভিযোগ এনেছে। কসবাকাণ্ডে এবার চাকরিহারাদের বিরুদ্ধে জোড়া মামলা দায়ের করল পুলিশ। একটি জেলা স্কুল পরিদর্শকের করা অভিযোগ, দ্বিতীয়টি কসবা থানার পুলিশের করা স্বতঃপ্রণোদিত মামলা। দুটি মামলাই করা হয়েছে গতকাল চাকরি ফেরত চাইতে আসা অজ্ঞাতপরিচয়দের বিরুদ্ধে।
লালবাজার সূত্রে দাবি করা হয়েছে, যোগ্য় চাকরিপ্রার্থীরা যখন গার্ডরেলে ধাক্কাধাক্কি করেন, ৪ জন পুলিশকর্মী জখম হন। তাঁদের মধ্য়ে ২ জন রুবি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি, বাকি ২ জন চিত্তরঞ্জন ন্য়াশনাল মেডিক্য়াল কলেজে চিকিৎসাধীন। ১ জন পুলিশ কর্মীর অবস্থা গুরুতর। পুলিশ মার খাওয়ার পর, উন্মত্ত বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতেই লাঠিচার্জ করা হয়। পাশাপাশি, পুলিশের হুঁশিয়ারি- আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সমালোচনার মুখে পড়ে বুধবারই লালবাজার সূত্রে জানানো হয়, পুলিশ মার খাওয়ার পর, উন্মত্ত বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতেই লাঠিচার্জ করা হয়। এর পরেও এদিন কয়েকটি ভিডিও ক্লিপ পোস্ট করে কলকাতা পুলিশের ফেসবুক পেজে লেখা হয়েছে, একটি ক্লিপে এক প্রতিবাদকারীকে “পেট্রোল দিয়ে জায়গাটা জ্বালিয়ে দাও” বলতে শোনা যাচ্ছে। এই ধরনের অবিরত আগ্রাসী আচরণের মুখোমুখি হয়ে, কলকাতা পুলিশ আত্মরক্ষার্থে সামান্য বলপ্রয়োগ করতে এবং উচ্ছৃঙ্খল ভিড় ছত্রভঙ্গ করতে বাধ্য হয়। এপ্রসঙ্গে গতকাল কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা বলেন, “বিনা উস্কানিতেই পুলিশের উপর হামলা হয়েছে। আমাদের ছ’জন আহত। লাথি মারার যে ছবি সামনে এসেছে তা কাম্য় নয়।”
আরও দেখুন