Kasba Incident Protest: ‘অনুমতি নেই’। লেক মলের সামনে অভয়া মঞ্চের মিছিল আটকাল পুলিশ। গড়িয়াহাট থেকে এই মিছিল শুরু হয়েছিল। যাওয়ার কথা ছিল হাজরা পর্যন্ত। রাস্তাতেই বসে পড়েছেন বিক্ষোভকারীরা। অভয়া মঞ্চের এই মিছিলে যোগ দিয়েছে একাধিক গণ-সংগঠন। রাস্তাতেই চলছে গ্রাফিতি আঁকা। কিছুটা দূরেই দাঁড় করানো রয়েছে পুলিশের প্রিজন ভ্যান। সিনিয়র ডাক্তারদের তরফে জানানো হয়েছে তাঁরা ব্যারিকেড ভেঙে এগোবেন না। কোনও রকম আইন ভাঙার কাজ করবেন না। রাস্তার মাঝখানেই বসে পড়েছেন তাঁরা। এলাকায় মোতায়েন রয়েছে প্রচুর পুলিশ। রয়েছেন মহিলা পুলিশ। পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে ‘ওপর থেকে অনুমতি নেই। মিছিল এগোতে দেওয়া যাবে না।’
সিনিয়র ডাক্তার তমোনাশ চৌধুরী এক পুলিশ কর্তার সঙ্গে কথা বলেছেন। ডাক্তারবাবু বলেন, তাঁদের মিছিল হাজরা পর্যন্ত যাওয়ার কথা ছিল। কেন আটকান হল? জবাবে পুলিশ কর্তা বলেন, তাঁদের কাছে তেমনই নির্দেশ রয়েছে। এখানেই যা করার করতে হবে। এগোন যাবে না। এরপর সিনিয়র ডাক্তার বলেন, এই বিষয়টা তাঁদের আগে জানিয়ে দেওয়া হলে, তাঁরা বুঝতে পারতেন। পাল্টা জবাবে পুলিশ কর্তা বলেন, এটা জানানো তাঁর কাজ নয়। কে জানাবেন সেটা তিনি জানেন না। লেক মলের সামনেই যা করার করতে হবে আন্দোলনকারীদের। আর এগোতে দেওয়া যাবে না। স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন ওই পুলিশ কর্তা। ব্যারিকেড থেকে ২০ ফুটের ব্যবধান রাখেন আন্দোলনকারীরা। দড়ি দিয়ে আটকে দেওয়া হয় মিছিল। পুলিশ কর্তা বারবারই বলেছেন, ‘নির্দেশ আছে। যেতে দেওয়া যাবে না।’ ডক্টর তমোনাশ চৌধুরী এও বলেন, ‘কত তলা থেকে বার্তা আসছে বুঝতে পারছি না। কেন আমাদের এগোতে দেওয়া হবে না, বুঝতে পারছি না।’
সিনিয়র ডাক্তার পুণ্যব্রত গুঁই বলেন, তাঁদের আগে বলা হয়েছিল রাসবিহারী মোড় পর্যন্ত যেতে পারবেন। কিন্তু মিছিল লেক মলের সামনেই আটকে দেওয়া হয়েছে। ডাক্তারবাবুরা বারবারই সকলকে বলেন না এগোতে। দড়ি পার না হতে। তবে একাংশ এগিয়ে যেতে ইচ্ছুক ছিলেন। সেখানে ছিলেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। তাঁকে বলতে শোনে যায়, ‘আমাদের আটকে দেওয়া হল কেন? ধর্ষকদের ধরে আনুন। এই মিছিলে বোমা নেই।’ পুলিশ কর্তাকে বলতে শোনা যায় ‘যা বলার বলে দিয়েছি।’ কিছুটা মেজাজ হারিয়ে শ্রীলেখা ব্যারিকেড বাজিয়ে বলে ওঠেন ‘কেন আটকালেন? আমরা যাব। কী করবেন?’ এক মহিলা পুলিশকর্মীদের উদ্দেশে শ্রীলেখা বলেন, ‘আপনারা কেন আটকালেন? আপনারা মহিলা? আপনাদের কাজের জায়গায় যদি এমন হয় বিচার চাইবেন না? আপনারা তো মহিলা? আপনাদেরও তো মেয়ে আছে। ভয় পেয়ে গেছে। আমরা বাধা মানব না। আমাদের অনেক লোক আছে। খোলো এগুলো।’ শ্রীলেখা মিত্রর মুখে এদিন বারংবার শুনে গিয়েছে কালীগঞ্জের তামান্নার কথাও।