<p><strong>ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, কলকাতা :</strong> লালবাজারের সামনে থেকে আটক বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ। কার্যত টেনে, ঠেলে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়েছে তাঁকে। ঘটনাস্থলে রয়েছেন ডিসি সেন্ট্রাল। সজল ঘোষ, মীনা দেবী পুরোহিত, বিজয় ওঝা- এই তিন বিজেপি কাউন্সিলরকে আটক করা হয়েছে বলে খবর। প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়েছে তাঁদের তিনজনকেই। মুচিপাড়া থানার দিকে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে খবর। সম্ভবত সেখানেই তাঁদের রাখা হবে বলে শোনা যাচ্ছে। তবে নিশ্চিত ভাবে কিছু জানা যায়নি। প্রথমে মনে করা হয়েছিল লালবাজারের পিছনের গেট থেকে এই তিন কাউন্সিলরকে আটক করে হয়তো লালবাজারেই রাখা হবে। তারপর মনে করা হয়েছিল হেস্টিংস থানায় নিয়ে যাওয়া হবে। কিন্তু পরবর্তী শোনা যাচ্ছে, সম্ভবত তাঁদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মুচিপাড়া থানায় এবং সেখানেই রাখা হবে। </p>
<p>আটক করার মুহূর্তে, প্রিজন ভ্যানে তোলার সময় পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিতে শোনা গিয়েছে বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষকে। তীব্র প্রতিবাদ জানান সকলেই। এরপরই তাঁদের কার্যত টেনে-হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়েছে। প্রথমে প্রিজন ভ্যান হেস্টিংসা থানার দিকে যাচ্ছে মনে করা হলেও, মাঝপথে মুচিপাড়া থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে খবর। লালবাজারের পিছনের গেটে যেখানে বিজেপির নেতা-কর্মী-সমর্থকরা বিক্ষোভ জানাচ্ছিলেন সেখান থেকে ৫ মিনিটের মধ্যে তাঁদের উঠে যেতে বলা হয়। সময় পেরিয়ে যাওয়ায় এবং বিক্ষোভকারীরা না ওঠায়, তাঁদের কার্যত টেনে-হিঁচড়ে তোলা হয় প্রিজন ভ্যানে, আটক করা হয় তিন বিজেপি কাউন্সিলরকে। </p>
<p>বউবাজার থেকে গাড়ি চেঞ্জ করে এখন আমাদেরকে মুচিপাড়া থানার সামনে নিয়ে এসে ফোর্সফুলি নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে। মীনাজি অসুস্থ। তাঁকে বাথরুমে অবধি যেতে দেওয়ার স্কোপ দেয়নি। তিনি রাস্তায় কাকুতি-মিনতি করেছেন। গরু-ছাগলের মতো তুলে, সারা শহর ঘুরিয়ে, গাড়ি পাল্টিয়ে, কিডন্যাপাররা যেমন করে করে আরকি, ঠিক সেরম ভাবে করে, এখন থানার সামনে এনে নামিয়ে দিচ্ছে। সুকান্ত মজুমদার, জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়দের আমি জানিয়েছি। তাঁরা বললেন জানাচ্ছেন। পরবর্তী নির্দেশের অপেক্ষা করব। দরকার পরলে আবার ওখানে চলে যাব। আটকাতে পারবে না। আমাদের বলল ১৪৪ ধারা আছে। আমরা সবাইকে সরিয়ে, আমরা তিনজন ছিলাম। ১৪৪ ধারা আছে, তিনজন থাকলে তো আপত্তি নেই। তারপরেও বলছে ৫ মিনিট সময় দিচ্ছি। আরে ৫ মিনিট তো অনুব্রত তোদের দেয়। মনে আছে সেই বিখ্যাত ডায়লগ… ৫ মিনিটের ভিতর… আমরা তিনজন ছিলাম, তাও কেন পুলিশ আটক করল, সেটা পুলিশ বলতে পারবে।’ </p>
<p>আটক হওয়া আরেক বিজেপি কাউন্সিলর বিজয় ওঝাও জানিয়েছেন, ১৪৪ ধারা ছিল। আর তাঁরা তিনজন ছিলেন। নিয়ম অনুসারে ৫ জন বা তার বেশি সংখ্যক মানুষ এক জায়গায় থাকা যায় না ১৪৪ ধারা জারি থাকলে। তাহলে এক্ষেত্রে তো নিয়ম লঙ্ঘন হয়নি। অথচ তাও বলপূর্বক তাঁদের আটক করে গোটা শহর ঘুরিয়ে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। </p>
Source link
লালবাজারের সামনে থেকে আটক সজল ঘোষ-সহ ৩ বিজেপি কাউন্সিলর, কোথায় নিয়ে যাওয়া হল তাঁদের ?
