<p><strong>কলকাতা:</strong> রাজ্যের মন্ত্রী থেকে বিধায়ক, শাসকদলের নেতা থেকে কাউন্সিলর। কেউ এক, তো কেউ একাধিক, অনেকেই বসে রয়েছেন কলেজগুলির পরিচালন সমিতির মাথায়। বজবজের তৃণমূল বিধায়ক অশোক দেব ৬টি কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি। তৃণমূল বিধায়ক বিবেক গুপ্ত রয়েছেন ৫টি কলেজে। তালিকায় ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, শশী পাঁজা, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের মতো মন্ত্রীরাও রয়েছেন। </p>
<p>সাউথ ক্য়ালকাটা ল’ কলেজে আইনের ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে ধৃত মূল অভিযুক্ত তৃণমূলকর্মী মনোজিৎ মিশ্রের দাপট ছিল প্রশ্নাতীত। ইতিমধ্যে একাধিক দাপুটে রাজনৈতিক নেতা-মন্ত্রী-বিধায়কের সঙ্গে তাঁর ছবি সামনে এসেছে। আর এই মনোজিৎ মিশ্রকে কলেজে অস্থায়ী কর্মী হিসেবে নিয়োগ করেছিল জিবি অর্থাৎ কলেজের গভর্নিং বডি। যার মাথায় রয়েছেন বজবজের তৃণমূল বিধায়ক অশোক দেব। আর তাঁর মতোই তৃণমূলের একাধিক বিধায়ক বছরের পর বছর ধরে একাধিক কলেজের মাথায় বসে রয়েছেন। <br /><br />কোনও কলেজের পরিচালন সমিতির মাথায় রয়েছেন তৃণমূলের মন্ত্রী, বিধায়ক, কউন্সিলররা। কোথাও আবার তৃণমূল সাংসদরা। যেমন সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজ ছাড়াও, বজবজের তৃণমূল বিধায়ক অশোক দেব। সব মিলিয়ে ৬ টি কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি। যদিও, এরমধ্য়ে আপত্তির কিছু দেখছেন না তৃণমূল বিধায়ক। তিনি বলেন, "আমার তো কোনও অসুবিধা হচ্ছে না। তাহলে তো দলই করা যাবে না। মাথায় থাকলে তো রাজনীতি আসবে এমন কোনও কথা নেই।”<br /><br />জোড়াসাঁকোর তৃণমূল বিধায়ক বিবেক গুপ্তও একাই ৫টি কলেজের পরিচালন সমিতির মাথায় রয়েছেন। বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস দুটি কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি, নিউ আলিপুর কলেজ ও যোগেশচন্দ্র চৌধুরী কলেজ। অন্যদিকে, খিদিরপুর কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতির পদে রয়েছেন পুরমন্ত্রী ও কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা মহারাজা মণীন্দ্র চন্দ্র কলেজ, মহারাজা শ্রীশচন্দ্র কলেজ, বাগবাজার উইমেন কলেজ -এই তিনটি কলেজের গভর্নিং বডির মাথায় রয়েছেন। অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বিরাটির মৃণালিনী দেবী মহাবিদ্যাপীঠ এবং নিউ ব্যারাকপুর বিএড কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি পদে রয়েছেন। তৃণমূল বিধায়ক ও কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার চারুচন্দ্র কলেজ এবং মুরলিধর গার্লস কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি। তৃণমূলের কলকাতা উত্তরের সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় মৌলানা আজাদ কলেজ ও জয়পুরিয়া কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি। দমদমের সাংসদ সৌগত রায় রয়েছেন, আশুতোষ কলেজ ও মহারানি কাশীশ্বরী কলেজের গভর্নিং কমিটির মাথায়। তৃণমূল কাউন্সিলর কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায় যোগমায়া দেবী কলেজ এবং গোখেল মেমোরিয়াল গার্লস কলেজের পরিচালন সমিতির মাথায় রয়েছেন।<br /><br />কলকাতার পাশাপাশি জেলাতেও একই ছবি। পুরুলিয়া জেলা তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি ও বর্তমানে সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক সৌমেন বেলথরিয়া পুরুলিয়া জেলার ৩টি কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি। মালবাজার পুরসভার তৃনমূলের প্রাক্তন চেয়ারম্যান এবং দল থেকে বহিষ্কৃত নেতা স্বপন সাহা এখনও মালবাজার পরিমলমিত্র স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ের গভর্নিং বডির প্রেসিডেন্ট পদে বহাল রয়েছেন। কিন্তু কলেজের মাথায় রাজনীতিবিদরা থাকবেন কেন? এর ফলে কলেজ আলাদা করে কীভাবে উপকৃত হয়? এই প্রশ্ন দীর্ঘদিনের। সরকারি সূত্রে খবর, সংশ্লিষ্ট এলাকার বিধায়ক সেই এলাকায় থাকা কলেজগুলির পরিচালন সমিতির সভাপতি পদে একটি করে নাম উচ্চশিক্ষা দফতরে পাঠান। সেই অনুযায়ী, উচ্চশিক্ষা দফতর তাঁদের নিয়োগ করে। <br /><br /></p>
Source link
কলেজের পরিচালন সমিতির মাথায় শাসকদলের হেভিওয়েট মন্ত্রী থেকে নেতা, তালিকায় কারা?
